থাই কৈ মাছ চাষ পদ্ধতি বর্ণনা | এসএসসি (ভোকেশনাল) এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর /সমাধান ৩য় সপ্তাহের ফিস কালচার অ্যান্ড ব্রিডিং-১ (এসাইনমেন্ট ৩) | ২০২১ সালের এসএসসি (ভোকেশনাল) ৩য় সপ্তাহের ফিস কালচার অ্যান্ড ব্রিডিং-১ এসাইনমেন্ট সমাধান ( ২য় পত্র)


    এসএসসি (ভোকেশনাল) এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর /সমাধান ৩য় সপ্তাহের ফিস কালচার অ্যান্ড ব্রিডিং-১ (এসাইনমেন্ট ৩)


    থাই কৈ মাছ চাষ পদ্ধতি বর্ণনা


    সমাধানঃ


    ১. থাই কৈ মাছঃ 


    আমাদের দেশে প্রাচীনকাল থেকেই কৈ মাছ একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু মাছ হিসেবে পরিচিত । এক সময় বাংলাদেশের নদী - নালা , খাল - বিল , হাওর বাওড় ও প্লাবন ভূমিতে প্রচুর পরিমাণে কৈ মাছ পাওয়া যেত । আবহমানকাল থেকে আমাদের দেশে জীয়ল ( মাছ ঘরের পাত্রের পানিতে জীবন্ত মাছ রাখার পদ্ধতি ) মাছ হিসাবে কৈ মাছকে অতিথি আপ্যায়নের জন্য আন্তরিকতা ও সম্মানের বলে বিবেচিত । সে সময় এ মাছ যেমন সহজলভ্য ছিল তেমনি এর দামও ছিল ক্রয়সীমার মধ্যে । কিন্তু সময়ের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন কারণে অন্যান্য মাছের সঙ্গে কৈ মাছও তার পূর্বের অবস্থানে নেই । তবে এর সার্বজনীন চাহিদা ও মূল্য সব সময়ই আভিজাত্য বজায় রেখে চলেছে । অতি সম্প্রতি দেশীয় কৈ মাছের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে থাইল্যান্ড থেকে আমদানীকৃত দ্রুত বর্ধনশীল কৈ মাছকে কৈ মাছ নামে অভিহিত করা হয়। 


    ২.থাই কৈ মাছের পােনা শনাক্তঃ 


    থাই কৈ মাছের পােনা শনাক্তকরণের ৪ টি বৈশিষ্ট্য নিন্মে দেওয়া হলােঃ


    ৩. থাই কৈ মাছ চাষের বিভিন্ন ধাপ 


    নিন্মে থাই কৈ মাছ চাষের ৮ টি ধাপ নিয়ে আলােচনা করা হলােঃ 

    পুকুর নির্বাচন 

    মাছ চাষের জন্য পুকুর নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । এ মাছ চাষের জন্য ৪-৬ মাস ন থাকে এ রকম ১৫-৫০ শতাংশের পুকুর নির্বাচন করতে হবে । তবে এর চেয়ে ছােট বা বড় পুকুরেও এ মাছ চাষ করা যায় ।


    পুকুর প্রস্তুতি 

    পুকুরের পাড় মেরামত ও জলজ আগাছা পরিষ্কার করতে হবে । 

    পুকুর সেচে পানি শুকিয়ে অবাঞ্ছিত মাছ ও প্রাণী দূর করাতে হবে । 

    পুকুর শুকানাে সম্ভব হলে কয়েক বার জাল টেনে রানুসে মাছ ও অন্যান্য প্রাণী ধরে ফেলতে হবে । 

    প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়ােগ আবশ্যক । চুন প্রয়ােগের ৫ দিন পরে পােনা মজুদের ব্যবস্থা নিতে হবে ।  

    পােনা মজুদের পূর্বে পুকুরের চারদিকে নাইলন নেটের ফেনসিং দিতে হবে । 


    পােনা সংগ্রহ 

    পুকুরেচাষের জন্য কৈ মাছের পােনা হ্যাচারী হতে সংগ্রহ করতে হবে । পােনা পলিথিন ব্যাগে অক্সিজেন দিয়ে পরিবহণ করতে হবে ।


    পােনা মজুদ 

    চারী থেকে সংগৃহিত ধানী পােনাকে কিছু দিন ( ১৫-২০ ) চারা রে রেখে দৈর্ঘ্য ৪-৬ সেন্টিমিটার বা ওজন ৩-৪ গ্রাম হলে স্ত্রী ছ আলাদা করে পালন পুকুরে মজুদ করলে ভাল ফল পাওয়া । পুকুর ব্যবস্থাপনা , খাদ্য প্রয়ােগ ও খাদ্যের গুণগতমানের র নির্ভর করে প্রতি শতাংশে সুস্থ - সবল ৫০০-১০০০ টি দানা মজুদ করা যেতে পারে । পােনা মজুদের সময় পােনাকে মজুদকৃত পুকুরের পানির সাথে কন্ডিশনিং করে তারপর ছাড়তে হবে ।


