মে দিবসের ইতিহাস [PDF] | শ্রমিক দিবস কেন পালিত হয়

মে দিবসের ইতিহাস [PDF] | শ্রমিক দিবস কেন পালিত হয়


আসছালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। ১ মে সারা বিশ্বে মে দিবস /শ্রমিক দিবস পালিত হয়। এই শ্রমিক দিবস কি করে সারা দেশে শ্রমিক দিবস হলো। এর পিছনে কি ইতিহাস রয়েছে আজকে আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করবো। আপনারা যারা এখন ও মে দিবসের ইতিহাস জানেন না আমাদের এই আর্টিকেল থেকে আসা করি মে দিবসের ইতিহাস বিস্তারিত জানতে পারবেন।

    মে দিবস ২০২৩

    মহান মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের ইতিহাসে এক চীর ভাস্বর দিন । ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে হে মার্কেটে যে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে শ্রমিকের ৮ ঘন্টা কাজের দাবী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো তার স্মৃতি শ্রমজীবী মানুষ তথা বিশ্বের সকল মানুষের কাছে চির অম্লান হয়ে থাকবে। শিকাগোর ঐতিহাসিক ঘটনা এবং পরে মহান মে দিবস উদ্যাপনের দীর্ঘ ঐতিহ্য শুধু শ্রমিক সমাজ ও মেহনতি মানুষের অধিকার সচেতনে ঐক্যবদ্ধ ও দাবি আদায়ে সক্ষমই হয়নি, এর ফলে শোষণ ও বঞ্চনার অবসান ঘটিয়েছে অনেকখানি।

    সংগ্রামী ও মেহনতি মানুষ যে শক্তি হিসাবে বিরাট এ উপলব্ধি সৃষ্টিতে এবং স্বীকৃতি অজর্নে ঐতিহাসিক মে দিবসের অবদান অনেকখানি । শ্রমিক সমাজ ও মেহনতি মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণে ও তাদের কল্যাণে দেশে দেশে যে সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার পিছনেও মে দিবসের ঐতিহাসিক ঘটনা ও তার সাফল্যের অনুপ্রেরণা ও অবদান কম নয় ।

    মহান মে দিবস প্রতিটি শ্রমজীবী মানুষকে নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি জোরদার করতে শিক্ষা দেয়। মে দিবসের মহান আদর্শের কথা স্মরণ রেখে ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠা, আদায় ও কল্যাণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে শ্রমিক সমাজ ও মেহনতি মানুষ এবং কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষ থেকে সহযোগিতামূলক মনোভাব গ্রহণ করলেই আর কোন সমস্যার উদ্ভাবন না হয়ে উৎপাদন অব্যাহত থাকবে এবং জাতীর পক্ষে এটাই কল্যাণকর হবে। সকলকে জানাই মে দিবসের শুভেচ্ছা।

    মে দিবসের ইতিহাস 

    মহান মে দিবস: ইতিহাসের প্রেক্ষাপট

    কর্মঘন্টাকে আট ঘন্টায় নামিয়ে আনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে মে দিবসের জন্ম কাহিনী। মূলতঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই এই আন্দোলনের সূচনা। গোড়ার দিকে যদিও মজুরি বাড়ানোর দাবীতেই আন্দোলন শুরু হয়। ১৮০৬ সালে ফিলাডেলফিয়াथ জুতা শ্রমিকরা যখন ধর্মঘট করে তখন তাদের কর্মঘন্টা ছিল প্রতিদিন প্রায় ২০ ঘন্টা। ১৮২০ থেকে ১৮৪০ সাল পর্যন্ত কর্মঘন্টা কমাবার জন্য অসংখ্য ধর্মঘট হয়। ১৮২৭ সালে দৈনিক দশ ঘন্টা কাজের নিয়ম চালু করার দাবীতে মেকানিকদের উদ্যোগে ফিলাডেলফিয়ায় গঠিত হয় বিশ্বের প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন। ১৯৫০ সাল থেকে পরবর্তী সময়ে শ্রমিক ইউনিয়ন গড়ার উদ্দীপনা বাড়তে থাকে।


