You can easily download all types of PDF from our website for free.Only we share all types of updated PDF. If there is any problem to download our PDF file, you can easily contact us and solve it. So without delay download your desired PDF file immediately.
আরো দেখুন
- বাংলাদেশের ৬৪ জেলার রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২৪
- সেহরি ও ইফতারের দোয়া
- যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪
- ১ ভরি স্বর্ণের যাকাত কত টাকা ২০২৪
- ১ লাখ টাকার যাকাত কত টাকা ২০২৪
- ফিতরা কত টাকা ২০২৪
- জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার নিয়ম
- ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
- অনলাইনে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
- পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ
- পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
- পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার রচনা
ভূমিকা : আজকের দিনে পৃথিবীর মানুষকে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ভাবিয়ে তুলেছে তা হলাে পরিবেশ দূষণ । মানবসৃষ্ট যন্ত্রসভ্যতার গােড়াপত্তনের পর থেকেই পরিবেশ ক্রমশই হারিয়ে ফেলছে তার ভারসাম্য । জীবনধারণের প্রয়ােজনীয় সবকিছুর যােগান পাই আমরা পরিবেশ থেকে । তাই পরিবেশ প্রতিকূল হলে মানুষ তথা প্রাণিজগতের ধ্বংস ও সর্বনাশ অবশ্যম্ভাবী । ক্রমবর্ধমান পরিবেশ দূষণ আজকের পৃথিবীকে ক্রমশই ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে , করছে বসবাসের অযােগ্য । এ সম্পর্কে ব্যাপকহারে সাবধানতা ও সচেতনতা তৈরির জন্য প্রতিবছর ৫ জুন পালিত হচ্ছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ' ।
পরিবেশ দূষণ : রাসায়নিক , ভৌতিক ও জৈবিক কারণে পরিবেশের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের যেকোনাে পরিবর্তনই পরিবেশ দূষণ । আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তা নিয়েই আমাদের পরিবেশ । নদ - নদী , বায়ু — পানি , চন্দ্র সূর্য , আবহাওয়া , জলবায়ু ইত্যাদির সবকিছুই আমাদের এ পরিবেশের অন্তর্ভুক্ত । কোনাে কারণে এ পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে পরিবেশ দূষণ হয় । সেই আদিকাল থেকে মানুষ দ্বারা পরিবেশ দূষিত হয়ে আসছে । তবে এ দূষণ সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে আঠারাে শতকে । শিল্প বিপ্লবের সূচনা থেকে । উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে পরিবেশ দূষণ কেবল সমস্যাই নয় পর্যায়ক্রমে মারাত্মক রূপ ধারণ করছে । শিল্পায়ন ও নগরায়ণের প্রভাবে পৃথিবী আজ বিপন্ন । মানুষ নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নির্বিচারে পরিবেশের ওপর চালাচ্ছে নির্মম কুঠারাঘাত । ফলে পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে মানুষের বাস অনুপযােগী হয়ে পড়ছে।
পরিবেশ দূষণের কারণ : পরিবেশ দূষণ একক কারণে হয় না । বিভিন্ন কারণে পরিবেশের বিভিন্ন অংশ দূষিত হচ্ছে । পরিবেশ দূষণের জন্য যে বিশেষ কারণগুলাে উল্লেখযােগ্যভাবে দায়ী সেগুলাে হলাে :
১. পৃথিবীতে জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে ক্রমশ । ২০১৬ সালের হিসাব তানুযায়ী বিশ্বের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৭.৪ বিলিয়ন । জাতিসংঘের তথ্য মতে , এই জনসংখ্যা ২১০০ সাল নাগাদ প্রায় ১১.২ বিলিয়ন এ পৌছাবে । এ অধিক জনসংখ্যা সৃষ্টি করছে অধিক নতুন মুখ । অতিরিক্ত এ জনগােষ্ঠীর বর্জ্যের পরিমাণও বেশি যা পরিবেশ দূষণের জন্য বিশেষভাবে দায়ী ।
২. জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে , কিন্তু বাড়ছে না জায়গা । ফলে তাদের বাসস্থানের জন্য বনভূমি উজাড় হয়ে যাচ্ছে । এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে , যা দূষিত করছে পরিবেশকে । নতুন করে বনায়নের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে হ্রাস পাচ্ছে চাষযোগ্য ভূমি ও বনভূমি ।
