পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার রচনা
ভূমিকা : আজকের দিনে পৃথিবীর মানুষকে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ভাবিয়ে তুলেছে তা হলাে পরিবেশ দূষণ । মানবসৃষ্ট যন্ত্রসভ্যতার গােড়াপত্তনের পর থেকেই পরিবেশ ক্রমশই হারিয়ে ফেলছে তার ভারসাম্য । জীবনধারণের প্রয়ােজনীয় সবকিছুর যােগান পাই আমরা পরিবেশ থেকে । তাই পরিবেশ প্রতিকূল হলে মানুষ তথা প্রাণিজগতের ধ্বংস ও সর্বনাশ অবশ্যম্ভাবী । ক্রমবর্ধমান পরিবেশ দূষণ আজকের পৃথিবীকে ক্রমশই ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে , করছে বসবাসের অযােগ্য । এ সম্পর্কে ব্যাপকহারে সাবধানতা ও সচেতনতা তৈরির জন্য প্রতিবছর ৫ জুন পালিত হচ্ছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ' ।
পরিবেশ দূষণ : রাসায়নিক , ভৌতিক ও জৈবিক কারণে পরিবেশের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের যেকোনাে পরিবর্তনই পরিবেশ দূষণ । আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তা নিয়েই আমাদের পরিবেশ । নদ - নদী , বায়ু — পানি , চন্দ্র সূর্য , আবহাওয়া , জলবায়ু ইত্যাদির সবকিছুই আমাদের এ পরিবেশের অন্তর্ভুক্ত । কোনাে কারণে এ পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে পরিবেশ দূষণ হয় । সেই আদিকাল থেকে মানুষ দ্বারা পরিবেশ দূষিত হয়ে আসছে । তবে এ দূষণ সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে আঠারাে শতকে । শিল্প বিপ্লবের সূচনা থেকে । উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে পরিবেশ দূষণ কেবল সমস্যাই নয় পর্যায়ক্রমে মারাত্মক রূপ ধারণ করছে । শিল্পায়ন ও নগরায়ণের প্রভাবে পৃথিবী আজ বিপন্ন । মানুষ নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নির্বিচারে পরিবেশের ওপর চালাচ্ছে নির্মম কুঠারাঘাত । ফলে পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে মানুষের বাস অনুপযােগী হয়ে পড়ছে।
পরিবেশ দূষণের কারণ : পরিবেশ দূষণ একক কারণে হয় না । বিভিন্ন কারণে পরিবেশের বিভিন্ন অংশ দূষিত হচ্ছে । পরিবেশ দূষণের জন্য যে বিশেষ কারণগুলাে উল্লেখযােগ্যভাবে দায়ী সেগুলাে হলাে :
১. পৃথিবীতে জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে ক্রমশ । ২০১৬ সালের হিসাব তানুযায়ী বিশ্বের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৭.৪ বিলিয়ন । জাতিসংঘের তথ্য মতে , এই জনসংখ্যা ২১০০ সাল নাগাদ প্রায় ১১.২ বিলিয়ন এ পৌছাবে । এ অধিক জনসংখ্যা সৃষ্টি করছে অধিক নতুন মুখ । অতিরিক্ত এ জনগােষ্ঠীর বর্জ্যের পরিমাণও বেশি যা পরিবেশ দূষণের জন্য বিশেষভাবে দায়ী ।
২. জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে , কিন্তু বাড়ছে না জায়গা । ফলে তাদের বাসস্থানের জন্য বনভূমি উজাড় হয়ে যাচ্ছে । এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে , যা দূষিত করছে পরিবেশকে । নতুন করে বনায়নের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে হ্রাস পাচ্ছে চাষযোগ্য ভূমি ও বনভূমি ।
৩. অপরিকল্পিতভাবে বৃক্ষ নিধনের ফলে বাতাসে ক্ষতিকর কার্বন ডাই - অক্সাইডের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে , কমছে অক্সিজেনের পরিমাণ । এর ফলে দষিত হচ্ছে বায়ু । কেননা গাছ বাতাস থেকে বিষাক্ত কার্বন ডাই - অক্সাইড গ্রহণ করে আর ত্যাগ করে প্রাণ প্রদায়ী অক্সিজেন । কার্বন ডাই - অক্সাইড গ্যাসের বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাচ্ছে এবং সৃষ্টি হচ্ছে ‘ গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া ( কার্বন ডাই - অক্সাইড আটকে পড়া ' ) ।
