আসছালামু আলাইকুম প্রিয় নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে আমি এই পোস্টে তোমাদের নবম শ্রেণীর ৪র্থ সাপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান শেয়ার করবো। আসা করি তোমাদের উপকারে আসবে।
নবম/৯ম শ্রেণির ৪র্থ সাপ্তাহের রসায়ন এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
Class 9 Chemistry 4th Week Assignment Answer 2021
তারিখ : ৩০ মার্চ , ২০২১
বরাবর , প্রধান শিক্ষক
' ক ' উচ্চ বিদ্যালয়
ঢাকা ।
বিষয় : প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক সম্পর্কিত প্রতিবেদন ।
সূত্র / স্মারক নং : ঢা.উ.বি.২০২১-৩
তারিখ : ২৮ মার্চ , ২০২১ ।
জনাব , বিনীত নিবেদন এই যে , আপনার আদেশ নং ঢা.উ.বি.২০২১-৩ তারিখ : ২৮ মার্চ , ২০২১ অনুসারে “ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক ” শীর্ষক প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করছি ।
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক যেখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন পরীক্ষা - নিরীক্ষা এবং গবেষণা করা হয় তাকে পরীক্ষাগার বা গবেষণাগার বলে ।
তাই যেখানে রসায়নের পরীক্ষা - নিরীক্ষা বা গবেষণা করা হয় তাকে রসায়ন পরীক্ষাগার বা রসায়ন গবেষণাগার বলে । রসায়ন গবেষণাগারে থাকবে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য । প্রায় প্রত্যেকটি রাসায়নিক দ্রব্য আমাদের জন্য অথবা পরিবেশের জন্য কম / বেশি ক্ষতিকর । কোনাে রাসায়নিক দ্রব্য বিস্ফোরক জাতীয় , কোনাে রাসায়নিক দ্রব্য দাহ্য ( সহজেই যাতে আগুন ধরে যায় ) , কোনােটি আমাদের শরীরের সরাসরি ক্ষতি করে আবার কোনােটি পরিবেশের ক্ষতি করে ।
রসায়ন পরীক্ষাগারের যে যন্ত্রপাতি বা পাত্র ব্যবহার করা হয় তার বেশিরভাগই কাঁচের তৈরি । তাই এ রসায়ন পরীক্ষাগারে ঢােকা থেকে শুরু করে বের হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে । অসতর্ক হলেই যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে । যেমন- এসিড গায়ে পড়লে শরীরের ক্ষত সৃষ্টি হবে , পােশাকে পড়লে পােশাকটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে । এছাড়া রসায়ন গবেষণাগারে অগ্নিকাণ্ড বিস্ফোরণসহ নানা ধরনের ছােট বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । তাই শরীরকে রক্ষা করতে হলে নিরাপদ পােশাক বা অ্যাপ্রােন পরতে হবে ।
যে কোন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের আগেই আমাদের জেনে নিতে হবে সে রাসায়নিক দ্রব্য টি কোন প্রকৃতির । আর সেটি বােঝানাের জন্য রাসায়নিক পদার্থের বােতল বা কৌটার লেভেলে এক ধরনের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় । এ সংক্রান্ত একটি সার্বজনীন নিয়ম চালুর বিষয়কে সামনে রেখে জাতিসংঘের উদ্যোগে পরিবেশ ও উন্নয়ন নামে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । এ সম্মেলনে বিভিন্ন পদার্থের ঝুঁকি এবং ঝুঁকির মাত্রা বুঝানাের জন্য সার্বজনীন সাংকেতিক চিহ্ন নির্ধারণ করা হয় ।
নিচে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের ঝুঁকি , ঝুঁকির মাত্রা ও সাবধানতা সম্পর্কে লেখা হলাে
১. দাহ্য পদার্থ : প্রাকৃতিক গ্যাস ( জ্বালানি ) দাহ্য পদার্থ । এসব পদার্থের দ্রুত আগুন ধরে যেতে পারে । তাই এদের আগুন বা তাপ থেকে সবসময় দূরে রাখতে হবে ।
২. বিষাক্ত পদার্থ : বেনজিন , ন্যাপথালিন পদার্থ বিষাক্ত প্রকৃতির । তাই শরীরে লাগলে বা শ্বাস - প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে । এ ধরনের পদার্থ ব্যবহারের সময় অ্যাপ্রােন , হ্যান্ড গ্লাভস , সেফটি গগলস ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে ।
৩. স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ : এ পদার্থের উদাহরণ হলাে বেনজিন , টলুইন , জাইলিন । ইত্যাদি । এ ধরনের পদার্থ ত্বকে লাগলে বা শ্বাস - প্রশ্বাসের সাথে শরীরের ভেতরে গেলে শরীরের স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিসাধন করে । এগুলাে শরীরের মধ্যে গেলে ক্যানসারের মতাে কঠিন রােগ হতে পারে কিংবা শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতিসাধন করতে পারে । তাই এগুলােকে সতর্কভাবে রাখতে হবে এবং ব্যবহারের সময় অ্যাপ্রােন , হ্যান্ড গ্লাভস , সেফটি গগলস ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে ।
৪. পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর : ভারি ধাতু ( লেড , মার্কারি , আর্সেনিক ) পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর । অর্থাৎ এ ধরনের পদার্থগুলাে উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক ।
তাই এগুলােকে ব্যবহারের সময় যথেষ্ট সতর্ক হওয়া প্রয়ােজন । আবার , ব্যবহারের পরে যেখানে - সেখানে না ফেলে তা একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে । এসব পদার্থকে যথাসম্ভব পুনরুদ্ধার করে আবার ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে । তাহলে এগুলাে সহজে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না ।
৫. ক্ষত সৃষ্টিকারী : এ চিহ্নধারী পদার্থ শরীরে লাগলে শরীরে ক্ষত সৃষ্টি করে । শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে গ্রহণ করলে তা শরীরের ভেতরের অঙ্গেরও ক্ষতিসাধন করতে পারে । হাইড্রোক্লোরিক এসিড , সালফিউরিক এসিড , সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের গাঢ় দ্রবণ এ জাতীয় পদার্থের উদাহরণ ।
তাই , রসায়ন পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত অ্যাপ্রােনের হাতা হবে হাতের কবজি পর্যন্ত । আর লম্বায় হাটুর নীচ পর্যন্ত । এটি সাদা রঙের হয়ে থাকে । হাতকে সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয় হ্যান্ড গ্লাভস , চোখকে রক্ষা করার জন্য সেফটি গগলস ব্যবহার করা হয় । রসায়নাগারে অবস্থানের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিজের নিরাপত্তা রক্ষার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং যাবতীয় সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে ।
প্রতিবেদনের বিষয় :
প্রতিবেদন লিখার সময় :
প্রতিবেদন তৈরির তারিখ :
প্রতিবেদনের স্থান :
প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা :
প্রতিবেদকের স্বাক্ষর
নবম/৯ম শ্রেণির রসায়ন এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
Tag:নবম/৯ম শ্রেণির ৪র্থ সাপ্তাহের রসায়ন এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১, Class 9 Chemistry 4th Week Assignment Answer 2021
Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)