HSC/Alim Economic 2nd Paper 2nd Week Assignment Answer 2021-এইচএসসি/আলিম ২য় সপ্তাহের অর্থনীতি ২য় পত্র এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১

 

এইচএসসি/আলিম ২য় সপ্তাহের অর্থনীতি ২য় পত্র এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১
       
       
       

    এইচএসসি/আলিম ২য় সপ্তাহের অর্থনীতি ২য় পত্র এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১

    HSC/Alim Economic 2nd Paper 2nd Week Assignment Answer 2021

    রবির বাবার ২ বিঘা কৃষি জমি আছে । উক্ত জমির আলােকে একটি টেকসই পরিবেশ বান্ধব একটি কৃষিভিত্তিক প্রকল্পের  রূপরেখা প্রস্তুত কর ।


    উত্তরঃ-

    ( ক ) বাংলাদেশের কৃষি পরিবর্তনের ধারাঃ

     বাংলাদেশে বর্তমানে কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে । স্বাধীনতার পর কৃষি উৎপাদনযােগ্য ভূমির পরিমান বৃদ্ধি পায়নি । অথচ প্রতি মুহুর্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে খাদ্যগ্রহনকারীর সংখ্যা । বিদ্যমান কৃষিভূমিতে বসতবাড়ি নির্মান ও নগরায়নের ফলে কৃষি উৎপাদনযােগ্য ভূমির পরিমান ব্যাপক ভাবে হ্রাস পাওয়া স্বত্তেও কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশের সফলতা বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য । এ পরিবর্তন উৎপাদনের কলাকৌশল , উপকরনসমূহের প্রয়ােগ , শস্য - উজিদ ও প্রানিজ সম্পদ পরিচর্যা , উৎপাদনের পরিমান ইত্যদি ক্ষেত্রে বেশী লক্ষনীয় । 

    খাদ্যশস্য উৎপাদনঃ 

    ক ) বর্তমানকালে বিভিন্ন শস্যের প্রচলিত বীজের পরিবর্তে উদ্ভাবিত নতুন নতুন জাতের উচ্চ ফলনশীল বীজের ব্যবহার এমন বাড়ছে । বিশেষ করে ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে তা বিশেষভাবে লক্ষনীয় । বর্তমানে প্রায় ৩৭ টি উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ হচ্ছে । 

    খ ) মানুষ ও পশুচালিত লাঙলের পরিবর্তে পাওয়ারটিলার , ভাড়ায় চালিত ট্রাক্টর বাহিত লাঙল , শস্য মাড়াই যন্ত্র ইত্যাদির ব্যবহার চলছে । 

    গ ) গােবরের সারের পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম সার ও কীটনাশকের ব্যবহার উল্লেখযােগ্যভাবে বেড়েছে । বৃষ্টিপাতের পরিবর্তে যন্ত্রনির্ভর পানিসেচের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে । 

    ঘ ) শস্য বহুমুখীকরণও শস্য উৎপাদনে পরিবর্তনের ধরার আর একটি রূপ । আবার এক জমিতে এখন বছরে দুটি তিনটি শস্যের চাষ চলছে । 

    ঙ ) কৃষক তার জমির আইলে ফলের গাছ লাগাচ্ছে , জমি পতিত না রেখে সেখানে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করেছে । ফলে নিবিড় চাষের মাত্রা ও আওতা বাড়ছে । 

    চ ) শস্য উৎপাদনের পরিমানেও এসেছে দারুন পরিবর্তন । 

    (  খ ) জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট উত্তরনে অভিযােজনের উপায় 

    জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে অভিযোজনের কোনাে বিকল্প নেই । জলবায়ু গরিবর্তন একটি স্বাভাবিক গ্ৰাকৃতিক ঘটনা । প্রকৃতি তার আপন নিয়মেই প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে । পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে থাপ থেয়ে বেঁচে থাকাই অভিযােজন । জলবায়ু পরিবর্তলের সাথে অভিযােজনের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় । জলবায়ু পরিবর্তন যেহেতু রােধ করা যাবেনা তাই এর সাথে অভিযােজিত হয়ে বেঁচে থাকাই একমাত্র উপায় । একটি কার্যকর অভিযােজন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নানা ধরনের সক্ষমতার প্রযােজন হ্য । এ সক্ষমতা কেবল অর্থনৈতিক সক্ষমতা নয়। এর সাথে সম্পৃক্ত আছে প্রযুক্তিগত , সামাজিক ও জ্ঞান অভিজ্ঞতাজাত দক্ষতাও ।