৪. ক্রমবর্ধমান মানুষের চাহিদার সঙ্গে খাপ খাওয়ানাের লক্ষ্যে উৎপাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে । স্থাপিত হচ্ছে নতুন নতুন কল - কারখানা । এসব কারখানা থেকে নির্গত ধোয়া বায়ু দূষিত করছে । তাছাড়া কল কারখানা থেকে পরিত্যক্ত বর্জ্য পদার্থ ফেলা হচ্ছে নদী , হ্রদ , সমুদ্রে , যা দূষিত করছে পানি ।
৫. অতিরিক্ত মানুষের খাদ্য জোগানাের জন্য কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক উপকরণ যেমন কীটনাশক ওষুধ , রাসায়নিক সার প্রভৃতি ব্যবহার করা হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে , এগুলাে পরিবেশের যথেষ্ট ক্ষতিসাধন করছে ।
৬. আধুনিক বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত যুদ্ধবিগ্রহের তেজস্ক্রিয়তাও বায়ু দূষণ করছে বিপুল হারে । এছাড়াও আরও অনেক কারণে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে পরিবেশ । তবে দূষণ মাত্রার পরিসংখ্যান যােগ করলে দেখা যাবে প্রায় ৭০ % -৮০ % পরিবেশ দূষণের জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলােই দায়ী । কিন্তু পরিবেশের বিপর্যয় কোনাে নির্দিষ্ট দেশ বা জাতির জন্য নির্দিষ্ট নয় , এটা সমগ্র মানবজাতির অস্তিত্বকেই বিপন্ন করে দেবে ।
পরিবেশ দূষণের বিভিন্ন দিক : পরিবেশ দূষণ আজ এক ক্রমবর্ধমান জটিল সমস্যা । আমাদের পরিবেশ বর্তমানে সামগ্রিকভাবে দূষিত । নিচে পরিবেশ দূষণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হলাে :
১ . বায়ু দূষণ : জীবনধারণের অন্যতম প্রাকৃতিক উপাদান হলাে বায়ু । বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে হচ্ছে বায়ু দূষণ । কার্বন ডাই - অক্সাইড , নাইট্রাস অক্সাইড , রাসায়নিক ধোয়া প্রভৃতি বায়ু দূষণের প্রধান উপকরণ । প্রতিদিন পেট্রোল ও ডিজেল চালিত হাজার হাজার গাড়ির নির্ণত বিষাক্ত ধোঁয়া বায়ু দূষিত করছে । তাছাড়া বিভিন্ন কল - কারখানার নির্গত ধোঁয়া ও বর্জ্য পদার্থ , ইটের ভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া , বিড়ি সিগারেটের ধোয়া প্রভৃতি বাতাস দূষিত করছে । এর ফলে বাতাসের অতি প্রয়ােজনীয় ওজোন স্তরে ধরেছে ফাটল । ফলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে পৌছে যাচ্ছে , যার ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ । তাছাড়া বায় দূষণের ফলে হাঁপানি , মাথাধরা , শ্বাসকষ্ট , ব্রংকাইটিস , ফুসফুসের ক্যান্সার প্রভৃতি রােগ বেড়ে যাচ্ছে ।
২.পানি দূষণ : পানি দূষণ মানবসভ্যতার জন্য মারাত্মক অভিশাপ । অথচ প্রতিনিয়তই পানি দূষিত হচ্ছে পৃথিবীর যাবতীয় জলাশয় বিশেষ কবে সমুদ্র , নদ - নদী , পুকুর , খাল - বিলের পানি দূষণকবলিত কল - কারখানার তরল বর্জ্য পদার্থ পানিতে ফেলা হচ্ছে । নদীতীরে গড়ে উঠেছে সমৃদ্ধ জনপদ , প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে চটকল , কাপড় কল , চিনিকল , কাগজের কল । ফলে মানুষের দৈনন্দিন আবর্জনা এবং কারখানার বর্জ্য পদায় । সার ও কীটনাশক ওষুধ নদী , খাল ও পুকুরের পানির সঙ্গে মিশে একে দুষিত করছে । আরও অনেকভাবে । পানিতে ফেলে পানিকে দূষিত করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত । অধিক ফলনের জন্য কৃষকের মাঠে ব্যবহৃত রাসায়নিক । পানি দূষণ হচ্ছে প্রতিমুহতে । পানি দূষণের ফলে অমাশয় , কলেরা , ডায়রিয়া প্রভৃতি রােগের প্রকোপ বাড়ছে ।
৩.শব্দ দূষণ: শব্দ দূষণ বর্তমানে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার । যানবাহনের বিকট শব্দ , কল - কারখানার যান্ত্রিক । আওয়াজ , মাইকের চিৎকার , উৎসবে বাজির শব্দ , টেলিভিশন , রেডিও , টু - ইন ওয়ানের শব্দ , মিছিলের । স্লোগান , পারস্পরিক ঝগড়া - বিবাদ প্রভৃতি শ্রবণেন্দ্রিয়ের সহনশীলতার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে । এর ফলে মানসিক বিপর্যয় , রক্তচাপ , হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া , স্নায়ুর অস্থিরতা ইত্যাদি রােগের সৃষ্টি হচ্ছে ।। কীটনাশক ওষুধ প্রয়োগ , কৃত্রিম রং মেশানাে সংরক্ষণে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ প্রভৃতি কারণে ।