৩. অপরিকল্পিতভাবে বৃক্ষ নিধনের ফলে বাতাসে ক্ষতিকর কার্বন ডাই - অক্সাইডের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে , কমছে অক্সিজেনের পরিমাণ । এর ফলে দষিত হচ্ছে বায়ু । কেননা গাছ বাতাস থেকে বিষাক্ত কার্বন ডাই - অক্সাইড গ্রহণ করে আর ত্যাগ করে প্রাণ প্রদায়ী অক্সিজেন । কার্বন ডাই - অক্সাইড গ্যাসের বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাচ্ছে এবং সৃষ্টি হচ্ছে ‘ গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া ( কার্বন ডাই - অক্সাইড আটকে পড়া ' ) ।
৪. ক্রমবর্ধমান মানুষের চাহিদার সঙ্গে খাপ খাওয়ানাের লক্ষ্যে উৎপাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে । স্থাপিত হচ্ছে নতুন নতুন কল - কারখানা । এসব কারখানা থেকে নির্গত ধোয়া বায়ু দূষিত করছে । তাছাড়া কল কারখানা থেকে পরিত্যক্ত বর্জ্য পদার্থ ফেলা হচ্ছে নদী , হ্রদ , সমুদ্রে , যা দূষিত করছে পানি ।
৫. অতিরিক্ত মানুষের খাদ্য জোগানাের জন্য কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক উপকরণ যেমন কীটনাশক ওষুধ , রাসায়নিক সার প্রভৃতি ব্যবহার করা হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে , এগুলাে পরিবেশের যথেষ্ট ক্ষতিসাধন করছে ।
৬. আধুনিক বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত যুদ্ধবিগ্রহের তেজস্ক্রিয়তাও বায়ু দূষণ করছে বিপুল হারে । এছাড়াও আরও অনেক কারণে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে পরিবেশ । তবে দূষণ মাত্রার পরিসংখ্যান যােগ করলে দেখা যাবে প্রায় ৭০ % -৮০ % পরিবেশ দূষণের জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলােই দায়ী । কিন্তু পরিবেশের বিপর্যয় কোনাে নির্দিষ্ট দেশ বা জাতির জন্য নির্দিষ্ট নয় , এটা সমগ্র মানবজাতির অস্তিত্বকেই বিপন্ন করে দেবে ।
পরিবেশ দূষণের বিভিন্ন দিক : পরিবেশ দূষণ আজ এক ক্রমবর্ধমান জটিল সমস্যা । আমাদের পরিবেশ বর্তমানে সামগ্রিকভাবে দূষিত । নিচে পরিবেশ দূষণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হলাে :
১ . বায়ু দূষণ : জীবনধারণের অন্যতম প্রাকৃতিক উপাদান হলাে বায়ু । বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে হচ্ছে বায়ু দূষণ । কার্বন ডাই - অক্সাইড , নাইট্রাস অক্সাইড , রাসায়নিক ধোয়া প্রভৃতি বায়ু দূষণের প্রধান উপকরণ । প্রতিদিন পেট্রোল ও ডিজেল চালিত হাজার হাজার গাড়ির নির্ণত বিষাক্ত ধোঁয়া বায়ু দূষিত করছে । তাছাড়া বিভিন্ন কল - কারখানার নির্গত ধোঁয়া ও বর্জ্য পদার্থ , ইটের ভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া , বিড়ি সিগারেটের ধোয়া প্রভৃতি বাতাস দূষিত করছে । এর ফলে বাতাসের অতি প্রয়ােজনীয় ওজোন স্তরে ধরেছে ফাটল । ফলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে পৌছে যাচ্ছে , যার ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ । তাছাড়া বায় দূষণের ফলে হাঁপানি , মাথাধরা , শ্বাসকষ্ট , ব্রংকাইটিস , ফুসফুসের ক্যান্সার প্রভৃতি রােগ বেড়ে যাচ্ছে ।
২.পানি দূষণ : পানি দূষণ মানবসভ্যতার জন্য মারাত্মক অভিশাপ । অথচ প্রতিনিয়তই পানি দূষিত হচ্ছে পৃথিবীর যাবতীয় জলাশয় বিশেষ কবে সমুদ্র , নদ - নদী , পুকুর , খাল - বিলের পানি দূষণকবলিত কল - কারখানার তরল বর্জ্য পদার্থ পানিতে ফেলা হচ্ছে । নদীতীরে গড়ে উঠেছে সমৃদ্ধ জনপদ , প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে চটকল , কাপড় কল , চিনিকল , কাগজের কল । ফলে মানুষের দৈনন্দিন আবর্জনা এবং কারখানার বর্জ্য পদায় । সার ও কীটনাশক ওষুধ নদী , খাল ও পুকুরের পানির সঙ্গে মিশে একে দুষিত করছে । আরও অনেকভাবে । পানিতে ফেলে পানিকে দূষিত করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত । অধিক ফলনের জন্য কৃষকের মাঠে ব্যবহৃত রাসায়নিক । পানি দূষণ হচ্ছে প্রতিমুহতে । পানি দূষণের ফলে অমাশয় , কলেরা , ডায়রিয়া প্রভৃতি রােগের প্রকোপ বাড়ছে ।