     সন্দেহ নেই , একটি টেকসই অভিযােজন ব্যবস্থা গড়ে তােলার জন্য প্রয়ােজল টেকসই অর্থনৈতিক ভিত্তি । প্রযুক্তিতাে লাগবেই । তবে , ভার চেয়েও বেশি প্রয়াজন অভিযােজনের প্রেক্ষাপট বা ধল বিবেচনা করে তার সাথে লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার । 

    এ প্রযুক্তিভিত্তিক অভিযোজনের জন্য অর্থনৈতিক বিনিয়ােগ প্রধান নিয়ামক । 

    আর্ন্তজাতিক পরিবেশ আইনে অভিযােজন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আন্ত : রাষ্ট্র সাহায্যের কথা বলা আছে | রাষ্ট্রসমূহও নিজ নিজ পরিমন্ডলে আইন প্রণয়ন করে অভিযােজনের ওপর গুরুত্ব আরােপ করেছে । আমাদের দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মােকাবিলায় সরকার গত সাড়ে ৫ বছরে ২৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে  ।বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এসব অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

    এই যে জলবায়ু অভিযােজন তারও কয়েকটি ধাপ আছে । একটি হলাে পরিবেশ দূষণকারী উপাদানগুলােকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা । যাকে বলা হয় প্রশমন বা- Mitigation- এ প্রক্রিয়ায় পরিবেশ দূষণকারী উপাদানগুলােকে হ্রাস করার কথা বলা হয় । নতুন প্রযুক্তি ও নবায়নযােগ্য শক্তি ব্যবহার করে আরাে কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করাই এর মূল কথা । সাথে ব্যবহারকারীর আচরণগত পরিবর্তন করে একই ফল প্রযুক্তির ব্যবহার করে পরিবেশ উন্নয়নে অবদান রাখা যায় এ অভিযােগ প্রক্রিয়ায।

     তবে , অভিযােজন জলবায়ূ ঝুকি মােকাবেলার একমাত্র পথ নয়। পরিবেশ দূষণ হ্রাস করা বা গ্রীন হাউস গ্রাস নির্গমন হ্রাস করাই সবেচযে বড় কথা একাজে উন্নত বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে । কারণ , তারাই প্রধান উদগীরণকারী দেশ। 

    জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশ্বের সব দেশ সমানভাবে দায়ী নয় । উন্নত দেশগুলাের দায় বেশি । যেসব উন্নত দেশ অধিক গ্যাস উদগীরণ করে জলবায়ু পরিবর্তন উপশমে বা অভিযােজন প্রক্রিয়ায় তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে - সহায়তার হাত বাড়াতে হবে । 

    ( গ ) কৃষিতে পারমাণবিক শক্তি , জৈব শক্তি , ICT ব্যবহারের সুফল পারমাণবিক শক্তিঃ 

    আমাদের অর্থনীতির মূল শক্তি কৃষি ও শিল্প কারখানা চালু রাখা নতুন শিল্প কারখানা সর্বোপরি আমাদের প্রতিদিনের জীবন যাত্রা ঠিক রাখার জন্য বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে  সরকার ২০৩০ সাল থেকে দেশের মােট বিদ্যুৎ চাহিদার ১০ পারমাণবিক শক্তি থেকে উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে । আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজও অনেক দূর এগিয়েছে । আর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নাম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র । এর মধ্যদিয়ে ৩৩ তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে অভিজাত নিউক্লিয়ার ক্লাবে । 

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং রাশিয়ান ফেডারেশন এর মধ্যে ২০০৯ এর ১৩ মে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বিষয়ে একটি সমঝােতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । এরপরে ২০১০ এর ২১ মে ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট এবং ২০১১ এর ২ নভেম্বর রূপপুরে আনুমানিক ১২ শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দুই ইউনিট বিশিষ্ট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত সহযােগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