৪. খাদ্য দূষণ : পরিবেশ দূষণের অন্যতম দিক খাদ্য দূষণ । খাদ্য উৎপাদনে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার , খাদ্য দূষণ হয় । এ দূষিত খাদ্যগ্রহণ জীবনধারণের জন্য হুমকিস্বরূপ ।
৫. তেজস্ক্রিয় দূষণ : বিজ্ঞানের আধুনিকায়নের ফলে তেজস্ক্রিয় দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে । পারমাণবিক যুদ্ধ ও পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা - নিরীক্ষার মধ্যে তেজস্ক্রিয় দূষণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর । ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয়তার অধিকাংশ বিকরিত হয় বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ , বিশেষত পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণ , পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক সামগ্রী থেকে । বর্তমানে এ দূষণ বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ও উদ্বেগের কারণ ।
পরিবেশ দূষণ ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট : পরিবেশ দূষণ সারাবিশ্বেই বিরাজমান । তবে ভারতীয় উপমহাদেশে এ দূষণ বিশেষভাবে লক্ষণীয় । বাংলাদেশেও পরিবেশ দূষণের ব্যাপকতা অনেক বেশি । এখানে পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ ব্যাপকহারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি , অপরিকল্পিতভাবে শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা , অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন বৃদ্ধি । বাংলাদেশে দূষণের মাত্রা বেশি পরিলক্ষিত হয় ঢাকা শহরে । এখানে পানি ও বায়ু সমমাত্রায় দূষিত হচ্ছে । বায়ু দূষণের প্রধান কারণ সালফার অক্সাইড , নাইট্রোজেন অক্সাইড , কার্বন - মনাে - অক্সাইড , হাইড্রোকার্বন ও কার্বন ডাই - অক্সাইড । ঢাকা শহরের নব্বই শতাংশ দূষণই হচ্ছে এসবের কারণে । বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ অবাধে বন উজাড় । পরিবেশ রক্ষার জন্য একটা দেশে মােট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়ােজন , কিন্তু বাংলাদেশে তা অপ্রতুল । এখানে সরকারি হিসাব মতে , বনভূমির পরিমাণ ১৭ শতাংশ হলেও বাস্তবে ৯ শতাংশ । অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রতিবছর বন উজাড় হচ্ছে ১.৪ শতাংশ , ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভূমিক্ষয় , বন্যা প্রতিরােধ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে এবং ক্রমশই দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে । ১৯৮০ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত IPce ( Intergovernmental Panel on Climate Change ) - এর ভিত্তিতে গবেষণায় দেখা গেছে , বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে বেড়ে ১ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়েছে । আমাদের বেশিরভাগ নদী হিমালয় পর্বতমালা থেকে সৃষ্টি হয়ে সমুদ্রে পতিত হয়েছে । ফলে আমাদের নদী , সমুদ্র , বন বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃস্থির শিকারে পরিণত হতে যাচ্ছে । ২০৫০ সালের মধ্যে নদীগুলােতে পানির প্রবাহ ও পানির অবস্থান ১০ থেকে ১৪ শতাংশ বেড়ে যাবে । এ উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব বাংলাদেশের ইকোসিস্টেম বা বাস্তুসংস্থানেও পড়বে , কমে যাবে । ধান ও গমের উৎপাদন । বিশ্বব্যাপী কার্বন ডাই - অক্সাইড গ্যাসের নির্গমন বৃদ্ধির ফলে যে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে তার বেশিরভাগই বাংলাদেশের জন্য প্রযােজ্য ।
