১নাম্ভার:-বিজয় দিবসের বক্তব্য
বিজয় দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা
"অতঃপর মা আমি ফিরে এলাম তোমার বুকে কিংবা এ মাটির বুকে,
বুঝে নাও রক্তের দামে কেনা তোমার এই রক্তাক্ত বিজয়!"
সম্মানিত সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ, শ্রদ্ধেয় অতিথিগণ, এবং প্রিয় সহপাঠীরা,
আপনাদের সবাইকে আমার পক্ষ থেকে বিজয়ের উষ্ণ শুভেচ্ছা এবং সালাম জানাই।
আজকের দিনটি আমাদের জন্য গৌরবের, অহংকারের। ১৯৭১ সালের এই দিনে, ১৬ ডিসেম্বর, আমরা অর্জন করেছিলাম সেই বহু আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা, যা বাঙালির ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়। এটি শুধুমাত্র আমাদের নয়, সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্যই এক অনুপ্রেরণার গল্প।
স্বাধীনতার মূল্য
এই বিজয় অর্জিত হয়েছে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে, লক্ষ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের নতুন ভোরের সূচনা করেছে। এই মাটির জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে, তারা বাংলার সূর্য সন্তান। তাদের প্রতি আমাদের চিরকৃতজ্ঞতা।
বাঙালির সংগ্রাম
কত বাধা, কত অন্তরায় পেরিয়ে আমরা এই স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি! দেশদ্রোহী শক্তি, দখলদার বাহিনীর নিষ্ঠুরতা, এবং দুঃসহ অত্যাচারের মধ্যে দিয়েও আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। আজ তারা নিশ্চিহ্ন, কিন্তু আমাদের দায়িত্ব এই বিজয়ের মহিমা রক্ষা করা।
আমাদের করণীয়
আজ আমরা দেখতে পাই যে, বিভেদের বেড়াজালে জড়িয়ে আমরা আমাদের আদর্শ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। মাতৃভূমির প্রকৃত মুক্তি তখনই সম্ভব, যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের স্বার্থপরতা দূর করে দেশের জন্য কাজ করব। মা-মাটি-দেশের প্রতি ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধই আমাদের প্রকৃত বিজয় নিশ্চিত করবে।
শেষ কথা
সেই সব শহীদের আত্মত্যাগ এবং মা-বোনদের সম্মানের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা যেন আমরা কখনো ভুলে না যাই। বিভেদের চক্র ভেঙে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারি। তবেই আমাদের বিজয় পূর্ণতা পাবে।
সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে এখানেই আমার বক্তব্য শেষ করছি।
জয় বাংলা, জয় স্বাধীনতা।
২ নাম্ভার :-বিজয় দিবসের বক্তব্য
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
সম্মানিত সভাপতি, প্রিয় শিক্ষকমণ্ডলী, শ্রদ্ধেয় অতিথিবৃন্দ, এবং প্রিয় সহপাঠীরা,
সকলকে জানাই আমার পক্ষ থেকে সালাম ও মহান বিজয় দিবসের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
আজকের এই দিন, ১৬ ডিসেম্বর, আমাদের জন্য এক গৌরবময় ও ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে, ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি সেই কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
বিজয়ের গুরুত্ব
বিজয় মানে শুধু স্বাধীনতা নয়, এটি আমাদের মা-বোনের সম্ভ্রম রক্ষা, আমাদের মাতৃভাষার প্রতি অধিকার এবং আমাদের মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার প্রতীক। যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের প্রতি আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ।
স্বাধীনতার সংগ্রাম
আমাদের স্বাধীনতার জন্য ত্যাগের কাহিনী কতটা মর্মান্তিক ছিল, তা বলার ভাষা পাওয়া কঠিন। দেশদ্রোহী শক্তি এবং দখলদার বাহিনীর নির্মম অত্যাচার পেরিয়ে বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে বিজয় অর্জন করেছে।
আমাদের দায়িত্ব
এই বিজয়ের পর আমরা যেন ভুলে না যাই শহীদদের আত্মত্যাগ। তাদের স্মরণ করে আমাদের উচিত দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা। মাতৃভূমিকে রক্ষা করা, এর সম্মান ধরে রাখা, এবং একে উন্নত দেশে রূপান্তর করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
শেষ কথা
আজকের এই মহান দিনে আমি প্রতিজ্ঞা করতে চাই, আমরা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে আমাদের বিজয়কে সত্যিকারের অর্থে বাস্তবায়িত করতে পারি।
সকল শহীদের প্রতি জানাই শ্রদ্ধা।
জয় বাংলা, জয় স্বাধীনতা।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আল্লাহ হাফেজ।
Tag:16 December Lecture:- ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৪
Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)