![]() |
Pic:Collected |
এইচএমপিভি (hMPV) কী?
এইচএমপিভি (Human Metapneumovirus) হলো একটি শ্বাসতন্ত্রজনিত ভাইরাস যা শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এটি ২০০১ সালে আবিষ্কৃত হয় এবং প্যারামাইক্সোভাইরাস পরিবারের অন্তর্গত। hMPV সাধারণত ঠান্ডা-জ্বর থেকে শুরু করে গুরুতর ফুসফুসের সংক্রমণ (নিউমোনিয়া) এবং ব্রংকিওলাইটিস সৃষ্টি করতে পারে।
এইচএমপিভি ভাইরাসের লক্ষণগুলো
১. প্রাথমিক লক্ষণ:
- সর্দি
- গলা ব্যথা
- নাক বন্ধ বা সর্দি পড়া
- হালকা জ্বর
২. উন্নত লক্ষণ (সংক্রমণ গুরুতর হলে):
- কাশি
- শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
- তীব্র জ্বর
- বুকে চাপ বা অস্বস্তি
- ফুসফুসে সংক্রমণ (নিউমোনিয়া)
- শিশুদের ক্ষেত্রে খাওয়া বা দুধ পান করতে অস্বস্তি
hMPV সংক্রমণ কিভাবে ছড়ায়?
- হাঁচি বা কাশির সময় ভাইরাসযুক্ত ড্রপলেট থেকে।
- দূষিত পৃষ্ঠ বা বস্তু স্পর্শ করার পর মুখ, নাক বা চোখ স্পর্শ করলে।
- ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে (যেমন চুম্বন বা আলিঙ্গন)।
hMPV থেকে সতর্ক থাকার উপায়
১. ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা:
- বারবার হাত ধোয়া।
- মুখে, নাকে বা চোখে হাত দেওয়া এড়ানো।
২. আবদ্ধ পরিবেশে সতর্ক থাকা:
- ভিড় এড়ানো।
- শ্বাসনালী সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শে না আসা।
৩. সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ:
- হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা।
- দূষিত পৃষ্ঠ বা বস্তু পরিষ্কার রাখা।
৪. শিশু ও প্রবীণদের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া:
- বাচ্চাদের দূষিত খেলনা বা জিনিসপত্র থেকে দূরে রাখা।
- বয়স্কদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা।
চিকিৎসার জন্য কী করবেন?
- hMPV-এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই।
- লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয় (যেমন জ্বর কমানোর ওষুধ, পর্যাপ্ত জল পান)।
- শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সতর্কতা ও পরিচ্ছন্নতা মেনে চললে hMPV সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
Tag:এইচএমপিভি (hMPV) কি? এই ভাইরাসের লক্ষণ কি কি? কিভাবে সতর্ক থাকবে

Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)