বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোটদের কবিতা আবৃত্তি ( PDF সহ) | বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোট কবিতা | ছোটদের বঙ্গবন্ধু কবিতা

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোটদের কবিতা আবৃত্তি ( PDF সহ) | বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোট কবিতা |  ছোটদের বঙ্গবন্ধু কবিতা


আসছালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। প্রিয় পাঠক স্কুল কলেজের ভিবিন্ন প্রতিযোগিতায় তোমাদের বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোটদের কবিতা আবৃত্তি করতে হয়। তাই অনেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোটদের কবিতা আবৃত্তি ~ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোট কবিতা~  ছোটদের বঙ্গবন্ধু কবিতা খুজে থাকেন। তাই আজকে আমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোটদের কবিতা আবৃত্তি ~বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোট কবিতা ~  ছোটদের বঙ্গবন্ধু কবিতা তোমাদের উপকারে আসবে। 


   
       

    বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোটদের কবিতা আবৃত্তি 

    বঙ্গবন্ধু স্বরনে


    বাংলার অলি-গলি

     সব খানে খুজে চলি । 

    কোথায় শুনিব সেই ককন্ঠস্বর

    কখন মিলিবে দেখা, শেখমুজিবর । (২ বার)


    যে ধ্বনি প্রতিদ্বনী, হয়ে বারে বার 

    হানা দিয়ে গর্জে উঠে, হৃদয়ে আমার

     ফিরে পেতে ব্যকুলতা, কাঁদে অন্তর

     কোথায় শুনিব সেই কন্ঠস্বর । (২ বার)


    যেই সুর বেঝেউঠে চলে অবিরাম

     এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতা সংগ্রাম।

     ৭১রের সেই সৃতি গুলি

     ভুলিতে পারিনা বলে খুজেই চলি। (সম্পুর্ণ ২/৩ বার)




    "সেইতো শেখ মুজিব"

    মুহাম্মদ আবু হানিফ


    জন্মেছিল যারা বঙ্গ মাঝে

     নামেতে চিরঞ্জীব, 

    বাংলার তরে নিবেদিত প্রাণ

     সেইতো শেখ মুজিব


    কণ্ঠেতে ছিল বজ্র ধ্বনি

     হৃদেতে দেশের নাম, 

    বাংলার তরে উঠেছিল তাই

     "এবারের সংগ্রাম।


    স্বাধীন দেশের স্বপ্ন যার

     মনেতে ছিল যে আঁকা, 

    স্বাধীন দেশের মুক্ত আকাশে

     উড়াতে পাখির পাখা।


    নিপীড়ন তিনি সহিছে কত

     বাংলার তরে বেশ, 

    পৃথিবীর মাঝে জন্ম দিতে

     স্বাধীন বাংলাদেশ।


    দিয়েছিল যিনি মুক্তি বীরের

     খুনেতে শক্তি তেজ,

     যারা তাদের জীবন দিয়ে

     এনেছে নতুন সতেজ।


    মুজিব তুমি দেশ প্রেমিকের

     চিত্রের আলপনা, 

    বাংলা তরে তোমার এ দান

     কেউ কখনো ভুলবেনা।



    বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোট কবিতা 


    প্রথম স্বাধীন ঘোষক

                  মোঃ হাসান 

    দেশটা ভরে গেছে আজ মিথ্যাচারে। 

    কিছু লোক পালটে  দিচ্ছে ইতিহাসকে।

    তুমি ছিলে প্রথম স্বাধীন ঘোষক।

    ভুলিয়ে দিতে চাচ্ছে  জাতিকে।

    কিছু লোক বলেছে, 

    তারা নাকি প্রথম স্বাধীন ঘোষক। 

    দেশটা ভরে গেছে আজ মিথ্যাচারে। 

    জাতি আজও ভুলিনি  তোমায়।

    ভুলিনি ১৯৭১ সালের  ২৫ মার্চ রাত।

    সেই ২৫ মার্চ দিবাগত রাত 

    মানে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে 

    তুমি  ইপিআর এর একটি ছোট

     ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে বাংলাদেশের 

      প্রথম স্বাধীনতা ঘোষণা করো।

    আজও স্মরণীয় আছে।

    আজও ভুলিনি জাতি সেই দিনকে।

    চিরকাল স্মরণে রাখবে সেই দিনকে। 

    তুমিই প্রথম স্বাধীনতা ঘোষক।



    কবিতার নাম: "মুজিব আমার"