৩.শব্দ দূষণ: শব্দ দূষণ বর্তমানে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার । যানবাহনের বিকট শব্দ , কল - কারখানার যান্ত্রিক । আওয়াজ , মাইকের চিৎকার , উৎসবে বাজির শব্দ , টেলিভিশন , রেডিও , টু - ইন ওয়ানের শব্দ , মিছিলের । স্লোগান , পারস্পরিক ঝগড়া - বিবাদ প্রভৃতি শ্রবণেন্দ্রিয়ের সহনশীলতার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে । এর ফলে মানসিক বিপর্যয় , রক্তচাপ , হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া , স্নায়ুর অস্থিরতা ইত্যাদি রােগের সৃষ্টি হচ্ছে ।। কীটনাশক ওষুধ প্রয়োগ , কৃত্রিম রং মেশানাে সংরক্ষণে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ প্রভৃতি কারণে ।
৪. খাদ্য দূষণ : পরিবেশ দূষণের অন্যতম দিক খাদ্য দূষণ । খাদ্য উৎপাদনে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার , খাদ্য দূষণ হয় । এ দূষিত খাদ্যগ্রহণ জীবনধারণের জন্য হুমকিস্বরূপ ।
৫. তেজস্ক্রিয় দূষণ : বিজ্ঞানের আধুনিকায়নের ফলে তেজস্ক্রিয় দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে । পারমাণবিক যুদ্ধ ও পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা - নিরীক্ষার মধ্যে তেজস্ক্রিয় দূষণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর । ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয়তার অধিকাংশ বিকরিত হয় বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ , বিশেষত পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণ , পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক সামগ্রী থেকে । বর্তমানে এ দূষণ বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ও উদ্বেগের কারণ ।
পরিবেশ দূষণ ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট : পরিবেশ দূষণ সারাবিশ্বেই বিরাজমান । তবে ভারতীয় উপমহাদেশে এ দূষণ বিশেষভাবে লক্ষণীয় । বাংলাদেশেও পরিবেশ দূষণের ব্যাপকতা অনেক বেশি । এখানে পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ ব্যাপকহারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি , অপরিকল্পিতভাবে শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা , অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন বৃদ্ধি । বাংলাদেশে দূষণের মাত্রা বেশি পরিলক্ষিত হয় ঢাকা শহরে । এখানে পানি ও বায়ু সমমাত্রায় দূষিত হচ্ছে । বায়ু দূষণের প্রধান কারণ সালফার অক্সাইড , নাইট্রোজেন অক্সাইড , কার্বন - মনাে - অক্সাইড , হাইড্রোকার্বন ও কার্বন ডাই - অক্সাইড । ঢাকা শহরের নব্বই শতাংশ দূষণই হচ্ছে এসবের কারণে । বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ অবাধে বন উজাড় । পরিবেশ রক্ষার জন্য একটা দেশে মােট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়ােজন , কিন্তু বাংলাদেশে তা অপ্রতুল । এখানে সরকারি হিসাব মতে , বনভূমির পরিমাণ ১৭ শতাংশ হলেও বাস্তবে ৯ শতাংশ । অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রতিবছর বন উজাড় হচ্ছে ১.৪ শতাংশ , ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভূমিক্ষয় , বন্যা প্রতিরােধ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে এবং ক্রমশই দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে । ১৯৮০ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত IPce ( Intergovernmental Panel on Climate Change ) - এর ভিত্তিতে গবেষণায় দেখা গেছে , বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে বেড়ে ১ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়েছে । আমাদের বেশিরভাগ নদী হিমালয় পর্বতমালা থেকে সৃষ্টি হয়ে সমুদ্রে পতিত হয়েছে । ফলে আমাদের নদী , সমুদ্র , বন বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃস্থির শিকারে পরিণত হতে যাচ্ছে । ২০৫০ সালের মধ্যে নদীগুলােতে পানির প্রবাহ ও পানির অবস্থান ১০ থেকে ১৪ শতাংশ বেড়ে যাবে । এ উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব বাংলাদেশের ইকোসিস্টেম বা বাস্তুসংস্থানেও পড়বে , কমে যাবে । ধান ও গমের উৎপাদন । বিশ্বব্যাপী কার্বন ডাই - অক্সাইড গ্যাসের নির্গমন বৃদ্ধির ফলে যে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে তার বেশিরভাগই বাংলাদেশের জন্য প্রযােজ্য ।
