শবে কদরের দোয়া ২০২৩ | শবে কদরের নামাজের দোয়া


আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক বন্ধুরা। আপনাদের সবাইকে Educationblog24.Com এ স্বাগতম। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। পাঠক বন্ধুরা আজকে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করবো শবে কদরের নামাজের দোয়ার বিষয় নিয়ে৷ 

শবে কদরের রাত হলো হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। শবে কদরের রাতকে লাইলাতুল কদর ও বলা হয়। শবে কদর একটি বরকতময় এবং ফজিলতপূর্ণ রজনী। এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের সমান। এই শবে কদরের রাত পাওয়া যায় রমজান মাসের শেষ দশটি রোজার ভিতরে বেজোড় রাত। শবে কদরের রাতে ইবাদতের মাধ্যমে আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে পূর্বে গুনাহ থেকে মাফ পেতে পারেন। 
এই রাতের ইবাদতের জন্য বা শবে কদরের দোয়া জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর আজকে আমরা এই শবে কদরের বা শবে কদরের নামাজের দোয়াটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের অনেক উপকার হবে শবে কদরের দোয়া টা জানতে পেরে। 

       
       

    শবে কদরের দোয়া  

    শবে কদরের বিশেষ দোয়া: اللهم انك عفو تحب العفو فاعف عني 

    উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফয়া ফা'ফু আন্নি। 

    অর্থ—(হে আল্লাহ, আপনি বড়ই ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন।)

    তথ্যসূত্র: সুরা কদর, আয়াত নং-৩, বোখারি শরিফ হাদিস নং-১৯০১,২০১৭, মুসলিম শরিফ, হাদিস নং-৭৬০, তিরমিজি শরিফ, হাদিস নং-৩৫১৩, ইবনে মাজাহ শরিফ, হাদিস নং-৩৮৫০


    শবে কদরের নামাজের দোয়া

    ক্ষমা প্রার্থনার জন্য মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে অনেক দোয়া তুলে ধরেছেন। যা নামাজের সেজদা, তাশাহহুদসহ সব সময় পড়া যায়। 

    দোয়াগুলো হলো—


    رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ

    উচ্চারণ : 'রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।'

    অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! (আমাকে) ক্ষমা করুন এবং (আমার উপর) রহম করুন; আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ রহমকারী।' (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১১৮)


    > رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

    উচ্চারণ : 'রাব্বানা আমান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।'

    অর্থ : 'হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। অতএব তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি রহম কর। তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।' (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১০৯)


    > رَبِّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ

    উচ্চারণ : 'রাব্বি ইন্নি জ্বালামতু নাফসি ফাগফিরলি।'

    অর্থ : '(হে আমার) প্রভু! নিশ্চয়ই আমি নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি, অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।' (সুরা কাসাস : আয়াত ১৬)


    > رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

    উচ্চারণ : 'রাব্বানা ইন্নানা আমান্না ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া ক্বিনা আজাবান নার।'

    অর্থ : হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই আমরা ঈমান এনেছি, সুতরাং তুমি আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা কর।' (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৬)


    > رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ

    উচ্চারণ : 'রাব্বানা জ্বালামনা আংফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরিন।'

    অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! আমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন, তবে আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবো।' (সুরা আরাফ : আয়াত ২৩)


    > سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ

    উচ্চারণ : 'সামিনা ওয়া আত্বানা গুফরানাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাছির।'

    অর্থ : ‘আমরা (আপনার বিধান) শুনলাম এবং মেনে নিলাম। হে আমাদের রব! আমাদের ক্ষমা করুন। আপনার দিকেই তো (আমাদের) ফিরে যেতে হবে।’ (সুরা আল-বাকারাহ : আয়াত ২৮৫)


    > رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ  وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنتَ مَوْلاَنَا

    উচ্চারণ : 'ওয়াফু আন্না ওয়াগফিরলানা ওয়ারহামনা আংতা মাওলানা ফাংছুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরিন।'

    অর্থ : 'হে আমাদের রব! যে বোঝা বহন করার সাধ্য আমাদের নেই, সে বোঝা আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়ো না। আমাদের পাপ মোচন করুন। আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। তুমিই আমাদের প্রভু।' (সুরা বাকারাহ : আয়াত ২৮৬)


    > رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِيْنَ سَبَقُوْنَا بِالْإِيْمَانِ

    উচ্চারণ : 'রাব্বানাগফিরলানা ওয়ালি ইখওয়ানিনাল্লাজিনা সাবাকুনা বিল ঈমানি।'

    অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! আমাদের ক্ষমা করুন এবং যারা আমাদের আগে যারা ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে, তাদেরকেও ক্ষমা করুন।' (সুরা হাশর : আয়াত ১০)


    সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, লাইলাতুল কদরে প্রিয় নবি ঘোষিত বিশেষ দোয়াসহ কুরআনে উল্লেখিত ক্ষমা প্রার্থনা দোয়াগুলো সেজদায় গিয়ে তাসবিহ পড়ে কিংবা শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ ও দরূদ পড়ার  পর নিজেদের গোনাহ থেকে মুক্তির জন্য বেশি বেশি পড়া। আর তাতেই মহান আল্লাহ রোজাদার মুমিন বান্দাকে গোনাহ থেকে মুক্তি দিয়ে নাজাত দান করবেন। 


    Tag: শবে কদরের দোয়া, শবে কদরের নামাজের দোয়া

                                   
    Previous Post Next Post

    (সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Telegram পেজ)