আসছালামু আলাইকুম সম্মানিত দ্বীনি ভাই ও বোনেরা সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। প্রিয় পাঠকবৃন্ধ আজকে আমরা তোমাদের এই আর্টিকেলে ইমামের পিছনে নামাজের নিয়ম [A To Z] -ইমামের পিছনে নামাজের নিয়ত আরবিতে,বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আসা করি তোমাদের উপকারে আসবে।
ইমামের পিছনে নামাজের নিয়ম
ইমামের পিছনে নামাজের নিয়ম: বন্ধুরা আমরা অনেকে ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম জানি না। তাই অনেকে ইমামের পিছনে নামাজের নিয়ম জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই তোমাদের সুবিধার জন্য আমাদের এই আর্টিকেল। প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা উম্মতে মুহাম্মাদীর উপর আল্লাহ তায়ালা ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। মুসল্লির যখন ইমামের পিছনে নামাজ আদায় করবে তখন ইমামেত অনুসরণ করতে হয়। এই অনুসরণ কিভাবে করবেন নিয়ম নিয়ত জেনে নিন।
প্রিয় দ্বীনি ভাইয়েরা ইমামের পিছনে আপনি যখন নিয়ত করে দারাবেন তখন শুধু কেরাত পড়বেন না বাকি সব করতে পারবেন অন্যান্য নামাজের মত।ইমামের সঙ্গে তাকবিরে তাহরিমা থেকে নিয়ে, সানা, রুকু সেজদার তাসবিহ, তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাসূরা, রুকু সেজদায় যাওয়া আসার তাকবীর ইত্যাদি যত কিছু ইমাম পড়বেন, সবই মুসল্লি করবেন ও পড়বেন।হানাফি মাজহাব অনুযায়ী, মু্ক্তাদির জন্য ইমামের পেছনে কেরাত পড়া ওয়াজিব নয়। বরং ইমাম যখন কেরাত পড়বেন মুক্তাদি তখন চুপ থাকবেন এবং ইমামের কেরাত শুনবেন।
এ বিষয়ে তারা পবিত্র কোরআনের এই আয়াতের মাধ্যমে দলিল দিয়ে থাকেন। যেখানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُواْ لَهُ وَأَنصِتُواْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
যখন কোরআন তোমাদের সামনে পড়া হয়, তা শোনো মনোযোগ সহকারে এবং নীরব থাকো, হয়তো তোমাদের প্রতিও রহমত বর্ষিত হবে। (সূরা আরাফ, আয়াত, ২০৪)
এছাড়াও আরেকটি হাদিসের মাধ্যমে হানাফি মাজহাবের আলেমরা দলিল দিয়ে থাকেন। যেখানে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ فَقِرَاءَتُهُ لَهُ قِرَاءَةٌ
যে ব্যক্তির ইমাম আছে তার ইমামের কেরাতই তার জন্য কেরাত বলে ধর্তব্য হবে। (সুনানে ইবন মাজাহ, ৮৫০)
তবে এরপরও কেউ যদি ইমামের পেছনে কেরাত পড়ে তাহলে তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে তবে তা মাকরূহ হবে।
এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অনুসরণ করার জন্যই তো ইমাম নিযুক্ত করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন তাকবীর বলেন, তোমরাও তাকবীর বলো। যখন তিনি কেরাত পড়েন তখন তোমরা নীরব থাকো। যখন তিনি গাইরিল মাগযূবি আলাইহিম ওয়ালায-যুআলীন বলেন, তখন তোমরা আমীন বলো। যখন তিনি রুকূ করেন, তখন তোমরাও রুকূ করো। আর যখন তিনি সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলেন, তখন তোমরা আল্লাহুম্মা রাববানা ওয়ালাকাল হামদ বলো। যখন তিনি সিজদা করেন, তখন তোমরাও সিজদা করো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস, ৮৪৬)
ইমামের পিছনে নামাজ
- নিয়ত: ইমামের পিছনে দাঁড়িয়ে কিবলামুখী হয়ে নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম। (নিয়ত মনে মনে করতে হবে)
- আল্লাহু আকবার বলে কান পর্যন্ত হাত তুলে নাভির উপর/বুকের নিচে বাধতে হবে। (নাভির উপর, নিচ, বুক যেখানে মন চায়)
- ছানা পড়তে হবে। (সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়াবি হামদিকা ওয়া তাবারাকাছমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়ালা ইলাহা গাইরুক)
- তারপর ইমাম যদি সূরা পড়েন তাহলে চুপ করে মন দিয়ে শুনতে হবে। (ফজর, মাগরিব-এশার ১ম ২য় রাকাত)
- ইমাম সূরা না পড়লে (জোহর, আছর) আপনি সূরা পড়তেও পারেন, চুপ থাকতেও পারেন। ইচ্ছা।
- ২য় রাকাতে বসে তাশাহুদ পড়তে হবে। (আত্তাহিয়াতু লিল্লাহি.....)
- ৪র্থ রাকাতে বসে তাশাহুদ, দরুদ এবং দুয়া মাছুরা। (আত্তাহিয়াতু লিল্লাহি..., আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ....., আল্লাহুম্মা ইন্নি জ্বলামতু নাফসি...)
- সবশেষে ইমাম সালাম ফেরাবে, আপনিও সালাম ফেরাবেন। ডানে, বামে।
ইমামের পিছনে নামাজের নিয়ত আরবিতে,বাংলায়
নামাজের নিয়ত আরবীতে করতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা ও নাই আপনি ইমামের পিছনে যখন নামাজ পড়বেন তখন নিয়ত করবেন যেমন;-
ফজরের দু'রাকাত ফরযের নিয়ত
নাওয়াইতু আন উছল্লিয়া লিল্লাহি তাআ'লা রাকয়াতাই ছালাতিল ফাজরি ফারদ্বীল্লা-হি তাআ'লা,মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়ত
আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ফজরের দু'রাকআত ফরয নামায আদায় করার জন্য নিয়ত করছি; আল্লা-হু আকবার।
বাংলা নিয়তের সময় ওকাক্তের নাম পরিবর্তন করে নিয়ত করবেন ।
Tag:ইমামের পিছনে নামাজের নিয়ম,ইমামের পিছনে নামাজের নিয়ত আরবিতে,বাংলায়