আসছালামু আলাইকুম? প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা সবাইকে আমাদের Educationblog24.com এ স্বাগতম। আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা পবিত্র মাহে রমজান মাস চলতেছে। এই মাসের শেষের দশ দিন নবী করিম (সা:) ইতিকাফ করতেন। তাই আমাদের উপর ইতিকাফ করা সুন্নত।
ইতেকাফ সম্পর্কে আলোচনা
হাদিস শরীফে এসেছে ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন।’ (মুসলিম, হাদিস নম্বর ১১৭১) এ ছাড়া আরো ইতিকাফ সম্পর্কে আরো অসংখ্য হাদিস রয়েছে। রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ। অর্থাৎ ২০ রমজানের সূর্য ডোবার আগ মুহূর্ত থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ ওঠা পর্যন্ত মসজিদে ইতিকাফ করা। এ ধরনের ইতিকাফকে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কিফায়া বলা হয়। গ্রাম বা মহল্লাবাসীর পক্ষে কোনো এক বা একাধিক ব্যক্তি এই ইতিকাফ করলে সবার পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে।
ইতিকাফের উদ্দেশ্য
ইতিকাফের উদ্দেশ্য : ইতিকাফের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে লাইলাতুল কদর প্রাপ্তির মাধ্যমে মহান আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্য লাভ। ইতিকাফের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেম র: বলেছেন, ‘আল্লাহর প্রতি মন নিবিষ্ট করা, তাঁর সাথে নির্জনে বাস করা এবং স্রষ্টার উদ্দেশ্যে সৃষ্টি থেকে দূরে অবস্থান করা, যাতে তার চিন্তা ও ভালোবাসা মনে স্থান করে নিতে পারে।’
ইতিকাফের ফজিলত
ইতিকাফ সম্পর্কে হাদিস
আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর অসংখ্য হাদিস ইতিকাফ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। কয়েকটি হাদিস এখানে উল্লেখ করা হলো—
ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন।’ (মুসলিম, হাদিস নম্বর ১১৭১)
মদিনায় অবস্থানকালে রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতিবছরই ইতিকাফ পালন করেছেন। শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও রমজানে তিনি ইতিকাফ ছাড়েননি। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, তবে যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফে কাটান।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯০৩)
আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসের শেয দশকে ইতিকাফ করতেন। নাফি (রহঃ) বলেন, মসজিদের যে স্থানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ করতেন, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) তা আমাকে দেখিয়েছেন। (সহিহ মুসলিম শরীফ ২৬৫২:ইতিকাফ অধ্যায়)
ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, সাহল ইবনু উসমান, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতেন।(সহিহ মুসলিম শরীফ ২৬৫৪:ইতিকাফ অধ্যায়)
সাহল ইবনু উসমান (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসের শেয দশকে ইতিকাফ করতেন। (সহিহ মুসলিম শরীফ ২৬৫৩:ইতিকাফ অধ্যায়)
কুতায়বা ইবনু সা’দ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত রমযানের শেষ দশকেই ইতিকাফ করতেন। তার ইন্তেকালের পর তার সমধর্মিগীগণও ইতিকাফ করতেন। (সহিহ মুসলিম শরীফ ২৬৫৫:ইতিকাফ অধ্যায়)
ইতিকাফ একটি মহৎ ইবাদত। এ ইবাদত স্বেচ্ছায় পালনীয়। ইসলামী শরিয়তে বিনিময় দিয়ে ভাড়া করে ইবাদত করানোর সুযোগ নেই। টাকার বিনিময়ে ইতিকাফ করা ও করানো সম্পূর্ণ নাজায়েজ। এভাবে ইতিকাফ করানোর মাধ্যমে মহল্লাবাসী দায়মুক্ত হয় না। (রদ্দুল মুহতার : ২/৫৯৫, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া : ১৭/১৭১)
ইতিকাফ সম্পর্কিত বই PDF
Tag:ইতিকাফ ২০২৩ নিয়ম,ফজিলত,উদ্দেশ্য [PDF], ইতেকাফ সম্পর্কে আলোচনা, ইতিকাফ সম্পর্কে হাদিস
Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)