ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় | গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার ও ব্যায়াম | গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় | গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার ও ব্যায়াম | গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায়


আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ বন্ধুরা আপনাদের সবাইকে Educationblog24.Com এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা অনেক ভালো আছেন। 

প্রিয় পাঠকবৃন্দ বন্ধুরা আমাদের আজকের এই পোস্ট দ্বারা আপনারা জানতে পারবেন গ্যাস্টিক দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আশা করি কোন উপায়ে গ্যাস্টিক দূর করা যায় এবং গ্যাস্টিক দূর করার উপায় ও অন্যান্য তথ্য জেনে আপনাদের উপকার আসবে। 

আপনারা অনেকেই অনেক রকম ভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে খোঁজাখুজি করছেন ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্টিক দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য জানতে চান। 

তাই শুধুমাত্র আপনাদের সুবিধার জন্য আজকে আপনাদের মাঝে এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করবো ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়, গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার ও ব্যায়াম,  গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। আশা করি আমাদের পোস্টে দেওয়া এই গ্যাস্টিক দূর করার উপায় গুলো সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে আপনাদের অনেক উপকার হবে। 


    ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়  

    গ্যাস্টিক দূর করার ঘরোয়া উপায় —

    আদা— আদাতে আছে এমন কিছু উপাদান যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় জ্বালাপোড়া হলে তা রোধ করতে সাহায্য করে। আদা খেলে বমি সমস্যা, বদ হজম, গ্যাস হওয়া কমে যায়।

    দই— প্রতিদিন ২/৩ চামচ দই খেয়ে নিন। দই আমাদের পাকস্থলীকে এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে যা গ্যাস্ট্রিক হওয়ার অন্যতম কারণ। তাছাড়া দই আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

    পানি— অ্যাসিডিটির জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপার সমস্যা থেকে বাঁচতে পানি পান করুন প্রচুর পরিমাণে। অ্যাসিডিটি হলে পানি পান করলে পেটের গ্যাস বের হয়ে আসতে পারে এবং অস্বস্তিভাব দূর হয়।

    পুদিনাপাতা— অ্যাসিডিটির সমস্যায় দু–তিনটি পুদিনাপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। চিবিয়ে খেতে খারাপ লাগলে এক কাপ পানিতে কয়েকটি পুদিনাপাতা দিয়ে সেদ্ধ করে পানিটা খেতে পারেন। বমিভাব, জ্বালাপোড়া দূর করে সতেজ ভাব আনতে পুদিনাপাতা অনেক উপকারী। 

    বেকিং সোডার ব্যবহার— বেকিং সোডার অ্যাসিডিক উপাদান পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, গ্যাস দূর করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানে কাজ করে।

    লবঙ্গ— ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।


    গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার ও ব্যায়াম 

    গ্যাস্টিক দূর করার খাবার—

    তরমুজ— তরমুজে ৯২ শতাংশ পানি। গরমের সময় শরীর থেকে পানি ঝরে যায় বলে এ সময় তরমুজ খাওয়া ভালো। এতে যে পটাশিয়াম থাকে, তা গ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখে।

    ঠান্ডা দুধ— পাকস্থলির গ্যাসট্রিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠান্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডি দূরে থাকে।

    পালং— পালংশাকে আছে অদ্রবণীয় আঁশ, যা পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখে, গ্যাস দূর করে।

    লেবু-পানি— পানি পানের সুফলের কথা সবাই জানেন। কিন্তু হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস যুক্ত করলে তা প্রাকৃতিক মলবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এটি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতে কাজ করে।

    পেঁপে— পেঁপেতে রয়েছে পেপেইন নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। তাই নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলে গ্যাসের সমস্যা কম হবে। পেঁপে কাঁচা-পাকা দু’অবস্থায় খেতে পারেন। সবটাতেই উপকার পাবেন।

    মৌরির পানি— মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না।

    কলা— সারাদিনে অন্তত দুটো কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।


    গ্যাস্টিকের সমস্যার জন্য ব্যায়াম—

    ব্যায়াম করলে শরীর ভালো থাকে এটি আমরা সবাই জানি। ঠিক তেমনি এটি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানেও অনেক কার্যকরী। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এড়াতে খাওয়ার পর হাঁটার অভ্যাস করুন। এ ছাড়া দড়ি লাফ, দৌড় বা হাঁটা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতেও অনেক কার্যকরী।


    গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায়

    গ্যাস্টিকের ব্যাথা দূর করার উপায়—

    সাধারণত অতিরিক্ত অ্যাসিড থেকে পেটে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা হয়। আর বেশি অতিরিক্ত গ্যাস সৃষ্টি হলে বুকের ব্যাথা হয়ে থাকে গ্যাসের জন্য। যা খুবই কষ্টকর সমস্যা। 

    উচ্চমাত্রায় গ্যাস্টিকের ব্যাথা অনুভব হলে শীঘ্রই নিকটস্থ ডাক্তারের নিকট গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। 

    উচ্চ শর্করা ও অ্যাসিড সমৃদ্ধ এবং আঁশ না থাকায় গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে ফলের রস খাওয়া নিষেধ করা হলেও সবজির রস এক্ষেত্রে খুব উপকারী। যেমন- আলুর রস, আন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় তা পেটের ব্যথা কমায়। কুমড়ার রস গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডিটি কমায়, পেটের সমস্যা দ্রুত সমাধান করে।


    বিঃদ্রঃ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ ও ফর্মূলা গ্রহণ করুন। 



    Tag: ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়,  গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার ও ব্যায়াম,  গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায়

                                   
    Previous Post Next Post


    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com



    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com

    (সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Telegram পেজ)