    ১৮৬৬ সালে বাল্টিমোরে ষাটটি ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা মিলিত হয়ে প্রতিষ্ঠা করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শ্রমিক ফেডারেশন 'ন্যাশনাল লেবার ইউনিয়ন", যা সে বছরই দৈনিক আট ঘন্টা কাজের প্রস্তাবটি গ্রহণ করে। একই বছর ১ ফার্স্ট ইন্টারন্যাশনাল এর জেনেভা কংগ্রেসেও প্রস্তাবটি গৃহিত হয়।


    ১৮৮৪ সালে আট ঘন্টা কাজের দাবীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয় আন্দোলন, যার সঙ্গে মে দিবসের জন্ম সরাসরি জড়িত। ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার ১ মে তারিখ থেকে দৈনিক আট ঘন্টা কাজের প্রস্তাবটি গ্রহণ করে আন্দোলন গড়ে তোলে। সে বছর আট ঘন্টা কাজের দাবীতে সকল শ্রমিক ধর্মঘট করে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। ধর্মঘটের কেন্দ্র ছিল শিকাগো।

    ১৮৮৬ সালের ১ মে তারিখে শিকাগোতে শ্রমিকদের এক বিশাল সমাবেশ হয়। আন্দোলনের ডাকে সকল শ্রমিক কাজ বন্ধ করে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে এর আগে শ্রেণী সংহতি। প্রকাশের এত বলিষ্ঠ প্রকাশ আর দেখা যায় নি। সে দিন আট ঘন্টা আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে।

    ৩ মে শিকাগোর ম্যাককমিক ফসল কাটার কারখানায় ধর্মঘটী শ্রমিকদের সমাবেশের ওপর পুলিশের আক্রমনে নিহত হন চার শ্রমিক। পরদিন হে মার্কেটে এর প্রতিবাদে সমাবেশস্থলে অজ্ঞাতনামা কারও বোমার আঘাতে এক পুলিশ সার্জেন্টের মৃত্যু, এরপর লড়াইয়ে আরও চার শ্রমিক আর সাত পুলিশের মৃত্যুতে উন্মাদ হয়ে ওঠে পুলিশ বাহিনী। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হে মার্কেট চত্তর রক্তে রঞ্জিত করে। এরপর প্রহসনের বিচারে ফাঁসির মঞ্চে নির্বিচারে প্রাণ দেন সংগ্রামী শ্রমিক নেতারা। জন্ম হয় এক মহান বিপ্লবের।

    মে দিবসকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক শ্রেণীর সংহতি দিবস হিসেবে উন্নীত করার পেছনে ২ সেকেন্ড ইন্টারন্যাশনাল এর রয়েছে অনন্য অবদান। ১৮৮৯ সালে সংগঠনটির প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। প্যারিসে। ঐ কংগ্রেসেই ১ মে তারিখটিকে বিশেষ দিবস হিসেবে উদযাপনের জন্য চিহ্নিত করা হয়, যা প্রতি বছরই শ্রমজীবী মানুষের একটি মহান দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে।


    পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেশে মে দিবস পালন


    পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অত্যন্ত মর্যাদার সাথে মে দিবস উদযাপিত হয়। ৯০টিরও বেশী দেশে এটিকে জাতীয় ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। পৃথিবীর বহুসংখ্যক দেশে রাষ্টীয়ভাবে দিনটি উদযাপিত হয়। এ দিনে জীবন ও নেতৃত্বদানকারী ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের স্মরণ, শ্রমজীবী মানষের অবদান, মর্যাদা এবং তাদের অধিকার সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মে দিবস উদযাপনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো:


    আমেরিকান দেশসমূহ:


    আমেরিকা ও কানাডায় সেপ্টেম্বরের ১ম সোমবার লেবার ডে উদযাপিত হয়। শুধুমাত্র সমাজতন্ত্রী এবং বিশ্বায়ন বিরোধী সংগঠনগুলো ১ মে দিবস উদযাপন করে।


    ল্যাটিন আমেরিকার দেশসমূহে অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণভাবে মে দিবস উদযাপিত হয়। মে দিবসকে স্প্যানিশ ভাষায় Dia del Trabajo বলা হয়। কোন কোন দেশে মে দিবস লেবার ডে, ওয়ার্কার্স ডে নামে পরিচিত।


