আরো দেখুন
- বাংলাদেশের ৬৪ জেলার রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২৪
- সেহরি ও ইফতারের দোয়া
- যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪
- ১ ভরি স্বর্ণের যাকাত কত টাকা ২০২৪
- ১ লাখ টাকার যাকাত কত টাকা ২০২৪
- ফিতরা কত টাকা ২০২৪
- জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার নিয়ম
- ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
- অনলাইনে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
- পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ
- পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
- পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ এবং প্রতিরােধ আন্দোলন
ষষ্ঠ /৬ষ্ট শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান /উত্তর ২০২২ (২য় সপ্তাহ) | ষষ্ঠ শ্রেণির ২য় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২
শিরোনাম:বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ এবং প্রতিরােধ আন্দোলন
ক) প্রতিবেদনের বিষয়ের আলােকে ভূমিকা লিখতে হবে
উত্তর: মুক্তিযুদ্ধ বাঙালিত জাতির সবচেয়ে গৌরবময় ঘটনাত। এই যুদ্ধের মধ্যত দিয়েই আমরা লাভ করেছিতস্বাধীন দেশ, নিজস্ব পতাকাত। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বাংলার ছাত্র-যুবক, কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরেরত জনগণ বর্বর হানাদারত পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধেতঅবতীর্ণ হয়। তারইতপরিণতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরতঅর্জিত হয়তচূড়ান্ত বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে খোদিততহয় একটা নাম- ‘স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশত’।
খ) বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ বর্ণনা করতে হবে
উত্তর: ১। দেশকে শোষকের হাততথেকে রক্ষা করাত।
২। দেশকেতপরাধীনতার গস্নানিতথেকে মুক্ত করা।
৩। হানাদার তবাহিনীর অন্যায় ও অত্যাচারত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষাতকরা।
৪। শাসক ও শোষকদের তঅন্যায় অবিচার থেকেত বাংলার মানুষকে মুক্তত করা।
৫। দেশকে স্বাধীনত ও শোষণমুক্ত করাত।
পাকিস্তান সরকার এ দেশের মানুষের ওপরতসামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে নিপীড়নতচালিয়েছিল বলেই বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধতকরেছিল।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তানতরাষ্ট্র সৃষ্টির পর থেকেই পাকিস্তানিতশাসকরা এ দেশের মানুষেরতওপর বৈষম্যমূলক আচরণতশুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখতমুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেতবাঙালিরা তখন প্রতিবাদী হয়েতওঠে। এতে পাকিস্তানি শাসকরা তবাঙালিদের দমাতে চেষ্টা করে। তারইত বাবে ১৯৭১ সালে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে।
গ) প্রতিরােধ আন্দোলনের উপায় বর্ণনা করতে হবে
উত্তর: স্বাধীনতাতসংগ্রামকে বেগবান করারতজন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রধানতসেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীরতনেতৃত্বে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরেতভাগ করা হয়। এ দেশেরতঅগণিত ছাত্র-জনতা, পুলিশ, তইপিআর, আনসার ও তসামরিক-বেসামরিক লোকদেরতসমন্বয়ে মুক্তিবাহিনী গঠন করাত হয়।
