পরকীয়া প্রেম কাকে বলে | ছেলেরা/মেয়েরা পরকীয়া করে কেন | পরকীয়া থেকে মুক্তির উপায়

পরকীয়া প্রেম কাকে বলে | ছেলেরা/মেয়েরা পরকীয়া করে কেন | পরকীয়া থেকে মুক্তির উপায়


আসছালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্ধ আসা করি সবাই ভালো আছেন। বন্ধুরা আজকে আমরা সমাজে প্রচলিত একটি কমন অপরাধ নিয়ে আলোচনা করবো। যেটা হলো পরকীয়া  যা অধিকাংশ নারী পুরুষ  এই অপরাধে জরিত। অনলাইনের যোগ তাই এখন পরকীয়ার হার বেরে গেছে খুব অল্প সময়ে নারী পুরুষ এই অপরাধে জরিয়ে পড়তেছে। তাই আজকে আমরা পরকীয়া প্রেম কাকে বলে -ছেলেরা/মেয়েরা পরকীয়া করে কেন - পরকীয়া থেকে মুক্তির উপায় শেয়ার করবো।

   
       

    পরকীয়া প্রেম কাকে বলে

    উত্তরঃ- বিয়ের পর স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন পুরুষ বা মহিলার সাথে প্রেমকেই পরকীয়া প্রেম বলে।

    ছেলেরা/মেয়েরা পরকীয়া করে কেন

    পরকীয়া প্রেমের মূল কারনগুলো হলো:

     
    ক. সময়ের সাথে সংসার জীবনের প্রতি অনাগ্রহ বা তিক্ততা চলে আসা।
    খ. শারীরিক চাহিদা পূরণে স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি একঘেঁয়েমি চলে আসা।
    গ. শারীরিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীর অক্ষমতা বা অপূর্ণতা।
    ঘ. নিতান্তই এ্যাডভেঞ্চার-প্রিয়তা, লুকিয়ে প্রেম করার স্বাদ অনুভব করা। মহিলাদের মধ্যে পরকীয়া এদেশে এখনো ততোটা জনপ্রিয় নয় যতোটা পুরষদের মধ্যে। পুরুষদের পরকীয়া প্রেমের ক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যাক্তিটি কম বয়সী কোন অল্প বয়সী মহিলা এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে যুবতীও হয়ে থাকেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যাক্তিটি সাধারণত কোন মধ্যবয়সী পুরুষ হয়ে থাকেন। ৩০-৪৮ বছর বয়সীদের মধ্যে পরকীয়া প্রেম বহুলভাবে পরিলক্ষিত হয়।

    পরকীয়া থেকে মুক্তির উপায়

    পবিত্র কোরাআনে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, হে নবী! আপনি মুমিন পুরুষদের বলে দেন, তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত করে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানগুলোর হেফাজত করে। এটিই তাদের জন্য সর্বৎকৃষ্ট পবিত্র পদ্ধতি। তারা যা কিছু করে আল্লাহ তা ভালো করেই জানেন। আর হে নবী! আপনি মুমিন নারীদের বলে দেন, তারাও যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানগুলোর হেফাজত করে। আর তাদের সাজসজ্জা যেন প্রকাশ না করে যা নিজ থেকেই প্রকাশ হয়ে যায়। আর তারা যেন ওড়না দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে... নিজেদের যে সৌন্দর্য লুকিয়ে রেখেছে তা লোকদের সামনে প্রকাশের উদ্দেশে তারা যেন সজোরে পদক্ষেপ না ফেলে। হে মুমিনরা! তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর কাছে তাওবা কর, আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে। [সূরা নূর, ৩০-৩১।

    পুরুষ-মহিলা সবাইকে চরিত্র সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। এটা অশ্লীল কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।' (সুরা বনি ইসরাইল, ৩২)

    পরকিয়া থেকে মুক্তি পেতে হলে নারী পুরুষের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিচে তা তুলে ধরা হলোঃ-

    • আল্লাহকে ভয় করতে হবে। গোনাহের কাজ করার আগে সব সময় মাথায় রাখবেন আলাহ আমার সব কিছু দেখতেছেন শুনতেছে।
    • পরকিয়া থেকে মুক্তি পেতে হলে হলো নিজেদের দৃষ্টি সংযত করে করতে হবে। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটে ডুকলেই এমন কিছু সামনে আসে যা দেখলে পরকিয়া করতে মন চাইবে। তাই নিজেদের দৃষ্টি সংযত করতে হবে। খারাপ সব কিছু এড়িয়ে যেতে হবে।
    • আপনি মুসলিম হয় থাকলে পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে। আর নামাজ সকল গোনাহ থেকে মানুষকে বাচিয়ে রাখে।নিয়মিত নামাজ পড়লে ইনশাআল্লাহ পরকিয়া করতে আর মন চাইবে না।
    • যদি আপনি নারী হয়ে থাকেন তাহলে বাহিরে বের হলে এত সাজ সজ্জা করে যাবেন না। যা দেখলে অন্য পুরুষ আপনার প্রতি আকৃষ্ট হয়। ফোনে কথা বললে অপরিচিত কারো সাথে মধুর শুর ব্যবহার করবেন না। সুরা আহজাবের ৩২ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা পরপুরুষের সঙ্গে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। যাতে নারীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কোনো পুরুষ আকর্ষণবোধ না করেন। এরপর ৩১ নম্বর আয়াতে মহিলাদেরকে তাদের দৃষ্টি সংযত রাখার পাশাপাশি তাদের গোপন শোভা অনাবৃত করতে নিষেধ করা হয়েছে। 
    • স্ত্রীর মাঝে স্বামীর নিকট অপছন্দীয় কোন আচার-আচরণ থাকলে তা পরিবর্তন করা এবং যথাসাধ্য তাকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা। দাম্পত্য জীবনে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক স্বামী-স্ত্রী এ বিষয়ে অজ্ঞতা বা অবহেলার কারণে সময়ের ব্যবধানে তারা দাম্পত্য জীবনের উষ্ণতা ও আবেদন হারায়। ফলে দুজনের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হয় এবং অবশেষে ঈমানী দূর্বলতা, কুপ্রবৃত্তির তাড়না এবং শয়তানের কুমন্ত্রণায় তারা ভিন্ন পথ খুঁজা শুরু করে।
    • হাদিস শরিফে ব্যভিচারের ভয়ানক শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'হে মুসলমানগণ! তোমরা ব্যভিচার পরিত্যাগ কর। কেননা এর ছয়টি শাস্তি রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি দুনিয়াতে ও তিনটি আখেরাতে প্রকাশ পাবে।
    1.  যে তিনটি শাস্তি দুনিয়াতে হয় তা হচ্ছে, তার চেহারার ঔজ্জ্বল্য বিনষ্ট হয়ে যাবে, তার আয়ুষ্কাল সংকীর্ণ হয়ে যাবে এবং তার দারিদ্রতা চিরস্থায়ী হবে।
    2.  আর যে তিনটি শাস্তি আখেরাতে প্রকাশ পাবে তা হচ্ছে, সে আল্লাহর অসন্তোষ, কঠিন হিসাব ও জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে।' (বায়হাকি, হা নং ৫৬৪)


    Tag:- পরকীয়া প্রেম কাকে বলে, ছেলেরা/মেয়েরা পরকীয়া করে কেন,পরকীয়া থেকে মুক্তির উপায়



                                   
    Previous Post Next Post


    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com



    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com

    (সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Telegram পেজ)