    কৈ মাছের পুষ্টি চাহিদা 

    মাছের আমিষ চাহিদা বিশেষ করে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা কার্প বা রুই জাতীয় মাছের চাইতে বেশি । কৈ মাছের পানার আমিষের চাহিদা ৩০ ৩৫ % ও চাষযােগ্য মাছের ক্ষেত্রে তা ৩০ % । পুকুরের প্রাকৃতিক খাদ্য হতেও কৈ মাছের আমিষের কিছুটা চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে । কৈ মাছের একটি আদর্শ খাবারে আমিষ ৩০-৩৫ % , চর্বি ৪-৫ % , শর্করা ৪ % , অ্যাশ ১৪ % , ফাইবার ৫ % ও ময়েশ্চার ১১ % থাকা প্রয়ােজন। 


    খাদ্য তৈরি ও প্রয়ােগ পদ্ধতি 

    সূত্র অনুযায়ী উপাদানসমূহ নির্দিষ্ট পরিমাণে মেপে নিতে হবে এবং পরিষ্কার ও শুকনা স্থানে ঢেলে আস্তে আস্তে ভাল করে মেশাতে হবে । 

    ভালভাবে মেশানাের পর অল্প অল্প পানি এমনভাবে মেশাতে হবে যাতে মিশ্রণটি একটি আঠালাে মন্ড বা পেস্টে পরিণত হয় । 

    পিলেট মেশিনের মাধ্যমে উক্ত আঠালাে পেস্ট বা মন্ড থেকে পিলেট খাদ্য তৈরি করা যেতে পারে ।


    প্রস্তুতকৃত খাদ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি  

    প্রস্তুতকৃত শুকনা পিলেট খাদ্য বায়ুরােধী পলিথিনের বা চটের অথবা কোন মুখবন্ধ পাত্রে ঠান্ডা ও শুষ্ক জায়গায় সংরণ করতে হবে । 

    মাঝে মাঝে এই খাদ্য পুনরায় রােদে শুকিয়ে নিলে ভাল হয় । 

    স্টোরে বা গুদাম ঘরে সংরতি পিলেট খাদ্য মেঝেতে না রেখে কাঠের পাটাতনের উপরে রেখে সংরণ করা ভাল । সংরতি পিলেট খাদ্য ২-৩ মাসের মধ্যে ব্যাবহার করে ফেলা উচিত ।


    মাছ আহরণ 

    আধা - নিবিড় পদ্ধতিতে চাষ করলে ৩-৪ মাসের মধ্যে কৈ মাছের ওজন গড়ে ৯০-১০০ গ্রাম হবে । এ সময়ে জাল টেনে এবং পুকুরের সমস্ত পানি শুকিয়ে মাছ ধরার ব্যবস্থা নিতে হবে । আধা - নিবিড় পদ্ধতিতে ৩-৪ মাসে একর প্রতি নিম্নের টেবিলে উল্লিখিত হারে কৈ মাছের উৎপাদন করা সম্ভব। 


    ৪. থাই কৈ মাছ চাষে উদ্ভূত সমস্যা : 


    কৈ মাছ চাষে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা : 

    কৈ মাছ চাষে ঋতুভিত্তিক কিছু ঝুঁকি থাকে । তাই সঠিক ব্যবস্থাপনা না নিলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে । এমন কি অনেক সময় মৎস্য চাষ ব্যবস্থাপনা হুমকির সম্মুখীন হতে পারে । নিচে এমনি কিছু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার নাম উল্লেখ করা হলাে 

    ক , বর্ষাকালে ঝুঁকি 

    খ , শুষ্ক মৌসুমের ঝুঁকি 

    গ . শীতকালীন ঝুঁকি 

    ঘ , ক্ষতিকর গ্যাস জনিত ক্ষতি ও ,

    ঙ. মাছ চুরিজনিত ঝুঁকি 

    চ , মাছের রােগ 

    ছ. বেড়া বা জাল স্থাপন সংক্রান্ত ঝুঁকি এবং 

    জ , মাছ আহরণ এবং বাজারজাতকরণ সংক্রান্ত ঝুঁকি ।


    ৫. থাই কৈ মাছ চাষে উদ্ধৃত সমস্যার প্রতিকারঃ 


    নিরােগ ও সবল মাছের পােনা সংগ্রহ । 

    ট্যাঙ্ক / হ্যাচারী / খামার ও মাছ চাষের যাবতীয় সরঞ্জাম জীবাণু মুক্তকরণ । 

    উচ্চ মজুদ হার পরিহার করা । 

    সকল প্রকার জীবাণু বাহক দূরে রাখার ব্যবস্থা করা। 

    পরিমিত ও সুষম খাবার প্রয়ােগ । 

    খামার ও মাছের পরিচর্যা নিশ্চিতকরণ ।



    ২০২১ সালের এসএসসি (ভোকেশনাল) ৩য় সপ্তাহের ফিস কালচার অ্যান্ড ব্রিডিং-১ এসাইনমেন্ট সমাধান ( ২য় পত্র)



    Tag: এসএসসি (ভোকেশনাল) এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর /সমাধান ৩য় সপ্তাহের ফিস কালচার অ্যান্ড ব্রিডিং-১ (এসাইনমেন্ট ৩),  ২০২১ সালের এসএসসি (ভোকেশনাল) ৩য় সপ্তাহের ফিস কালচার অ্যান্ড ব্রিডিং-১ এসাইনমেন্ট সমাধান ( ২য় পত্র), থাই কৈ মাছ চাষ পদ্ধতি বর্ণনা







                                   
    Previous Post Next Post


    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com

     



    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com

    (সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Telegram পেজ)