পাকিস্তানি হানাদারতবাহিনীর কবল থেকেতদেশকে মুক্তি করার লক্ষ্যেততারা যুদ্ধ কৌশল, অস্ত্রচালনাত ও বিস্ফোরক ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। যতইত দিন যেতে থাকে ততইত সুসংগঠিত হয়ত মুক্তিবাহিনী। মুক্তিবাহিনী গেরিলাত যুদ্ধে রীতি অবলম্বনত করে শত্রুদের বিপর্যস্ত করেত। বিশাল শত্রুবাহিনী আধুনিকত অস্ত্রশস্ত্র ও প্রশিক্ষণত নিয়েও মুক্তিবাহিনীরত মোকাবিলায় সক্ষমত হচ্ছিল নাত।
একজন গেরিলা হলেন একজন অর্ধসামরিক বা বেসামরিকত ব্যক্তি যে একটি ছোট দলেরত অংশ হিসেবে একটিত বড়ো সরকারী সেনাবাহিনীকে আক্রমণত করে।
গেরিলা যুদ্ধ এমন একত ধরণের যুদ্ধ পদ্ধতি যেখানেত ভূমি এবং ভৌগোলিক সুবিধাত ব্যবহার করে প্রতিপক্ষেরত ওপরে প্রাধান্য বিস্তারত করা হয়ত। গেরিলাযুদ্ধ অনেক সময়েইত দুর্গম বন-জঙ্গল এলাকায়ত হয়ে থাকে। গেরিলারাত যুদ্ধে জয় করার জন্য এবং সামরিকত বাহিনীকে মোকাবিলাত করার জন্য অনেক রকমত সামরিক কৌশল ব্যবহারত করে, যেমন অতর্কিতত আক্রমণ , অন্তর্ঘাত, হানা, ক্ষুদ্র যুদ্ধ, হিটত এবং রানত কৌশল, ইত্যাদি।
বাংলাদেশেরত মুক্তিযুদ্ধে বা স্বাধীনতাত যুদ্ধে গেরিলারাই মুখ্যত ভূমিকা পালন করেত৷ স্বাধীনতার ডাকে সাড়াত দিয়ে যুদ্ধে যারা অংশত নিয়েছিল তারাত বেশিরভাগ ই ছিলেন, এদেশেরত নিম্ন পেশাজীবী ও সাধারণত জনতা। যুদ্ধের রণত কৌশল সম্বন্ধে তারাত পুরোপুরি অজ্ঞত ছিলেন। স্বেচ্ছায় এগিয়েত আসা সাধারণ কিছুত মানুষদের ভারতের দুমকিতেত স্বল্প ট্রেনিং এরত ব্যাবস্থা করা হয়। স্কুলত, কলেজ, স্থাপনা, রাস্তা ঘাটত ছিল পাকিস্থানিদেরত দখলে।
ফলে বাঙালিত মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাবহার করেত দুর্গম এলাকা। বনেত জঙ্গলে বসে যুদ্ধের ছোটত ছোট প্লান করেন। স্বল্প সদস্য নিয়েত শত্রু ঘাটিতে আক্রমণত করেন । যোগাযোগ ব্যবস্থা নষ্টত করে দেন। ছোট ছোটত অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হয়েত যান, পাকিস্তানি দেরত বড় বড় অস্ত্রের সামনেত। প্রবল ইচ্ছা শক্তি ও গেরিলাত কৌশলের দরুণ, ভারী অস্ত্রেরত মুখেও পরাস্ত্র করে ফেলেনত পাকিস্থানি সৈন্যত বাহিনীকে।
বাংলাদেশেরত পক্ষে যে সব যোদ্ধারাত অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে খুব কমত সংখ্যক সদস্যই ছিলেন সামরিকত সদস্য। পুরোপুরি অদক্ষ কিন্তুত ইচ্ছাশক্তি প্রবণত বাঙালী রক্তের কাছেত পরাজিত হতে বাধ্য হয়েছিলত পাকিস্তান। মুক্তিযোদ্ধাদের একমাত্র লক্ষ্যত হয়ে উঠে শত্রু ঘায়েলত করা। তা সে যেকোনত মূল্যেই হোকত।
যেহেতু সাধারণত মুক্তিবাহিনীর তুলনায়ত প্রশিক্ষিত সামরিক তবাহিনীর সদস্য সংখ্যাত মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ারত সুযোগ কম ছিল বাত কম নিয়েছিল, তাইত বলা যায় গেরিলাত যোদ্ধাদের কারণেইত মূলত যুদ্ধের ফলাফলত নির্ধারিত হয়। শত্রুশিবির ধংসেরত মধ্যে দিয়ে ৭১ এরত মার্চ থেকে যেত স্বাধীনতার চেতনাত বাঙালি হৃদয়ে জেগেছিলত তা ই পরবর্তী ৯ মাস শক্তিত যুগিয়েছিল বাংলাকেত স্বাধীন বাংলাদেশে রুপান্তরের জন্য।
উত্তর শেষ।
টাগঃবাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ এবং প্রতিরােধ আন্দোলন,ষষ্ঠ /৬ষ্ট শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান /উত্তর ২০২২ (২য় সপ্তাহ) |, ষষ্ঠ শ্রেণির ২য় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২