পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি পাঠ - শেষে তােমার অর্জনসমূহের তালিকা সম্বন্বিত একটি পােস্টার তৈরি কর-নবম/৯ম শ্রেণির/শ্রেণীর ২য় সাপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা এসাইনমেন্ট সমাধান /উত্তর ২০২১

পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি পাঠ - শেষে তােমার অর্জনসমূহের তালিকা সম্বন্বিত একটি পােস্টার তৈরি কর-নবম/৯ম শ্রেণির/শ্রেণীর ২য় সাপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা এসাইনমেন্ট সমাধান /উত্তর ২০২১


       
       
      

    পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি পাঠ - শেষে তােমার অর্জনসমূহের তালিকা সম্বন্বিত একটি পােস্টার তৈরি কর। 

    সংকেত : ( নিচের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তুমি যা জেনেছ ) ১। নাগরিকতা 

    ২। পরিবার 

    ৩। সমাজ । 

    ৪। রাষ্ট্র 

    ৫। আন্তর্জাতিক সংস্থা

    নবম/৯ম শ্রেণির/শ্রেণীর ২য় সাপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা এসাইনমেন্ট সমাধান /উত্তর ২০২১

    পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি পাঠ - শেষে তােমার অর্জনসমূহের তালিকা সম্বন্বিত একটি পােস্টার তৈরি কর।


    পৌরনীতি বলতে সেই শাস্ত্রকে বােঝায়- যা নাগরিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের আচরণ ও কার্যাবলি নিয়ে আলােচনা করে । প্রখ্যাত ব্রিটিশ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ই . এম . হােয়াইট এর মতে , “ পৌরনীতি হলাে জ্ঞানের সেই মূল্যবান শাখা , যা নাগরিকতার অতীত , বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং স্থানীয় , জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবতার সঙ্গে জড়িত সব বিষয় নিয়ে আলােচনা করে । বিশিষ্ট চিন্তাবিদ এফ . আই . গাউড বলেন- “ মানুষ যে সব প্রতিষ্ঠান , অভ্যাস ও কার্যাবলির দ্বারা রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে এবং রাষ্ট্র প্রদত্ত অধিকার ভােগ করে , সে সব প্রতিষ্ঠান , , অভ্যাস ও কার্যাবলি নিয়ে যে শাস্ত্র আলােচনা করে তাকে পৌরনীতি বলে । ” পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি পাঠ শেষে আমার অর্জনসমূহকে নিচে পােস্টারের মাধ্যমে উপস্থাপনা করে সংক্ষেপে তা আলােচনা করা হলােঃ

    নাগরিকতা 

    পৌরনীতি হলাে নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান । শাব্দিক অর্থে নগরের অধিবাসীকে নাগরিক বলে । পৌরনীতিতে নাগরিক শব্দের বিশেষ অর্থ রয়েছে । একটি রাষ্ট্রের সমাজের সদস্য হিসেবে মানুষ যে পরিচিতি , মর্যাদা , অধিকার পেয়ে থাকে তাকে নাগরিকতা বলে । অতএব বলা যায় , নাগরিকতা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রের সদস্য হিসেবে ব্যক্তির অর্জিত পরিচিতি , গুণাবলি , সম্মান ও অধিকার । নাগরিক যদি যথাযথভাবে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে তাহলে তার নাগরিকতার মর্যাদা বৃদ্ধি পায় । রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা যেমন রাষ্ট্র প্রদত্ত সামাজিক , রাজনৈতিক ও মৌলিক অধিকার ভােগ করি , তেমনি আমাদেরকেও রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয় । যেমন- রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ , আইন মান্য করা , কর প্রদান করা , রাষ্ট্রের সেবা করা , সততার সহিত ভােটদান ।

    আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে , “ সেই ব্যক্তি নাগরিক যে কোন রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করে , রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে , রাষ্ট্র প্রদত্ত সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ভােগ করে এবং রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে । ” 

