গ্রাম্য সালিশ নামা লেখার নিয়ম:
১. শিরোনাম দিন – বড় করে লিখুন “সালিশ নামা”
২. তারিখ ও স্থান – সালিশ কবে, কোথায় হয়েছে, তা স্পষ্ট করে লিখুন
৩. বিষয় উল্লেখ – কী নিয়ে বিরোধ হয়েছিল, তা সংক্ষেপে লিখুন
৪. পক্ষদ্বয়ের নাম ও ঠিকানা – অভিযোগকারী ও অভিযুক্তের নাম ও ঠিকানা
৫. ঘটনার বিবরণ – কী ঘটেছিল, কোন তারিখে ঘটেছিল, বিস্তারিত লিখুন
৬. সালিশদারদের তালিকা – কারা সালিশে উপস্থিত ছিলেন, তাদের নাম
৮. স্বাক্ষর – দুই পক্ষের, সালিশদারদের এবং সাক্ষীদের স্বাক্ষর
📝 গ্রাম্য সালিশ নামা নমুনা (সালিশ পত্র):
নিচে মামলা ও মারামারি সংক্রান্ত গ্রাম্য সালিশ নামা–এর একটি পূর্ণাঙ্গ নমুনা দেওয়া হলো। এটি আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী কপি করে ব্যবহার করতে পারেন বা সম্পাদনা করে নিতে পারেন।
📝 গ্রাম্য সালিশ নামা
তারিখ: ১২ জুলাই ২০২৫
স্থান: ধলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ
বিষয়: মামলা ও মারামারি সংক্রান্ত বিরোধের মীমাংসা
✅ উপস্থিত সালিশকারীদের নাম:
১। মোঃ আব্দুল হাকিম – সভাপতি, ইউপি সদস্য
৩। মোঃ আনোয়ার হোসেন – শিক্ষক ও সালিশদার
৪। মোঃ ফারুক হোসেন – গ্রামপুলিশ
✅ বিরোধে জড়িত পক্ষদ্বয়ের নাম ও ঠিকানা:
অভিযোগকারী:
মোঃ মনিরুল ইসলাম
পিতা: আব্দুল জলিল
গ্রাম: ধলগ্রাম, ডাকঘর: ধলগ্রাম, উপজেলা: কালিগঞ্জ, জেলা: সাতক্ষীরা
অভিযুক্ত:
মোঃ রফিকুল ইসলাম
গ্রাম: ধলগ্রাম, ডাকঘর: ধলগ্রাম, উপজেলা: কালিগঞ্জ, জেলা: সাতক্ষীরা
✅ ঘটনার বিবরণ:
গত ৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে বিকাল আনুমানিক ৪:৩০ মিনিটে ধলগ্রামের বাজারে মনিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলামের মধ্যে পূর্বের একটি পারিবারিক বিরোধ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়, যা পরবর্তীতে হাতাহাতি ও মারামারিতে রূপ নেয়। এতে মনিরুল ইসলাম মাথায় ও হাতে আঘাত পান এবং তিনি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। উভয় পক্ষের সম্মতিতে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়।
✅ সালিশের সিদ্ধান্ত:
সালিশকারীদের সম্মিলিত আলোচনায় ও উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত হয় যে—
- অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করবেন এবং মনিরুল ইসলামের চিকিৎসা বাবদ ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণ প্রদান করবেন।
- মনিরুল ইসলাম ভবিষ্যতে আর মামলা করবেন না মর্মে সম্মত হন।
- উভয় পক্ষ লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন যে, ভবিষ্যতে একে অপরের প্রতি কোনো ধরনের শত্রুতা বা বিরোধ সৃষ্টি করবেন না।
- যদি ভবিষ্যতে একই ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটে, তবে উক্ত ব্যক্তি বা পক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উক্ত সালিশ নামা তৈরি করে উভয় পক্ষের স্বাক্ষর ও উপস্থিত সালিশদারদের স্বাক্ষরের মাধ্যমে তা চূড়ান্ত করা হলো।
✅ স্বাক্ষরসমূহ:
__________________________
অভিযোগকারী (মনিরুল ইসলাম)
__________________________
__________________________
সভাপতি (মোঃ আব্দুল হাকিম)
__________________________
সালিশদার (মোঃ সাইফুল ইসলাম)
__________________________
সালিশদার (মোঃ আনোয়ার হোসেন)
__________________________
সাক্ষী ১ (মোঃ ফারুক হোসেন)
__________________________
সাক্ষী ২ (মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান)

Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)