You can easily download all types of PDF from our website for free.Only we share all types of updated PDF. If there is any problem to download our PDF file, you can easily contact us and solve it. So without delay download your desired PDF file immediately.
আরো দেখুন
- বাংলাদেশের ৬৪ জেলার রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২৪
- সেহরি ও ইফতারের দোয়া
- যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪
- ১ ভরি স্বর্ণের যাকাত কত টাকা ২০২৪
- ১ লাখ টাকার যাকাত কত টাকা ২০২৪
- ফিতরা কত টাকা ২০২৪
- জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার নিয়ম
- ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
- অনলাইনে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
- পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ
- পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
- পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম রচনা
বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাস পরিক্রমায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় । পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস বর্বরতার মুখে ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ শুরু হয় বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম । দীর্ঘ সংগ্রামের সফল পরিণতি ও পূর্ণতা আসে সে বছরেরই ১৬ শে ডিসেম্বর । এ দিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ৯৪ হাজার সৈন্য নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করলে মুক্তিযুদ্ধের অবসান হয় । পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নেয় একটি স্বাধীন দেশ —বাংলাদেশ ।
১৯৭১ - এর ২৫ শে মার্চ রাতে বাংলার ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালি সৈন্য থেকে শুরু করে অগণিত নিরীহ , অসহায় মানুষের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি আধুনিক সেনাবাহিনী । ট্যাংক , কামানসহ অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে বাঙালি নিধনযজ্ঞে মেতে উঠেছিল তারা । বাংলার সবুজ শ্যামল মাটি সিক্ত হয়েছিল নিরস্ত্র বাঙালির লাল রক্তে , নদীর স্বচ্ছ জলধারায় মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল রক্তধারা । যেখানে - সেখানে অগ্নিসংযােগ ও লুটপাট করে ধ্বংসপুরীতে পরিণত করতে চেয়েছে তারা এ জনপদকে । এ হিংস্রতা , এ বর্বরতা , এ অন্যায় আগ্রাসন মুখ বুঝে সহ্য করেনি বাংলার মানুষ । যার যা আছে তাই নিয়েই প্রতিরােধ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিনিয়ে এনেছিল । কাঙ্ক্ষিত বিজয় । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনাে ঘটনা নয় ।
১৯৪৭ - এর পর থেকে একের পর এক আন্দোলনের সিড়ি ডিঙিয়ে চূড়ান্ত ফসল হিসেবে এসেছে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় । '৫২ -র ভাষা আন্দোলন , '৫৪ -র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন , '৬২ -র সামরিক আইন ও শিক্ষা কমিশন রিপাের্টবিরােধী আন্দোলন , '৬৬ -র ছয় দফার আন্দোলন , '৬৯ -এর গণঅভ্যুত্থানেরই চূড়ান্ত পরিণতি '৭১ -এর মুক্তিসংগ্রাম । অমর একুশে ফেব্রুয়ারির পথ বেয়েই এসেছিল ১৬ ই ডিসেম্বর । একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ সাধারণ জনগণকে নিয়ে গঠিত হয়েছিল মুক্তিবাহিনী । পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যেসব বাঙালি সৈন্য ছিল তারা এবং আধা - সামরিক বাহিনীর বাঙালি সদস্যরাও তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তিবাহিনীর সাথে সংহতি প্রকাশ করে ।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি সৈন্যরা ১৬ শে মার্চে গ্রেফতার করে । গ্রেফতারের পূর্বেই বঙ্গবন্ধু ২৫ শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা ব্যাপক গণহত্যা চালায় ।
রাস্তায় যাকে দেখতে পায় তাকেই গুলি করে । হত্যা করে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলােতে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালায় । পুরােনাে ঢাকার হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাসহ বহু আবাসিক এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেয় , অসংখ্য মানুষ হত্যা করে , লুটপাট চালায় । ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের একক প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত । বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণা দিয়ে যান । পরবর্তীতে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর নামে মেজর জিয়ার কণ্ঠে প্রচারিত হয় স্বাধীনতার ঘােষণা । সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থান । বিদ্রোহী বাঙালি ঝাপিয়ে পড়ে স্মরণকালের ইতিহাসের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে । ১৯৭১ সালের ১৭ ই এপ্রিল তাজউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে কুষ্টিয়ার মেহেরপুরে আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গঠিত হয় অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার ।
এ সময় গেরিলা ও সম্মুখ যুদ্ধ চালানাের সুবিধার্থে জেনারেল এম এ জি ওসমানীর তত্ত্বাবধানে সমগ্র দেশকে এগারােটি সেক্টরে বিভক্ত করা হয় । বাঙালিদের সংগ্রামের প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তার সরকারের সমর্থন জ্ঞাপন করেন । অত্যাচারিত বাঙালিদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার জন্যে বাংলাদেশ - ভারত সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় । সীমান্তবর্তী ট্রেনিং ক্যাম্পগুলােতে মুক্তিযােদ্ধাদের ট্রেনিংও দেওয়া হতাে । বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পাকিস্তানকে সমর্থন করে ।
অন্যদিকে ভারত , সােভিয়েত ইউনিয়ন ও তাদের মিত্র দেশগুলাে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেয় । ডিসেম্বরের শুরুতে পাকিস্তান ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে বিমান হামলা চালালে ভারত সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর যৌথ কমাণ্ড গঠিত হয় । অবশেষে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কমাণ্ডের কাছে ১৯৭১ - এর ১৬ ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ৯৪ হাজার সৈন্য নিঃশর্ত আত্মসমর্পন করে । এর মধ্য দিয়েই নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়েছে লাখাে শহিদের রক্ত , অগণিত মানুষের চোখের জল আর কোটি মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে । এ যুদ্ধে এক কোটি নিরপরাধ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে , ত্রিশ লক্ষ মানুষ শহিদ হয়েছে , দুই লক্ষ বাঙালি নারী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে ।
বাংলাদেশের একশ্রেণির লােক রাজাকার , আলবদর , আল শামস বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানিদের এ নৃশংসতাকে সমর্থন ও মদদ দিয়েছে । এ শ্রেণির সহায়তায় নৃশংসতম ও বর্বরােচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছেন বাঙালি শিক্ষাবিদ , সাহিত্যিক , বিজ্ঞানী , চিকিৎসক , সাংবাদিক , আইনজীবী , শিল্পী ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ । বাঙালিকে মেধাহীন করার জন্য এভাবেই পরিকল্পিত ও নীল নকশা অনুযায়ী বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ।
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাত থেকে শৰ করে ১৬ ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞ চলে । বাঙালি জাতি উদ্বুদ্ধ হয়েছিল প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস আর গভীর দেশপ্রেমের চেতনায় । ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল । মিথ্যার বিরুদ্ধে শাশ্বত সত্যের এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রামের মূর্ত চিত্র । বিশ্ব ইতিহাসে বাংলাদেশের অভ্যুদয় তাই এক গৌরবােজ্জ্বল অধ্যায়।
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম বা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
Amader Sadinota Songram Rochona
Tag: আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম রচনা - আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, Amader Sadinota Songram Rochona, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম বিষয়াবলি, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম অনুচ্ছেদ রচনা, রচনা - আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম