ছেলেদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম | মেয়েদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম | আকিকার সঠিক নিয়ম

ছেলেদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম | মেয়েদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম | আকিকার সঠিক নিয়ম


আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ বন্ধুরা। আপনাদের সবাইকে Educationblog24.Com এ স্বাগতম। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন।

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো ছেলে/মেয়ে সন্তানদের আকিকা দেওয়া নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। 

আকিকা করা সুন্নত। আকিকা নবজাতক শিশুর জন্ম উপলক্ষে প্রাণী কুরবানীর একটি ইসলামী প্রথা। আকিকার ফজিলতের বরকতে নবজাতক শিশুর বালা-মুসিবত দূর হয়ে যায়। নবজাতক শিশু সন্তানের শুকরিয়া আদায়ের নিদর্শন হিসেবে বাবা-মাকে সন্তানের জন্য আকিকা করতে হয়। 

তো বন্ধুরা আপনারা অনেকেই আকিকার ফজিলত সম্পর্কে জানেন, কিন্তু আকিকা দেওয়ার সঠিক নিয়ম যেটা সেটা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাই আজকে আমরা এই পোস্টের দ্বারা আপনাদের মাঝে ছেলেদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম, মেয়েদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম, আকিকার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরবো। আশা করি আপনাদের সবারই অজানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জেনে অনেক উপকার হবে। 


    ছেলেদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম    

    সঠিক নিয়মে আকিকা দেওয়া হয় নবজাতকের সন্তান-সন্তনির বালা মুসিবত দূর হওয়ার জন্য এবং সন্তান পেয়ে আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায়ের জন্য। তাই আকিকা দেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন আমরা ছেলেদের আকিকা দেওয়া নিয়ম টা জেনে আসি —
    ছেলেদের আকিকার ক্ষেত্রে সার্মথ্য অনুযায়ী একই বয়সের দুটি খাসি ছাগল কিংবা মেষ,ভেড়া যেইটাই হোক দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। হজরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: তাদেরকে ছেলে সন্তানের জন্য দুটি সমবয়সী ছাগল দিয়ে আকিকা করার নির্দেশ দিয়েছে। 
     

    মেয়েদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম  

    আর অন্যদিকে মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে আকিকা দেওয়ার যে সঠিক নিয়ম বলা হয়েছে আসুন সেই বিষয়টা জেনে আসি —

    মেয়েদের আকিকার ক্ষেত্রে একটি খাসি ছাগল দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। হজরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: তাদেরকে একটি ছাগল দিয়ে আকিকা করার নির্দেশ দিয়েছে। 


    আকিকার সঠিক নিয়ম

    আসুন বন্ধুরা আমরা আকিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সঠিক নিয়মগুলো রয়েছে সেগুলো দেখে আসি —

    নবজাতক শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার সপ্তম দিনেই আকিকা করাটা উত্তম। যদি কোনো কারণে সপ্তম দিনে আকিকা করা সম্ভব না হয়, তাহলে চতুর্দশতম দিনে আকিকা করতে হয়। তাও সম্ভব না হলে, একবিংশতম দিনে আকিকা করতে হয়। তাও সম্ভব না হলে, অন্য যেকোনো দিনে আদায় করে নিতে হবে। হজরত সামুরা ইবনে জুনদুব রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক শিশু তার আকিকার বিনিময়ে বন্ধকস্বরূপ। কাজেই সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে জবাই করবে এবং তারা মাথা মুণ্ডন করে নাম রাখবে’ (সুনানে আবু দাউদ : ২/৩৯২)। 

    আকিকা উট,গরু,ছাগল,মহিষ,ভেড়া দিয়ে ও করা যায়৷ আকিকার ক্ষেত্রে ছেলে সন্তানের জন্য সমবয়সী ২ টি খাসি ছাগল আর মেয়ে সন্তানের জন্য ১ টি খাসি ছাগল দেওয়ার নির্দেশ আছে। তবে হ্যা অবশ্যই পশুটি সুস্থ সবল রোগমুক্ত থাকতে হবে। আর আকিকার মাংস পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, নিজেদের সমানভাগে ভাগ করে দিতে হয়। অনুরুপ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজন করে গরীবদের, প্রতিবেশ , আত্মীয়দের খাওয়ানো যায়।

    আকিকা সপ্তম দিনেই দেওয়ায় উত্তম আর ঔ সপ্তম দিনে আকিকা দিলে অবশ্যই শিশুর নামকরণ এবং মাথা মুন্ডন করাতে হবে। আকিকা দেওয়াটা প্রত্যেক শিশুর জন্য মঙ্গলময়। 


    Tag: ছেলেদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম, মেয়েদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম, আকিকার সঠিক নিয়ম

                                   
    Previous Post Next Post


    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com



    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com

    (সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Telegram পেজ)