    আর্জেন্টিনায় ১৮৯০ সাল থেকে ব্যাপকভাবে মে দিবস উদযাপিত আসছে। এ দিনটি সেখানে সরকারী ছুটির দিন। চিলিতে ১৯৩১ সাল থেকে ছুটির দিন পালন করা হয়। বলিভিয়া, ব্রাজিল, ইকুয়েডর, এল সাল ভাদর, গুয়াতেমালা, ভেনিজুয়েলা, পেরু, মেক্সিকো উরুগুয়ে ইত্যাদি দেশসমূহে মে দিবস লেবার ডে হিসাবে পরিচিত। এ সব দেশে দিনটি সরকারী ছুটির দিন। কোস্টারিকায় অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণ এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দিনটি উদযাপিত হয়। এ দিনে দেশের প্রেসিডেন্ট বক্তৃতা করেন। এদেশেও দিনটি সরকারী ছুটির দিন। সমাজতান্ত্রিক দেশ কিউবায় রাষ্ট্রীয়ভাবে উযাপন করা হয়। সেখানকার রেভ্যুলিউশন স্কয়ারে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক-ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে জড়ো হয়। এ সমাবেশে যোগদানের জন্য অন্যান্য ভ্রাতৃপ্রতিম দেশকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়।


    ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায় মে দিবস:


    ইউরোপীয় দেশসমূহে বিশেষ করে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ দেশসমূহে আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে মে দিবস উদযাপন করা হয় । বুলগেরিয়া, ইতালীসহ কয়েকটি দেশে ১৮৯০ সাল থেকেই মে দিবস পালন করা হয়। বেশীরভাগ ইউরোপীয়ান দেশে দিনটি শ্রমিক দিবস' হিসাবে পরিচিত। রোমানিয়ায় এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক বলা হয়। পোলান্ডে ১৯৯০ সাল থেকে এ দিনটিকে 'স্টেট হলিডে' হিসাবে নতুন নামকরণ করা হয়েছে।


    বেশীর ভাগ ইউরোপীয় দেশেই দিনটি ছুটির দিন তবে পর্তুগাল ও নেদারল্যান্ডে দিবসটি উদযাপন করা হলেও ছুটি দিন হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি।


    অস্ট্রেলিয়াতে ১মে উদযাপিত হয়না তবে এর বিভিন্ন প্রদেশে মার্চ, মে বা অক্টোবর মাসের বিভিন্ন তারিখে শ্রমিক দিবস উদযাপন করা হয় এবং দিনটিকে সরকারী ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা করা হয় ।


    আফ্রিকায় মে দিবস:


    পৃথিবীর অন্যন্য মহাদেশের মত আফ্রিকায়ও অত্যান্ত মর্যাদায় মে দিবস উদযাপিত হয়। বিভিন্ন দেশে বর্ণিল শোভাযাত্রা, মিছিল মিছিলে ভরে যায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের রাজপথ। নিপীড়িত মানুষের মুহুর্মুহু শোগানে শোষকের কাপুনি উঠে যায়। এ দিনটি আলজেরিয়া, মিশর লিবিয়া, মরক্কো, দ: আফ্রিকা, তানজানিয়া, কেনিয়া নাইজেরিয়াসহ বেশীরভাগ দেশেরই সরকারী ছুটির দিন। নাইজেরিয়া ১৯৮১ এবং দ: আফ্রিকা ১৯৯৪ সাল থেকে দিনটিকে সরকারী ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা দেয়। 

    এশিয়ায় মে দিবস:

    ঊনিশ শতকের শুরু দিক থেকেই এশিয়ায় মে দিবস উদযাপিত হয়। দিনটিকে মে দিবস, শ্রমিক দিবস, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, শ্রমিক সংহতি দিবস ইত্যাদি হিসাবে অভিহিত করা হয়। কম্বোডিয়ায় দিনটি ছাত্র ও শ্রমিক দিবস নামে পরিচিত। বেশীরভাগ এশীয় দেশেই দিনটি সরকারী ছুটির দিন।


    ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশ


    আমেরিকার শিকাগো শহরের শহীদ শ্রমিকদের অনুপ্রেরনায় ভারতবর্ষেও দাবি আদায়ে ধর্মঘট আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। রেল, চা বাগান ও স্টিমার শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও সংহতি ব্রিটিশদের কাঁপিয়ে তোলে ১৯২০ সালের দিকে। পরবর্তীকালে সুতাকলসহ বিভিন্ন কলকারখানায় শ্রমিকদের দাবী আদায়ের জন্য সংগঠিত হতে থাকে। ঐ সময় গড়ে ওঠা ট্রেড ইউনিয়নসমূহ পালনের প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু ওই সময় অধিকাংশস্থানে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ায় গোপনে গোপনে মে দিবস পালিত হয়।


