আসছালামু আলাইকুম প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা সবাই কেমন আছেন। আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। পবিত্র মাহে রমজানের শেষের ১০ দিন রাসুল সাঃ মসজিদে ইতিকাফ করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগন ও করেছেন। ইতিকাফের বিধিসম্মত সময় মাহে রমজানের ২০ তারিখ সূর্য অস্ত যাওয়ার কিছু আগে থেকে শুরু হয় এবং ঈদের চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই তা শেষ হয়ে যায়।
ইতিকাফ কারী ব্যক্তি ইতিকাফরত অবস্তায় দুনিয়ায় সকল কর্মকান্ড থেকে মুক্ত রেখে আল্লাহর ইবাদতে মসগুল থাকতে হবে। এবং দুনিয়ার বিষয়ে কথাবার্তা, আলাপ-আলোচনা থেকে দূরে থাকা অত্যাবশ্যক।
প্রিয় পাঠকবৃন্ধ আজকে আমরা এই পোস্টে তোমাদের ইতিকাফ শব্দের অর্থ কি - ইতিকাফ/এতেকাফ কয় প্রকার ও কি কি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
ইতেকাফ শব্দের অর্থ কি?
ইতেকাফ শব্দের আভিধানিক অর্থ অবস্থান করা বা কোনো স্থানে নিজেকে আবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতেকাফ বলা হয়, আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির জন্য এক বিশেষ সময় এবং বিশেষ নিয়মে নিজেকে মসজিদে আবদ্ধ রাখা। লায়লাতুল কদর অনুসন্ধান করার জন্য ইতেকাফ করা সুন্নত। সহিহ বোখারিতে প্রমাণিত আছে, নবী করিম (সা.)
ইতেকাফ কত প্রকার ও কি কি?
ইসলামী শরীয়তে ই‘তিকাফ ৩ প্রকার।
(ক) ওয়াজিব ই‘তিকাফ : ওলামায়ে কেরামের ঐকমত্যে ওয়াজিব ই‘তিকাফ হলো মানতের ই‘তিকাফ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَلۡيُوفُواْ نُذُورَهُمۡ ... ٢٩ ﴾ [الحج: ٢٩]
অর্থাৎ ‘‘তারা যেন তাদের মানৎ পূর্ণ করে।’’ (সূরা হাজ্জ : ২৯)
(খ) সুন্নাত ই‘তিকাফ : রমযানের শেষ ১০ দিনের ই‘তিকাফ। সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। যেমন :
كَانَ رَسُوْلُ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- يَعْتَكِفُ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে শেষ দশদিন ইতিকাফ করতেন।’ (বুখারী : ২০২৫; মুসলিম : ১১৭২)
(গ) মুস্তাহাব ই‘তিকাফ : উল্লেখিত দু’প্রকার ব্যতীত বাকী সব মুস্তাহাব ইতেকাফ।
Tag;ইতিকাফ শব্দের অর্থ কি,ইতিকাফ/এতেকাফ কয় প্রকার ও কি কি
Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)