    পরিবার 

    বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এক বা একাধিক পুরুষ ও মহিলা , তাদের সন্তানাদি পিতামাতা এবং অন্যান্য পরিজন যে সংঘটন গড়ে উঠে তাকে পরিবার বলে । ম্যাকাইভারের মতে , সন্তান জন্মদান ও লালন - পালনের জন্য যে সংগঠিত ক্ষুদ্র বর্গকে পরিবার বলে । মূলত পরিবার হলাে স্নেহ , মায়া , মমতা ও ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গঠিত ক্ষুদ্র সামাজিক প্রতিষ্টান । সন্তান জন্মদান ও লালন পালন করা পরিবারের অন্যতম প্রধান কাজ । মা - বাবা , ভাই - বােন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সহায়তায় সততা , শিষ্টাচার , উদারতা , নিয়মানুবর্তিতা ইত্যাদি মানবিক গুণাবলি শিক্ষা লাভের প্রথম সুযােগ পরিবারেই সৃষ্টি হয় । তাছাড়া পরিবার আমাদের বুদ্ধি , বিবেক ও আত্মসংযমের শিক্ষা দেয় যা আমাদের সুনাগরিক হতে সাহায্য করে । 

    সমাজ 

    সমাজের সাথে মানুষের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য । মানুষকে নিয়ে সমাজ গড়ে উঠে সমাজ বলতে সেই সংঘবদ্ধ জনগােষ্টিকে বােঝায় যারা কোনাে সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য একত্রিত হয় । অথ্যাৎ একদল লােক যখন সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে বসবাস করে , তখনই সমাজ গঠিত হয় । সমাজের মধ্যেই মানুষের মানবীয় গুণাবলী ও সামাজিক মূল্যবােধের বিকাশ ঘটে । গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল যথার্থই বলেছেন- ' মানুষ স্বভাবগত সামাজিক জীব । যে সমাজে বাস করে না , সে হয় পশু , না হয় দেবতা । ' 

    রাষ্ট্র 

    রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্টান । রাষ্ট্র গঠনের জন্য নির্দিষ্ট ভূখন্ড আবশ্যক । প্রতিটি রাষ্ট্রেরই আছে নির্দিষ্ট ভূখন্ড এবং জনসংখ্যা । রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আরও আছে সরকার ও সার্বভৌমত্ব । মূলত এগুলাে ছাড়া রাষ্ট্র গঠিত হতে পারে । রাষ্ট্র গঠনের চারটি উপাদান রয়েছে । যথা : জনসমষ্টি , সরকার ও সার্বভৌমত্ব । সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যাবশ্যকীয় উপাদান । অধ্যাপক গার্নার এর মতে , ' সুনির্দিষ্ট ভূখন্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী , সুসংগঠিত সরকারের প্রতি স্বভাবজাতভাবে আনুগত্যশীল , বহিঃশত্রুর নিয়ন্ত্রণ হতে মুক্ত স্বাধীন জনসমষ্টিকে রাষ্ট্র বলে । দীর্ঘদিনের বিবর্তনের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন শক্তি ও উপাদান ধীরে নির্দিষ্ট ভূখন্ড ধীরে পরিবর্তিত হতে হতে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয় । যেসব উপাদানের কার্যকারিতার ফলে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয় , সেগুলাে হলাে- সংস্কৃতির বন্ধন , রক্তের বন্ধন , ধর্মের বন্ধন , যুদ্ধবিগ্রহ , অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চেতনা । ঐতিহাসিক বা বিবর্তনমূলক মতবাদ সম্পর্কে ড . গার্নার বলেন- ' রাষ্ট্র বিধাতার সৃষ্টি নয় , বল । প্রয়ােগের মাধ্যমেও সৃষ্টি হয়নি বরং ঐতিহাসিক ক্রমবিবর্তনের ফলে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে । 

    আন্তজার্তিক সংস্থা 

    নাগরিককে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যথা- ইউনিয়ন পরিষদ , পৌরসভা , সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদি এবং জাতীয় পর্যায়ে আইন বিভাগ , বিচার বিভাগ । নাগরিক জীবন কেবল স্থানীয় সংস্থাগুলাের সাথে জড়িত নয় , বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য উন্মুখ । এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য বিশ্বাসী একে অপরের সুখে - দুঃখে পাশে দাঁড়ান এবং এই জাতীয় চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্বশান্তি রক্ষা করেন । নাগরিকের অধিকার রক্ষায় কমনওয়েলথ , জাতিসংঘ ইত্যাদি আন্তজার্তিক সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে । 

    Tag:পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি পাঠ - শেষে তােমার অর্জনসমূহের তালিকা সম্বন্বিত একটি পােস্টার তৈরি কর,নবম/৯ম শ্রেণির/শ্রেণীর ২য় সাপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা এসাইনমেন্ট সমাধান /উত্তর ২০২১

                                   
    Previous Post Next Post


    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com



    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com

    (সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Telegram পেজ)