    বায়ােটেকনােলজি বা জৈব প্রযুক্তিঃ 

    বায়ােটেকনােলজি বা জৈব প্রযুক্তি কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে । ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরনে বায়ােটেকনােলজির বিকল্প নেই । ফসলের ফলন বৃদ্ধি , কাঙ্খিত জাত উদ্ভাবন , পােকামাকড় রােগবালাই প্রতিরােধী জাত উদ্ভাবন , লবনাক্ততা সহ্য ক্ষমতার জাত , বন্যা - খরা - শৈত্য প্রবাহ সহ্য ক্ষমতা জাত উদ্ভাবন , বড় আকৃতির ফলফুল , সবজি মাছ - পশু পাখি উৎপাদন , অল্প সময়ে লাখ লাখ চারা উৎপাদন , চাহিদামত জাত উদ্ভাবনসহ কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বায়ােটেকনােলজির ভূমিকা অপরিসীম যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের ৫০ ভাগ বায়ােটেক ফসল চাষ হয় । এছাড়া - চীন , আর্জেন্টিনা , কানাডা , ব্রাজিলসহ বিশ্বে বিভিন্ন দেশ বায়ােটেক শস্যের প্রতি দ্রুত আর্কষন দেখে মনে হয় , বাণিজ্যিক এবং উন্নয়নশীল দেশগুলাের বৃহৎ এবং ক্ষুদ্র উভয় প্রকার ভােক্তা , কৃষক এবং উৎপাদনক্ষমতা , পরিবেশ , অর্থনীতি , স্বাস্থ্য , এবং সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে । বিজ্ঞানীদের ধারনা- বায়ােটেক ফসলই একমাত্র বিশ্বকে ক্ষুধামুক্ত করতে পারে।

    তথ্য প্রযুক্তি /আইসিটি 

    তথ্য প্রযুক্তি ও কৃষি বর্তমান বিশ্ব তথ্য - প্রযুক্তির বিশ্ব । জীবন উন্নয়ন ও টেকসই বিশ্ব গড়তে তথ্য প্রযুক্তির সেবা আবশ্যক । বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর । সে কারণে গ্রামীণ জনগােষ্ঠির জীবনযাত্রা উন্নয়নে তথ্য - প্রযুক্তিভিত্তিক ই - কৃষি এনে দিতে পারে নতুন সম্ভাবনা । কৃষকের চাহিদা মাফিক , সঠিক সময়ােপযােগী ও আধুনিক তথ্য , বাজারজাতকরণ , সংরক্ষণ প্রযুক্তি ইন্টারনেট , মােবাইল এর মাধ্যমে সরবরাহ করলে তা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে । কৃষি তথ্য প্রযুক্তি কেন ? পরিবর্তিত জলবায়ু ও বাজার অর্থনীতির প্রভাবে কৃষি এখন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ । আন্তর্জাতিক বাজারনীতি , অর্থনীতি , বিপণন অবকাঠামাে , জীব - বৈচিত্রের পরিবর্তন কৃষিকে সত্যিকার অর্থেই হুমকির মুখে পড়েছে । কৃষিক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যা হচ্ছে গ্রামীণ পর্যাযে কোন তথ্য কেন্দ্র নেই । কৃষকবান্ধব তথ্য - প্রযুক্তির ডিজিটাইজেশন অপ্রতুল । কৃষক সংগঠন ও সমবায় ব্যবস্থার অভাব । বাজার অবকাঠামাে ও বিপণন ব্যবস্থার সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনার অভাব । উৎপাদক ও ভােক্তাবান্ধব কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন অসম । কৃষিঋণ ও কৃষি ভর্তুকির সরকারি তথ্য সরবরাহ সমপ্রচার অপর্যাপ্ত । সময়ােপযােগী ও চাহিদাভিত্তিক তথ্যের বিস্তার কম । এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধান ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ই - কৃষির ব্যবহার আনতে পারে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য । তথ্য প্রযুক্তির বাস্তবায়নের কৌশল ই - কৃষি : জাতীয় কৃষি নীতিতে ই - কৃষি অন্তর্ভুক্তকরণ । ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি তথ্য কেন্দ্র সমপ্রসারণ । কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইসিটি বিষয়ে উৎসাহী ও প্রশিক্ষিতকরণ । কৃষকবান্ধব ই - কৃষি কনটেন্ট তৈরি ও ব্যবহার । কৃষি ভিত্তিক ওয়েবসাইট , ওযেব টিভি , ওয়েব বেতার চালু করা । কমিউনিটি বেতার চালুকরণ । পূণার্স কৃষি চ্যানেল প্রতিষ্ঠা ও সমপ্রচার । টেরিস্ট্রিয়াল ও স্যাটেলাইট চ্যানেলে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠানের সমপ্রচার সময় বৃদ্ধি । কমিউনিটি পর্যায়ে কৃষি তথ্য ও যােগাযােগ কেন্দ্র স্থাপন : আধুনিক কৃষি তথ্য সেবা প্রদানের জন্য কমিউনিটি পর্যায়ে ওয়ানস্টপ সার্ভিসের আদলে কৃষিভিত্তিক যাবতীয় তথ্য প্রদানের ব্যবস্থা করা ।

