যে সকল শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।
সরকারি স্কুলে ভর্তির বয়স ২০২৩
শিক্ষার্থীর বয়স: জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছর হতে হবে। পরবর্তী শ্রেণিসমূহে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। ভর্তির বয়সের উর্ধ্বসীমা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় নির্ধারণ করবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সাথে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ০৫ (পাঁচ) বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেয়া যাবে।
শিক্ষাবর্ষ শুরু
শিক্ষাবর্ষ হবে ০১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
- প্রতি শ্রেণি শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে ৫৫ জন।
ভর্তির তারিখ ও ফি নির্ধারণ:
- কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় এবং আবেদন ফি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে।
- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।
ভর্তির জন্য আবেদন এবং শিক্ষার্থী নির্বাচন পদ্ধতি:
- 'ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি' কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী নির্ধারিত সফটওয়্যারে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
- 'ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি' কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে সারাদেশের সরকারি
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমুহের ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদন করবে।
- সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ভর্তির আবেদন ও আবেদন ফি গ্রহণ এবং ডিজিটাল লটারির ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশ কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
- ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের পূর্বে নির্বাচিত কারিগরি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সফটওয়ারের যথার্থতা সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অন্য একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যাচাই করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র সংরক্ষণ করতে হবে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা প্রস্তুত করার পাশাপাশি শূন্য আসনের সমান সংখ্যক অপেক্ষমান শিক্ষার্থীর তালিকাও প্রস্তুত করতে হবে।
- ভর্তি কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে তালিকার ক্রমানুসারে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রকাশিত অপেক্ষমান তালিকার ক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।
- শিক্ষাবর্ষের কোন সময়ে আসন শূন্য হলে প্রকাশিত অপেক্ষমান তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ভর্তি করে আসন পূরণ করতে হবে। এন্ট্রি/প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত যে কোন শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কোন ধরণের পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না।
- 'ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি' ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করবে। উক্ত তালিকা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি কমিটি কাগজপত্র যাচাইপূর্বক নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
- ঢাকা মহানগরী ব্যতীত সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি/প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী নির্বাচনের জন্য ডিজিটাল লটারির বিষয়ে 'ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি' কেন্দ্রীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করবে।
- 'ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি' ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি জাতীয় পত্রিকা/ওয়েবসাইট ইত্যাদিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করবে।
- এছাড়া জেলা/উপজেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি/ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থানীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারবে।
- যৌক্তিক কোন কারণে সরকারি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের সাথে সংযুক্ত হতে না পারলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি গ্রহণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করবে। তবে সেক্ষেত্রে ডিজিটাল লটারির দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
ভর্তির আবেদন ও ফি
অনলাইনে ভর্তি আবেদন ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে গ্রহণ করতে হবে। সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র নং শিম/অডিট সেল/২৪৩/২০১১/৪৭৫ তারিখ: ০৬/০৭/২০১৪ অনুযায়ী সর্বোচ্চ আদায় করা যাবে।
আবেদনে বিদ্যালয় পছন্দক্রম
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ০৫টি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে ০২টি পছন্দক্রম (০২ টি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে গণ্য হবে।
শূন্য আসন নিরুপণ
প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ বিভিন্ন শ্রেণির শূন্য আসনের চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারণ করবেন। 'ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি' কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্ধারিত সফটওয়্যারে তাঁর প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি ভিত্তিক শূন্য আসনের সংখ্যাসহ অন্যান্য তথ্য আপলোড করবেন।
ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠান ও ফলাফল তৈরি:
- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান আবেদন ও ডিজিটাল লটারির ফলাফল প্রকাশের যাবতীয় তথ্য 'ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি'র নিকট প্রদান করবে।
- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে 'ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি'র সদস্যদের উপস্থিতিতে লটারির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
- সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি/প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অনলাইনে প্রাপ্ত আবেদন ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ নীতিমালা অনুযায়ী শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত তালিকার সমসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে প্রথম অপেক্ষমান তালিকা নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে লটারির মাধ্যমে দ্বিতীয় অপেক্ষমান তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
- সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 'ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি'র নিকট থেকে প্রাপ্ত নির্বাচিতদের তালিকা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে এবং নোটিশ বোর্ডেও টাঙিয়ে দিবে। কোন অবস্থাতেই নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকার বাইরে কোন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা যাবে না।
আরো বিস্তারিত পড়তে নিচের পিকচার বা পিডিএফ ফাইল পড়তে পারেন।
সরকারি স্কুলে ভর্তি নীতিমালা ২০২৩ pdf
Tag:সরকারি স্কুলে ভর্তি নীতিমালা ২০২৩ pdf,সরকারি স্কুলে ভর্তির বয়স ২০২৩,সরকারি স্কুলে ভর্তি ২০২৩ আবেদন