হজের দিনকেই আরাফার দিন বলা হয়। আরাফাত হলো হজ্জের একটি অংশ। আর একটি কবুল হজ্জের বিনিময় হলো জান্নাত। তাই হজ্জের সঙ্গে জরিত প্রতিটি ইবাদতের মূল্য আল্লাহর কাছে অনেক মর্যাদা সম্পূক্ত। আরাফাত দিন আল্লাহ তায়ালা বান্দার খুব কাছাকাছি থাকেন। এই দিনে যত মানুষকে আল্লাহ তায়ালা জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন, বছরের আরো কোন দিনে এত মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন না।
আরাফার রোজা কয়টি
আরাফাত দিনের রোজা ১ টি। চাঁদের হিসাবে ৯ জিলহজ্জ,বাংলাদেশের তা হলো রবিবার তথা ১৬ জুন। তাই বাংলাদেশে যারা বসবাস করেন, তারা শনিবার শেষরাতে সেহেরি খেয়ে বুধবার রোজা রাখবেন।
আরাফার রোজার নিয়ত
নিয়ত মানে হলো ইচ্ছা পোষন করা,নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়। আপনি আরাফার রোজা রাখার ইচ্ছা করেছে এটাই নিয়ত হয়ে গেছে। আলাদা ভাবে আর আরবি কোন নিয়ত করতে হবে না।
আরাফার দিন রোজা রাখার ফজিলত
হজরত সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আরাফার দিন রোজা রাখে তার একাধারে দুই বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (আবু ইয়ালা, আত-তারগিব)
হজরত আবু কাতাদাহ আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আরাফার (হজের দিনের) রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আরাফার দিনের (হজের দিনের) রোজা পেছনের এক বছর এবং সামনের এক বছরের গুনাহের কাফফারা হবে। আর তাকে আশুরার রোজার কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বিগত এক বছরের গুনাহের কাফফারা হবে।’ (মুসলিম, মুসনাদে আহমদ)
এদিন বান্দার দিকে মহান প্রভুর রহমতের জোয়ার প্রবলবেগে উৎসারিত হয়। অসংখ্য বান্দাকে তিনি ক্ষমা করেন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেন, ‘আরাফার দিনের মতো আর কোনো দিন এত অধিক পরিমাণে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয় না। আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার নিকটবর্তী হন এবং বান্দাদের নিয়ে ফেরেশতাদের নিকট গর্ব করেন। আল্লাহ বলেন, কী চায় তারা? (সহিহ মুসলিম: ১৩৪৮)
Tag: আরাফার রোজা কয়টি,আরাফার রোজার নিয়ত,দোয়া,আরাফার দিন রোজা রাখার ফজিলত

Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)