      কবি: অনিন্দ্য ঈপ্সিতা 

    উৎসর্গ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

    তাঁর জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি ।

    মুজিব আমার বক্ষদেশের বজ্র আহ্বান , 

    যে নামের তরে শহিদ হল লক্ষ কোটি প্রাণ।

    অকুতোভয় শ্রেষ্ঠ বাঙালির সুদৃঢ় তর্জনী;

    সত্য কর্ম, সত্য ধর্ম, অমোঘ সত্য বাণী ।

    নাচল আকাশ, কাঁপল বাতাস, হাসল মহাশূন্য-

    উঠে লাঠিয়াল, ধরে মাঝি হাল, করে নাকো কার্পণ্য!

    জননী মোদের জন্মভূমি, দর্পে গরিয়সী -

    বীর সেনাদের দিয়েছো জন্ম,ধন্য তোমার নাড়ি।

    নেই কোনো ক্ষয়, হয়েছে যে জয়;

    "মুজিব- মুজিব" ,চির অম্লান, অক্ষয়!


    কালো মেঘে ডাকা 

     মোঃহাসান


    চারিদিকে অন্ধকার, 

       কালো মেঘের আছন্ন। 


    নিস্তব্ধ এক রাত,

      দরজার সামনে কে যেন দিল ডাক।

    বীরের ভেসে এসে, 

      সিড়িতে দারালেন এক লম্বা....... 

    ..............,.......



    সপ্ন পূরণ 

    মোঃহাসান


    পদ্মার  এই পারেতে, 

       লেখো বাংঙ্গালির ডল।

    ঐ পারেতে বাহারী রঙের ডং,

       মাঝখানেতে পদ্মানদী, 

    ডিঙ্গি সেজেছ, 

      হাজার সাজের সাজ। 

     

    আজকে সবার সুখের দিন, 

      সপ্ন পূরণ এই দিন।

    সবার মুখে একটি কথা,

      সপ্নের সেতু উদ্বোধন। 

    পদ্মা সেতু উদ্বোধন 

      

    জাতির পিতার সপ্ন পূরণ, 

      পদ্মা সেতু উদ্বোধন, 

    জাতির পিতার সপ্ন পূরণ, 

     দেশ আজ উন্নয়ন, 


    যতি থাকতে আজকে,

       তোমার পায়ের ধুলোয়। 

    পূর্নতা পেত বাঙালির সপ্ন,

        পূর্নতা পেত পদ্মা।


    গর্জে উঠো

    মোঃহাসান

    আবারো গর্জে  উঠো, 

    একাত্তরে চেতনায়।

     নতুন করে স্বাধীন করো দেশ।

       বিচার করো মুজিব হত্যার, 

    স্বাধীন করো দেশ।


      শেষ করে দাও,

     নিস্ঠুর পিচাশ, হায়না দল।

       শেষ করে দাও,

    মুস্তাক,ডালিম,সামছু,জামিল.

      নিষ্ঠুর এরা, এরাই খুনি

    পাষাণ এদের মন।


    নিস্ঠুর মানব ওরা,

      ওরা পিচাশ। 

    ছোট্ট রাসেল রক্ষা পায়নি,

       হত্যা করেছে মেহেদী হাতে নতুন বঁধু। 

    ওরা মানব না ওরা পিচাশ।

       নরক ওদের আসল ঠিকানা,

    নরকি ওদের বেশ।

     

