ব্যাকরণ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
যে শাস্ত্রের সাহায্যে ভাষার স্বরূপ ও গঠণপ্রকৃতি নির্ণয় করে সুবিন্যস্ত করা যায় এবং ভাষা শুদ্ধরূপে বলতে, পড়তে এবং লিখতে পারা যায়, তাকে ব্যাকরণ বলে।
প্রত্যেক ভাষার মতো বাংলা ভাষারও নিজস্ব ব্যাকরণ আছে। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, “যে শাস্ত্র জানলে বাংলাভাষা শুদ্ধরূপে লিখতে, পড়তে ও বলতে পারা যায় তার নাম বাংলা ব্যাকরণ।
ব্যাকরণ কত প্রকার ও কি কি
ব্যাকরণ চার প্রকার। যথা:
ক. বর্ণনাত্মক ব্যাকরণ খ. ঐতিহাসিক ব্যাকরণ
গ. তুলনামূলক ব্যাকরণ ও ঘ. দার্শনিক বিচারমূলক ব্যাকরণ।
বর্ণনাত্মক ব্যাকরণ: বিশেষ কোনো কালের কোনো একটি ভাষার রীতি ও প্রয়োগ বর্ণনা করা এর বিষয় এবং সে বিশেষ কালের ভাষা যথাযথ ব্যবহার করতে সাহায্য করা এর উদ্দেশ্য।
ঐতিহাসিক ব্যাকরণ: আধুনিক বা কোনো নির্দিষ্ট যুগের ভাষাগত প্রয়োগরীতি আলোচনা করে আলোচ্য ভাষার রূপটির বিকাশের ইতিহাস পর্যালোচনা করা এর লক্ষ্য।
তুলনামূলক ব্যাকরণ: যে শ্রেণীর ব্যাকরণ কোনো বিশেষ কালের বিভিন্ন ভাষার গঠন, প্রয়োগরীতি ইত্যাদির তুলনামূলক আলোচনা করে থাকে, তা-ই তুলনামূলক ব্যাকরণ।
দার্শনিক বিচারমূলক ব্যাকরণ: ভাষায় অন্তর্নিহিত চিন্তা প্রণালিটি আবিষ্কার ও অবলম্বন করে সাধারণভাবে কিংবা বিশেষভাবে ভাষার রূপের উৎপত্তি ও বিবর্তন কীভাবে ঘটে থাকে, তার বিচার করা এর পর্যায়ভুক্ত।
ব্যাকরণ এর কাজ কি
ব্যাকরণের কয়েকটি কাজ নিচে তুলে ধরা হলো:-
• > কোনো ভাষার নিয়ম - নীতি লিপিবদ্ধ করাই ব্যাকরণের প্রধান কাজ ।
• > ভাষার বিশ্লেষণ করা ব্যাকরণের কাজ ।
• > ভাষার সৌন্দর্য সৃষ্টি করতে ব্যাকরণ সাহায্য করে ।
• > ব্যাকরণ ভাষা প্রয়োগের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।
• > ব্যাকরণের মাধ্যমে সুষ্ঠু জ্ঞানলাভ করা যায় ।
• > ব্যাকরণ ভাষা ও সাহিত্যের রস গ্রহণেও সহায়তা করে থাকে ।
• > ভাষার শিল্প সৌন্দর্য উপলদ্ধির জন্য ব্যাকরণ সাহায্য করে ।
টাগঃব্যাকরণ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি, ব্যাকরণ এর কাজ কি

Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)