    এই উপমহাদেশে প্রথম মে দিবসের অনুষ্ঠান পালন করা হয় মাদ্রাজে ১৯২৩ সালে । এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়া। তৎকালীন বাংলার শিল্পকেন্দ্র কলকাতায় সর্বপ্রথম মহান মে দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয় ১৯২৭ সালে। একই সময় তৎকালীন পূর্ব বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশে মে দিবস পালিত হয়।


    ১৯৩৮ সালে নারায়ণগঞ্জে মে দিবস পালনের খবর পাওয়া যায়। দাবী আদায়ের জন্য পরবর্তী কোন কোন বছর মে দিবসে ধর্মঘট পালিত হয়। মে দিবসে ছুটি দেওয়ার দাবী উত্থাপিত হয় সর্বত্র। পুরো পাকিস্তান আমল ঐক্যবদ্ধ ও পৃথক পৃথকভাবে প্রতিবছর উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে মে দিবস পালিত হয়।


    স্বাধীনতা সংগ্রামসহ অন্যান্য আন্দোলনে অংশগ্রহনের মাধ্যমে আমাদের দেশের শ্রমিকরা প্রমান করেছেন ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন থেকে বিছিন্ন থাকতে পারে না। আইন করে বা নানা কূটকৌশলের মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যায় না । ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন তার নিজস্ব গতিতে চলে। ১৯৭০, ১৯৮০, ১৯৮৬, ১৯৯১ সাল সহ অন্যান্য সময় উল্লেখযোগ্য আন্দোলন করেছে। ১৯৮২ সালে এরশাদ সরকার মতায় এসেই মার্শাল 'ল' জারি করে ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার হরনসহ মিটিং করা নিষিদ্ধ করে দেয় । কিন্তু সামরিক শাসন জারির মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে সামরিক আইনকে উপেক্ষা করে চট্রগ্রাম পহাড়তলী ওয়ার্কশপে নৌবাহিনীর হামলায় কুনু মিয়া হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে এরশাদ তথা সামরিক শাসনবিরোধ জঙ্গি আন্দোলন হয়।


    মে দিবস ও বর্তমান প্রেক্ষাপট


    ১৮৮৬ সালকে ভিত্তি ধরলে ১ মে ২০২৩ হবে আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসের ১৩৭ বছর। এ সময়ে পৃথিবীতে অনেক বড় বড় পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। মানষের সামাজিক অগ্রযাত্রায় অনেক অর্জন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আজ স্বীকৃত মানবাধিকার। মে দিবসের প্রধান দাবী আট ঘন্টা কাজ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই আইন কওে বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং শ্রমিকের মৌলিক অধিকার, যুক্তিসঙ্গত মজুরির বিনিময়ে কাজের নিশ্চয়তা এবং সামাজিক নিরাপত্তা করাকে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে । শ্রম আইনে শ্রমিকওে আট ঘন্টা কাজ, বিশ্রাম, ছুটিসহ অন্যান্য অধিকারকে আন্তর্জাতিক মানদন্ডের আলোকে নিশ্চিত করা হয়েছে, যা ছিল মে দিবসের আন্দোলনকারী শ্রমিকগণের প্রধান দাবী ।


    কিন্তু বলতে দ্বিধা নেই যে, এত সব অর্জনের পরেও সামগ্রিক লক্ষ্য অর্জনে এখনও অনেক পথ বাকি আছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে এমন অনেক পেশা রয়েছে যেখানে লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবী মানুষ এখনও মে দিবসের পূর্বের জমানায় রয়ে গেছে।


    শ্রমিক দিবস কেন পালিত হয়

    বন্ধুরা আজকে আমরা এই আর্টিকেলে শ্রমিক দিবস কেন পালিত হয় বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আসা করি শ্রমিক দিবস কেন পালিত হয় এই আর্টিকেল পড়লে জেনে যাবেন।

    Tag:মে দিবসের ইতিহাস, শ্রমিক দিবস কেন পালিত হয়

                                   
    Previous Post Next Post


    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com

     



    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com

    (সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Telegram পেজ)