আসছালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। প্রিয় পাঠক আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। বন্ধুরা বর্তমানে বাংলাদেশের সব জায়গায় চোখ উঠার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। চোখ উঠার কারনে চোখ লাল হয়ে পানি ঝড়তে দেখা যায়। অনেকের চোখের পাতা ফুলে যায় আবার একটু একটু ব্যথা ও অনুভব হয়। তাই আজকে আমরা তোমাদের চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ,চিকিৎসা,ঐষদ -চোখ উঠার ড্রপ -বাচ্চাদের চোখ উঠার ড্রপ, চোখ উঠা করনীয়,চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে,চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা আরো অনেক বিস্তারিত অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করবো।
বাংলাদেশে এমন ভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে যার কারনে ফার্মেসিগুলোতে চোখ ওঠা রোগের ওষুধ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে ফার্মেসি গুলোতে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে ওষুধ কোম্পানিগুলো সাধারণত চোখ ওঠা রোগের ওষুধ কম সরবরাহ করে থাকে। আর এই ঐষদ গুলো কম চলে। অনেক সময় দেখা যায় ফার্মেসিতেই ওষুধ পড়ে থাকার কারণে মেয়াদ চলে যায়। বর্তমান সময়ে এক যোগে সারা বাংলাদেশে চোখ উঠার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় ফার্মেসির মালিকরা একসাথে অর্ডার করতে শুরু করায় সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে।
চোখ উঠার লক্ষণ
- চোখের কোনায় লাল হয়ে যায়
- ঘুম থেকে ওঠলে চোখ আঠা আঠা লাগা
- সব সময় চোখের ভেতর কিছু একটা পড়েছে এমন অনুভূতি
- চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা
- আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি লাগা
- সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখা
- চোখ দিয়ে পানি পড়া
- চোখের কোনায় ময়লা (যা কেতুর নামে প্রচলিত) জমা
- চোখ ফুলে যাওয়া চোখ ওঠার লক্ষণ।
চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা
- সাধারণত এই রোগ এমনিতে ভালো হয়ে যায়
- চোখের পানি বা ময়লা মোছার জন্য আলাদা তোয়ালে বা রুমাল ব্যবহার করা
- পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। অপরিষ্কার রুমাল ব্যবহার করা যাবে না
- এই সময়ে কালো চশমা পরা যেতে পারে, এতে বাইরের ধুলাবালু বা বাহ্যিক আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়
- বাইরের পানি দিয়ে ঝাপটা দেওয়া যাবে না
- চোখের পাতা বেশি ফুলে গেলে বরফ দেওয়া যেতে পারে
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ওষুধ খাওয়া উচিত
- চোখে ব্যাথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আই অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে
- হাত না ধুয়ে যখন-তখন চোখ ঘষা বা চুলকানো যাবে না
- চোখ ওঠা শিশুদের আলাদা বিছানায় শোয়াতে হবে
চোখ উঠার ড্রপ
প্রিয় পাঠক নিচে চোখ উঠার ৩ টি ড্রপ দেওয়া হলো আপনি চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী যে কোন একটি ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
চোখ উঠার সব চেয়ে ভালো ড্রপ হলো Ovel Drop এর ড্রপটি যাদের চোখে উঠে, চোখে খস খস করে, তারা ব্যবহার করবেন। এবং যাদের চোখের মধ্যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তারা দিবেন Ovel Ts.
Ovel Ts ও Ovel চোখে দেওয়ার নিয়মঃ-
- প্রথম দুই দিন দুই ফুটা করে দুই ঘন্টা পর পর দিবেন। এক চোখে সমস্যা হলে এক চোখে দুই চোখে সমস্যা হলে দুই চোখে।
- আর পরে ৩/৭ দিন দুই ফুটা করে ৪ ঘন্টা পর পর দিবেন।
- চোখ উঠার আরো ভালো একটি ড্রপ হলো Moxivin (মক্সিবিন) এই ড্রপটি দৈনিক ১ ফুটা করে ৪ বার ব্যবহার করবেন।
- চোখ উঠলে আপনি floxalone eye drop এটি ও ব্যবহার করতে পারেন। এই ড্রপটি দিনে ১ ফুটা করে ৩ বার ব্যবহার করবেন। এটি একটু এন্টিবায়োটিক ড্রুপ তাই অবশ্যই ৭ দিন ব্যবহার করতে হবে।
বাচ্চাদের চোখ উঠার ড্রপ
- বাচ্চাদের জন্য মক্সিব্যাক আই ড্রপ ১ ফুটা করে ৪ বার চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন।
চোখ উঠা কত দিনে কমে?
- সাধারণত ৩ বা ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে উপসর্গগুলো কমে আসে।
চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে?
তবে আক্রান্ত রোগীর চোখের দিকে তাকালেই কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হবে; এমন একটি ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত রয়েছে।
চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না
- চোখ উঠলে সাধারণ আমরা যে গুলো খাই সব কিছু খাওয়া যাবে। খাওয়া যাবে না এমন কিছু নেই।
Tag: চোখ উঠলে ঔষধ,বাচ্চাদের চোখ উঠার ড্রপ,চোখ উঠা করনীয়,চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে,চোখ ওঠার দোয়া,চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা
Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)