আসছালামু আলাইকুম? প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা সবাইকে আমাদের Educationblog24.com এ স্বাগতম। আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা পবিত্র মাহে রমজান মাস চলতেছে। এই মাসের শেষের দশ দিন নবী করিম (সা:) ইতিকাফ করতেন। হাদিস শরীফে এসেছে ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন।’ (মুসলিম, হাদিস নম্বর ১১৭১) এ ছাড়া আরো ইতিকাফ সম্পর্কে আরো অসংখ্য হাদিস রয়েছে। রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ। অর্থাৎ ২০ রমজানের সূর্য ডোবার আগ মুহূর্ত থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ ওঠা পর্যন্ত মসজিদে ইতিকাফ করা। এ ধরনের ইতিকাফকে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কিফায়া বলা হয়। গ্রাম বা মহল্লাবাসীর পক্ষে কোনো এক বা একাধিক ব্যক্তি এই ইতিকাফ করলে সবার পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে। আর যদি মহিলার ইতিকাফ করতে চায় তাহলে মহিলাদের ইতিকাফের নিয়ম কি রকম বিস্তারিত নিচে তুলে ধরা হলো।
মহিলাদের ইতিকাফের নিয়ম
উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন- ‘নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০৩৬; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৭২)
মহিলারা ইতিকাফ কোথায় করবে?
মহিলাদের ইতিকাফের স্থান হলো তাদের ঘর,যেখানে তারা নামাজ আদায় করেন। যদি নামাজ আদায়ের নির্ধারিত কোন স্থান না থাকে তাহলে ইতিকাফের জন্য একটি জায়গা নির্ধারণ করে নিবেন। নারীরা তাদের ইতিকাফের স্থান পর্দা দিয়ে ঢেকে নিবেন। যেন ঘরে কোনো বেগানা পুরুষ লোক আসলে তাদের স্থান পরিবর্তন করতে না হয়।
বিবাহিত নারীরা ইতিকাফ করতে স্বামীর অনুমতি লাগবে কি না?
বিবাহিত নারী ইতিকাফ করতে চাইলে স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। স্বামীর অনুমতি ছাড়া ইতিকাফ করা অনুচিত। আর স্বামীদের উচিত, যুক্তিসঙ্গত ও গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া স্ত্রীদের ইতিকাফে বাধা না দেওয়া। তাদের ইতিকাফের সুযোগ করে দেওয়া। এতে উভয়ই সওয়াব পাবেন। (রদ্দুল মুহতার ২/৪৪১; ফাতাওয়া আলমগীরী ১/২১১)
স্বামী স্ত্রীকে ইতিকাফের অনুমতি দেওয়ার পর আর বাধা দিতে পারবেন না। বাধা দিলেও সে বাধা গ্রহণযোগ্য নয় এবং স্ত্রীর জন্য তা মানাও জরুরি নয়। (রদ্দুল মুহতার ২/৪৪১; ফাতাওয়া আলমগীরী ১/২১১)
ইতিকাফ অবস্থায় স্ত্রী-সম্ভোগ
ইতিকাফ অবস্থায় রাতেও স্ত্রী-সহবাস করা যাবে না। করলে ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। তদ্রূপ স্ত্রীকে চুম্বন, আলিঙ্গন ও উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করাও বৈধ নয়। যদি এসবের কারণে বীর্যপাত ঘটে তাহলে ইতিকাফ ভেঙ্গে যাবে। (সুরা বাকারা: ১৮৭; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৮৫, আদ্দুররুল মুখতার ২/৪৫০; ফাতাওয়া আলমগীরী ১/২১৩)
ঋতুস্রাব অবস্থায় ইতিকাফ
মহিলাদের ঋতুস্রাব অবস্থায় ইতিকাফ করা সহিহ নয়। কেননা এ অবস্থায় রোজা রাখা যায় না। আর সুন্নত ইতিকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত। (বাদায়েউস সানায়ে ২/২৭৪; ফাতাওয়া আলমগীরী ১/২১১)
Tag;মহিলাদের ইতিকাফের নিয়ম
Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)