পরিবেশ দূষণের প্রতিকার : বিশ্বব্যাপী আজ পরিবেশ দূষণের প্রতিকার প্রচেষ্টা চালানাে হচ্ছে । ব্রা হচ্ছে । ভয়ঙ্কর সমস্যা মােকাবেলার চিন্তাভাবনা । বৃক্ষরােপণ , রাসায়নিক পদার্থের শােধন , ধোয়ার প্রতিশ্রুতিরুণ , বসতি প্রভৃতির মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রােধ অনেকাংশেই সম্ভব । তবে তিনটি বিষয় এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি প্রয়ােজন :
১. শিল্পাঞ্চলের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি , শিল্পকারখানা ও গৃহস্থালির বর্জ্য পরিশােধন , পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি পরিবেশের ভারসাম্য ও পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া ।
২.পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে প্রয়ােগ করা ।
৩.পরিবেশ দূষণ রােধকল্পে সকলের ঐকান্তিক সদিচ্ছা।
পরিবেশ দূষণরােধে গৃহীত পদক্ষেপ : পরিবেশকে দূষণমুক্ত করার জন্য বিশ্বব্যাপী গ্রহণ করা হয়েছে নানান পদক্ষেপ । জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে UNEP ( United Nations Environment Programme ) গঠিত হয় এবং ৫ জুনকে ‘ বিশ্ব পরিবেশ দিবস ' ঘােষণা করা হয় । দিবসটির স্লোগানে থাকে সুন্দর পরিবেশ গড়ে তােলার আহ্বান । ১৯৮৭ সালে কানাডায় মন্ট্রিল প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয় । এর আওতায় একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওজোন স্তর ক্ষয়কারী বস্তুসমূহের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । ১৯৯২ সালের ৩ ও ১৪ জুন ব্রাজিলের রিওডি জেনিরােতে অনুষ্ঠিত ‘ ধরিত্রী শীর্ষ সম্মেলনে ’ - এ পরিবেশের সাথে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের যােগসূত্র খুঁজে বের করা হয় । অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র অভিযাত্রী ইয়ান জিয়েনান সমুদ্র দূষণ প্রত্যক্ষ করে ১৯৯৩ সালে বিশ্ব পরিচ্ছন্ন আন্দোলন ’ - এর সূত্রপাত করেন । যাতে বাংলাদেশসহ ১২০ টি দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ অংশ নেয় । বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে পলিথিন ব্যাগ ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন নিষিদ্ধকরণ , বনায়ন কর্মসূচি , পরিবেশ আদালত গঠনসহ নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ।
উপসংহার : জীবন ও পরিবেশ এক ও অবিচ্ছিন্ন । জীবনকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে পরিবেশকে সমুন্নত রাখতে হবে । সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে জীবজগতের বসবাসের জন্য চাই দূষণমুক্ত পরিবেশ । শুধু মানবজীবন নয় , বিশ্বের প্রতিটি প্রাণীর রক্ষাকবচ এ পরিবেশ । কিন্তু সে পরিবেশ আজ বিপন্ন । বিশ্বব্যাপী মানুষের সচেতনতা পরিবেশের জন্য আজ একান্ত অপরিহার্য । তাই নিজেদের স্বার্থেই পরিবেশ রক্ষার্থে বিশ্বের সকল মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে ।
পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার গুরুত্ব
Poribesh Dushon O Protikar Rochona
Tag: পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার রচনা - পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার, Poribesh Dushon O protikar Rochona, পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার গুরুত্ব, পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার অনুচ্ছেদ রচনা, রচনা - পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার
Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)