হাদিস কাকে বলে | হাদিসের পরিচয় | হাদিস কত প্রকার ও কি কি


আসসালামুআলাইকুম সবাইকে Educationblog.Com এ স্বাগতম। 

আশা করি আল্লাহুর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমরাও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। 

বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে Educationblog.Com নিয়ে আসলো হাদিস কাকে বলে,  হাদিসের পরিচয়,  হাদিস কত প্রকার ও কি কি এই সম্পর্কে পোস্টে পাবেন সবকিছু।


    হাদিস কাকে বলে  

    ইসলামী শরীয়তের দ্বিতীয় উৎস হলো হাদিস। একে কুরআনের ব্যাখ্যা বলা হয়। এটি কুরআন বুঝার পথকে সহজ করে দেয়। 

    আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কথা, কাজ ও মৌনসম্মতি হলো হাদিস।

    ফক্বীহগণের পরিভাষায় নাবী কারীম (ﷺ ) আল্লাহর রাসূল হিসেবে যা কিছু বলেছেন, যা কিছু করেছেন এবং যা কিছু বলার বা করার অনুমতি দিয়েছেন অথবা সমর্থন জানিয়েছেন তাকে হাদীস বলা হয়। 


    হাদিসের পরিচয়  

    হাদিস আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হলো –

    কথা / বাণী, উপদেশ, কাহিনী / ঘটনা, সংবাদ, বক্তব্য ইত্যাদি। 

    ইসলামি শরীয়তের পরিভাষায়, “মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কথা, কাজ, অনুমোদন ও মৌনসম্মতিকে হাদিস বলে।”

    ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, “হাদিস এমন একটি শাস্ত্র যার মাধ্যমে মহানবী (সাঃ) এর বক্তব্য বা কথা ও অবস্থা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।”

    নূরুল আনওয়ার গ্রন্থে বলা হয়েছে, “শুধুমাত্র রাসূল (সাঃ) এর বাণীকেই হাদীস বলা হয়।”

    অধিকাংশ মুহাদ্দিসিনে কিরামের মতে, “মহানবী (সাঃ) এর কথা, কাজ ও মৌনসম্মতি এবং সাহাবী ও তাবেঈগণের বক্তব্যকে হাদিস বলে।”


    হাদিস কত প্রকার ও কি কি

    বিভিন্ন দিক থেকে হাদিসকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়। যেমন –

    মতনের দিক থেকে হাদীস ৩ প্রকার। যথাঃ-

    ★হাদীস-ই- মারফু

    ★হাদীস-ই- মাওকুফ

    ★হাদীস-ই- মাকতু

    ★যে হাদীসের সনদ সরাসরি মহানবী (সাঃ) পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে হাদিসে হাদীসে মারফু বলে।

    ★যে হাদীসের সনদ মহানবী (সাঃ) পর্যন্ত পৌঁছে নাই এবং সাহাবী কিরাম (রাঃ) পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে হাদীসে মাওকুফ বলে।

    ★যে হাদিসের সনদ তাবেঈ (রহঃ) পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে হাদীসে মাকতু বলে।


    রাবী বাদ পড়া হিসাবে হাদীস দুই প্রকার।যথাঃ

    ★মুত্তাছিল হাদীস

    ★মুনকাতে হাদীস

    ★যে হাদীসের সনদের ধারাবাহিকতা সর্বস্তরে ঠিক রয়েছে কোথাও কোন রাবী বাদ পড়ে নি তাকে মুত্তাছিল হাদীস বলে।

    ★যে হাদীসের সনদের মধ্যে কোন রাবীর নাম বাদ পড়েছে তাকে মুনকাতে হাদীস বলে।


    মুনকাতে হাদীস আবার তিন প্রকারঃ

    ★মুরসাল হাদীস

    ★মুয়াল্লাক হাদীস

    ★মুদাল হাদীস

    ★যে হাদীসে শেষের দিকে রাবীর নাম বাদ পড়েছে অর্থাৎ সাহাবীদের নামই বাদ পড়েছে তাকে মুরসাল হাদীস বলে।

    ★যে হাদীসের সনদের প্রথম দিকে রাবীর নাম বাদ পড়েছে অথার্ৎ সাহাবীর পর তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ীর নাম বাদ পড়েছে তাকে মুয়াল্লাক হাদীস বলে।

    ★যে হাদীসে দুই বা ততোধীক রাবী ক্রমান্বয়ে সনদ থেকে বিলুপ্ত হয়েছে তাকে মুদাল হাদীস বলে।


    বিষয়বস্তুর বিচারে হাদীসকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ-

    ★হাদীস-ই-ক্বাওলি

    ★হাদীস-ই- ফেইলি

    ★হাদীস-ই- তাকরিরি

    ★মহানবী (সাঃ), সাহাবী (রাঃ) ও তাবেঈগণের সরাসরি বক্তব্য বা বাণীকে হাদীস-ই-ক্বাওলি বলা হয়।

    ★মহানবী (সাঃ) তাঁর সাহাবী কিরাম (রাঃ) ও তাবেঈগণের কাজকে হাদীস-ই-ফেইলি বলে।

    ★মহানবী (সাঃ) তাঁর সাহাবী কিরাম (রাঃ) ও তাবেঈগণের মৌনসম্মতিকে হাদীস-ই-তাকরিরি বলে।


    বিশুদ্ধতার বিচারে হাদীস ৩ প্রকার। 

    এগুলো হলো –

    ★সহীহ হাদীস

    ★হাসান হাদীস

    ★যঈফ হাদীস

    ★সহীহ হাদীসঃ যে হাদীসের বর্ণনাকারীদের বর্ণনার ধারাবাহিকতা রয়েছে এবং সনদের প্রতিটি স্তরে বর্ণনাকারীর নাম, বর্ণানাকারীর বিশ্বস্ততা, আস্তাভাজন, স্বরণশক্তি অত্যন্ত প্রখর এবং কোনস্তরে তাদের সংখ্যা একজন হয়নি তাকে সহীহ হাদীস বলে।

    ★হাসান হাদীসঃ যে হাদীসে সহীহ হাদীসের সব গুনই রয়েছে, তবে তাদের স্বরণ শক্তির যদি কিছুটা দুর্বলতা প্রমাণিত হয়েছে, তাকে হাসান হাদীস বলে।

    ★যঈফ হাদীসঃ হাসান, সহীহ হাদীসের গুন সমুহ যে হাদীসে পাওয়া না যায় তাকে যঈফ হাদীস বলে।



    Tag: হাদিস কাকে বলে,  হাদিসের পরিচয়,  হাদিস কত প্রকার ও কি কি

                                   
    Previous Post Next Post


    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com



    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com

    (সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Telegram পেজ)