       ঠাই নাই ওদের, ঠাই নাই।

    মুজিবের বাংলায়,

         এদের ঠাঁই নাই।


       এ বাংলা মুজিব তোমার।

    তোমারি জন্য পেয়েছি, 

      স্বাধীন সোনার বাংলা। 

    এ বাংলা মুজিব তোমার,

     শুধুই যে, তোমার।


    ছোটদের বঙ্গবন্ধু কবিতা


    একুশে মুজীব

      মোঃ হাসান  

    ১৯৪৭ সেই থেকে শুরু।

         মনে পরে বায়ান্নর  আন্দোলন,

    আজকের একুশে ফেব্রুয়ারি।

    মুজিব তোমারই জন্য, 

    বাংলাতে কথা বলি। 


      কতো ত্যাগ, কতো কষ্ট,

     কতো বার গিয়াছো কারাগারে। 

    কে-ই বা বলতে পারে,

    শুধু বাংলা ভাষারি জন্য। 


     তুমি ছিলে কখনো সামনে,

       কখোন বা পিছনে, 

     কখনো বা কারাগারে। 

    তোমারি অবদান ছিলো সবখানে। 

    বাঙ্গালী কী তা ভুলিতে পারে।


    এ একুশ তোমার, মুজিব তোমার।

     যতবার একুশ আসে,

     মনে পরে সেই কষ্টর দিনগুলো। 

      চোখের পাতায় ভেসে উঠে বিষন্নতা। 


       বাংলা ভাষায় দাবির আন্দোলন, 

    ঘরে কী আর বসে থাকা যায়।

         ১০ মার্চ চলে এলে ঢাকায়,

    ঘন্টা খানেক পরেই, 

     শুরু হবে হরতাল আনন্দোলন।

    সমনে থেকে দিলে তার সমর্থন।


    আটক করলেন পুলিশ, 

      তাতে কী আর দমে রাখা যায়।

     নেতা তো নেতাই,

     তাকে ছাড়া কী করে হয়। 


    ১৯৪৮ সাল মুক্তির পর আবার শুরু,

       ভাষা আন্দোলনের ডাক।

    রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই।


    ১৬ মার্চ ভাষা আন্দোলনের সমাবেশ, 

     এবার তিনি সভাপতি, 

     ছাত্র, জনতা,কৃষক, মজুর 

     একটাই দাবি সবার,

    রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই। 


    বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি, 

       এবারো সবার সামনে ছিলে।

    হঠাৎ করে এক ঝাঁক বুলেট

       কেরে নিলো জীবন।

    রফিক, জব্বার, বরকত, 

    শহিদ হলেন,

        দিয়ে গেলেন এক বুক তাজা  রক্ত।


    অবশেষ মেনে নিতে বাধ্য হলো সরকার। 

       আমরা পেলাম বাংলা ভাষা।

    মায়ের মুখের মিষ্টি কথা, 

    হাজারো ত্যাগের বিনিময়ে,

     একুশ তোমায় পেলাম মোরা।



    ছোট্ট একটি গ্রাম

            মোঃ হাসান

    অনেক দুরে ছোট্ট একটি গ্রাম, 

    নামটা যেন কী..?

       কী যেন তার নাম।

    সুদু যে এইটুকু রয়েছে মোর স্মরনে,

        গ্রামটি ছিল নদীর তীর ঘেষে।


    তাল, তমাল, হিজল গাছে ভরা।

    পাশ দিয়ে গান গেয়ে যায়,

       মাঝি নৌকার পাল তুলে।

    পাখিরা গান গায় সু মধুর কন্ঠে।


     কী যেন তার নাম..?

    শহর থেকে অনেক দুরে,

        কলকাতাতে যেতে হত,

    বানিজ্য করিতে।

       পানসি নৌকা নিয়ে,

    স্টিমারও চলিত মাঝে সাজে। 


    ভারত থেকে আসিত সরদার,

        দালান কোঠা বানাতে।

    হয়তো কিছু আছে এখনো দারিয়ে। 

            একাত্তরের পাক বাহিনী, 

    তাও দিলো জ্বালিয়ে।


        তারই পাশে তৈরি হয়, 

    ছোট্ট একটি টিনের ঘর।

         সেই ঘরেতে জন্ম নেয়,

    জগৎ সেরা স্রেষ্ঠ মানব,

           বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।

    টুঙ্গিপাড়া গ্রামটি তাহার নাম।



    হারানো দিনগুলো 


    মোদের থেকে হারিয়ে গেছে বঙ্গবন্ধু, 

         হারিয়ে গেছে বীর নেতা।

    বুকের মাঝে আজও তার

          রয়েছে হাজার ব্যাথা,


    চলে আসো তুমি মোদের মাজে 

                আগের মতো করে,

    আগের মতো  হারিয়ে যাওয়া

              মেঠো পথ ধরে


    সূর্য যখন ডুব দিয়েছে

               গোধূলির অস্তরাগে,

    ফিরে আসো মোদের মাজে,

      আলাপ জমাই নতুন কিছু নিয়া।


    পথের পরে শালিক যেথায়

              কিচির মিচির করে,

    তোমার তরে মনটা আমার

                ব্যাকুল হয়ে মরে।


    দিনের শেষে নামতো যেথায়

                  গভীর অন্ধকার,

    সাঁঝের প্রদীপ জ্বলতো সেথায়

               তুলসি তলার পর।


    চলে আসো তুমি মোদের মাজে 

                আগের মতো করে,

    রাঙা মাটির পথের ধুলো

                রাঙিয়ে দিবো তোমার দু-পায়ে।


      বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন 

    মোঃ হাসান 


    তুমি মোদের বিশ্ব নেতা। 

    এই বাংলার গরিবের নেতা।

    এই গরিব দুঃখি মানুষের নেতা বলে,

    কখোনো পালন করোনি জন্মদিন।

    যে জাতি  অনাহারে দিন কাটায়,

     কথায় কথায় গুলি করে হত্যা করা হয়,

     সে জাতির নেতা হয়ে,,

     কীভাবে পালন করতে জন্মদিন।

    তাইতো কখনো পালন করোনি জন্মদিন।

    আজ তোমার নামে অলি গলিতে, 

    হচ্ছে পালন জন্মদিন,কতো মিলাদ মাহফিল। 

    দেখে যাও,অনাহারী খাবার পাচ্ছে। 

    মুছে গেছে ক্লান্তি, কৃষকের মুখে হাসি।

    তোমার সপ্ন আজ হলো সত্যি। 

    তুমি হলে পৃথিবীর স্রেষ্ঠ নেতা।

    গরিব দুখি মানুষের নেতা। 

    তুমি যে সবার সেরা,বিশ্ব নেতা।

    অনাহারী গরিব দুখি মানুষের বন্ধু।


    12.   হাসি মুখ

          মোঃ হাসান 

    আমি যুদ্ধ দেখিনাই,

    দেখিনাই যুদ্ধে বিজয়ের হাসি মুখ। 

    আমি তোমায় দেখেনি, 

    দেখেছি তোমার মিষ্টি হাসি মুখ। 

    তুমি যুদ্ধ জয় করে, 

    ফিরে পেলে পৃথিবীর স্রেষ্ঠ শুখ।

    ফিরে পেলে জাতি,ফিরে পেলে দেশ

    ভুলে গেলে যৌবনের সকল কষ্ট  

    বলে দেয় তোমার ঐ মিষ্টিমুখ, 

    খুশিতে ছিলে তুমি আত্মহারা,

    তুলে নিলে সব অভিযোগ, 

    দিলে শত্রুকে বন্ধুর সম্মান। 

    একটাই যে পৃথিবীতে স্রেষ্ঠর্তের প্রমান।

    তুমি যে ছিলে স্রেষ্ঠ,তুৃমি ছিলে মহান, 

    এটাই যে তার আসল প্রমান।

    Tag:বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোটদের কবিতা আবৃত্তি,বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোট কবিতা,ছোটদের বঙ্গবন্ধু কবিতা

                                   
    Previous Post Next Post


    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com



    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com

    (সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Telegram পেজ)