আসছালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। প্রিয় পাঠক ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ আগামীকাল ২৯ শে জুন বাংলাদেশে পালিত হবে। কোরবানির ঈদে যাদের সামর্থ্য সাথে সবাই যার যার তাওফিক অনুযায়ী গরু, ছাগল কোরবানি দিবে। কোরবানি একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য দেওয়া হয়। আর এই কোরবানির পশুর মাংস বন্টনের সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। রাসুল (সা:) কোরবানির পশুর মাংস বন্টনের সঠিক নিয়ম আমাদের বলে গেছেন।
কোরবানির মাংস কয় ভাগে ভাগ করতে হয়
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) কোরবানির মাংস একভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন, একভাগ গরীব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং একভাগ দিতেন গরীব-মিসকিনদের।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন- ‘অতঃপর তোমরা উহা হতে আহার কর এবং দুঃস্থ, অভাবগ্রস্থকে আহার করাও। (সূরা হজ্ব-২৮)।
রাসূলুল্লাহ (স.) কুরবানির গোশত সম্পর্কে বলেছেন- ‘তোমরা নিজেরা খাও ও অন্যকে আহার করাও এবং সংরক্ষণ কর।’(বোখারি-৫৫৬৯)।
প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা যদি আমরা কোরআনের আয়াত ও হাদিসের দিকে লক্ষ করি তাহলে এখানে ৩টি ভাগের কথা ইঙ্গিত করা হয়েছে। তবে এখানে কোন পরিমানের কথ উল্লেখ্য করা হয় নি। আমরা যদি রাসুল রাসুলুল্লাহ এর আমলের দিকে লক্ষ করি তবে তিনি এক ভাত নিজে রান্না করতেন,বাকিটা পুরোটাই দান ও বিতরণ করে দিতেন।
তবে যদি এমন হয়, একজন গরিব কোরবানি করেছে,তার পরিবারে সদস্য বেশি বা তার চেয়ে অভাবী আশেপাশে আর কেউ নেই তাহলে যদি পুরোটাই নিজেরা খায়, সেটাও জায়েজ।
আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রা.) এর একটি আছার— ‘এটা আল্লাহ পাক হতে অনুগ্রহ; কোরবানির মাংস পুরোটা নিজেরা খাওয়া যাবে, দরিদ্রদের দান করা যাবে বা পুরোটা উপহার হিসেবে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের বিতরণ করা যাবে।
মূলকথা :- কোরবানির মাংস ৩ ভাগে বন্টন করা উত্তম, তবে এটি শর্ত নয়। একেবারে তিনভাগ সমান হতে হবে এমন কথা নেই। আবার কেউ যদি নিজেদের জন্য রেখে দেন তাতে যে কুরবানি হবে না এই কথা ঠিক নয়। তবে এমনটা করলে, কুরবানির মর্যাদা থাকে না। কোরবানি যেহেতু আল্লাহকে সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করেছেন তাই আল্লাহর রাস্তায় ছেরে দেওয়া উচিত।
Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)