    বর্তমানে কৃষিক্ষেত্রে আইসিটির ব্যবহার অনেক বেড়েছে । এ ক্ষেত্রে সরকারি - বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সবার অবদান রয়েছে । কৃষকদের আইসিটি ব্যবহারে সচেতন করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে । কৃষক যেন তথ্যের ওপর আস্থা রাখতে পারেন , সে বিষয় সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে । কৃষক যাতে কম খরচে সেবা পেতে পারেন। 

    কৃষি উন্নয়নে কৃষি প্রযুক্তি , সরকারের গৃহীত নীতি ও কর্মসূচি

     কৃষি এ দেশের অর্থনীতির এক অতি গুরুত্বপূর্ণ খাত । বর্তমানে দেশে জিডিপির প্রায় এক - পঞ্চমাংশ অর্জিত হয় কৃষি খাত থেকে । তার চেয়েও বড় কথা কৃষি এ দেশের জনমানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদানের প্রধানতম এবং অন্যতম উৎস।  এখনও এ দেশের বিপুল জনসংখ্যার কর্মসংস্থানও হয়ে থাকে কৃষিকে অবলম্বন করেই । ফলে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ , জীবনযাত্রায় মানােন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হলে কৃষিক্ষেত্রে যে অধিকতর মনােযােগ দিতে হবে শুরুতেই ২০০৯ সনে নির্বাচিত হয়ে মহাজোট সরকার সেটি অনুধাবন করতে সক্ষম হয় । গত অর্ধযুগ ধরে কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা বর্তমান সরকারের কৃষি ভাবনার এক বাস্তব প্রতিফলন ।

    দেশে ফসল কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বর্তমান সরকার আরও যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তার মধ্যে উল্লেখযােগ্য হলােঃ-

    ১।  বর্তমান সরকারের আমলে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ আরও গতিশীল হযেছে । খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে ২৫ % কম মূল্যে ৩৫ টি জেলায় ৩৮ হাজার ৩২৪ টি বিভিন্ন প্রকার কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে । তাছাড়া বিএআরআই এবং বিআরআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতি মােট মূল্যের ৬০ % পর্যন্ত ভর্তুকি মূল্যে কৃষকের নিকট সরবরাহ করে যাচ্ছে । সরকার বন্যা , আইলা , সিডর , মহাসেনসহ নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ফসল উৎপাদনে প্রণােদনা প্রদান করেছে ও কৃষি পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে । 

    ২। ভূ - উপরিস্থ পানি ব্যবহার করে ভূ - অভ্যন্তরস্থ পানি উত্তোলন হ্রাস করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ক্ষুদ্র সেচ কার্যক্রম জোরদার করেছে । দেশের জলাবদ্ধ এলাকা , হাওর ও দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন ক্ষুদ্র সেচ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে ভূ - উপরিস্থ পানি ব্যবহারকে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে । সেচ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সেচের আওতা বাড়ানাে হয়েছে । ড্যাম , পাহাড়ে ঝিরি বাঁধ , রাবার ড্যাম ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়েছে । 

    ৩। কৃষি পণ্যের বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন বর্তমান সরকারের আরেকটি সাফল্য । পাইকারি বাজার সৃষ্টি , গ্রোয়ান্স মার্কেট , কুল চেম্বার স্থাপন , রিফার ভ্যান পণ্য বিপণন , নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপণন ব্যবস্থায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব হয়েছে ।

    ৪। সরকার অঞ্চলভিত্তিক ১৭ টি সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে । এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকা উপযােগী ফসলের জাত উন্নয়ন , সম্ভাবনাময় কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ , সেচ অবকাঠামাে নির্মাণ করে সেচের আওতা বৃদ্ধি করা , কৃষিজাত পণ্যের বাজার সুবিধা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে ।


    Tag:এইচএসসি/আলিম ২য় সপ্তাহের অর্থনীতি ২য় পত্র এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১  HSC/Alim Economic 2nd Paper 2nd Week Assignment Answer 2021,রবির বাবার ২ বিঘা কৃষি জমি আছে । উক্ত জমির আলােকে একটি টেকসই পরিবেশ বান্ধব একটি কৃষিভিত্তিক প্রকল্পের  রূপরেখা প্রস্তুত কর ।

                                   
    Previous Post Next Post


    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com



    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com

    (সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Telegram পেজ)