পরিবেশ দূষণের প্রতিকার : বিশ্বব্যাপী আজ পরিবেশ দূষণের প্রতিকার প্রচেষ্টা চালানাে হচ্ছে । ব্রা হচ্ছে । ভয়ঙ্কর সমস্যা মােকাবেলার চিন্তাভাবনা । বৃক্ষরােপণ , রাসায়নিক পদার্থের শােধন , ধোয়ার প্রতিশ্রুতিরুণ , বসতি প্রভৃতির মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রােধ অনেকাংশেই সম্ভব । তবে তিনটি বিষয় এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি প্রয়ােজন :
১. শিল্পাঞ্চলের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি , শিল্পকারখানা ও গৃহস্থালির বর্জ্য পরিশােধন , পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি পরিবেশের ভারসাম্য ও পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া ।
২.পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে প্রয়ােগ করা ।
৩.পরিবেশ দূষণ রােধকল্পে সকলের ঐকান্তিক সদিচ্ছা।
পরিবেশ দূষণরােধে গৃহীত পদক্ষেপ : পরিবেশকে দূষণমুক্ত করার জন্য বিশ্বব্যাপী গ্রহণ করা হয়েছে নানান পদক্ষেপ । জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে UNEP ( United Nations Environment Programme ) গঠিত হয় এবং ৫ জুনকে ‘ বিশ্ব পরিবেশ দিবস ' ঘােষণা করা হয় । দিবসটির স্লোগানে থাকে সুন্দর পরিবেশ গড়ে তােলার আহ্বান । ১৯৮৭ সালে কানাডায় মন্ট্রিল প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয় । এর আওতায় একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওজোন স্তর ক্ষয়কারী বস্তুসমূহের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । ১৯৯২ সালের ৩ ও ১৪ জুন ব্রাজিলের রিওডি জেনিরােতে অনুষ্ঠিত ‘ ধরিত্রী শীর্ষ সম্মেলনে ’ - এ পরিবেশের সাথে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের যােগসূত্র খুঁজে বের করা হয় । অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র অভিযাত্রী ইয়ান জিয়েনান সমুদ্র দূষণ প্রত্যক্ষ করে ১৯৯৩ সালে বিশ্ব পরিচ্ছন্ন আন্দোলন ’ - এর সূত্রপাত করেন । যাতে বাংলাদেশসহ ১২০ টি দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ অংশ নেয় । বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে পলিথিন ব্যাগ ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন নিষিদ্ধকরণ , বনায়ন কর্মসূচি , পরিবেশ আদালত গঠনসহ নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ।
উপসংহার : জীবন ও পরিবেশ এক ও অবিচ্ছিন্ন । জীবনকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে পরিবেশকে সমুন্নত রাখতে হবে । সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে জীবজগতের বসবাসের জন্য চাই দূষণমুক্ত পরিবেশ । শুধু মানবজীবন নয় , বিশ্বের প্রতিটি প্রাণীর রক্ষাকবচ এ পরিবেশ । কিন্তু সে পরিবেশ আজ বিপন্ন । বিশ্বব্যাপী মানুষের সচেতনতা পরিবেশের জন্য আজ একান্ত অপরিহার্য । তাই নিজেদের স্বার্থেই পরিবেশ রক্ষার্থে বিশ্বের সকল মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে ।
পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার গুরুত্ব
Poribesh Dushon O Protikar Rochona
Tag: পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার রচনা - পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার, Poribesh Dushon O protikar Rochona, পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার গুরুত্ব, পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার অনুচ্ছেদ রচনা, রচনা - পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার