আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ বন্ধুরা আপনাদের সবাইকে Educationblog24.Com এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা অনেক ভালো আছেন।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ বন্ধুরা আমাদের আজকের এই পোস্ট মূল বিষয় হলো ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম, নিয়ত ও ফজিলত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
সালাতুল ইশরাক শব্দের অর্থ হলো— আলোকিত হওয়া। সূর্য উঠার পর জগত আলোকিত হয় বলে এ সময় হাদিসে যে নামাজের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, মুহাদ্দিসিনে কেরামগণ তাকে সালাতুল ইশরাক বলেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এ নামাজ পড়তেন না বরং একটু সময় নিয়ে আদায় করতেন। এই নামাজ আদায় করলে কত পরিমান সওয়াব লাভ করা যায় এই সম্পর্কে ইশরাকের নামাজের ফজিলত দেখলে বুঝতে পারবেন।
প্রিয় বন্ধুরা সালাতুল ইশরাক সম্পর্কে হয়তো অনেকেরই অজানা আছে। তাইতো এই সালাতুল ইশরাক সম্পর্কে জানানোর জন্য আজকে আমাদের এই পোস্ট করা। আমরা আপনাদের জন্য এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করবো ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম, নিয়ত ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আশা করি এই নামাজ সম্পর্কে জেনে আপনাদের অনেক উপকার হবে। আর আমরা মুসলিম যারা আছি তারা এই সালাতুল ইশরাক আদায় করার চেষ্টা করবো।
ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম
ইশরাক নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত —
সালাতুল ইশরাক নফল নামাজ। এটি অন্যান্য নামাজের মতোই দুই রাকাআত করে আদায় করতে হয়। ইশরাকের নামাজের জন্য সুস্পষ্ট আলাদা কোনো নিয়ম ও নিয়ত নেই। শুধু ‘আল্লাহু আকবার’ বলে শুরু করা। আর দুই দুই রাকাআত করে ৪ রাকাআত নামাজ পড়া। নিদিষ্টভাবে বলা হয়নি আপনার ইচ্ছামতো দুই রাকাআত করে ৪,৮,১২ পড়তে পারেন।
ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ত
সালাতুল ইশরাক নামাজের জন্য সুস্পষ্ট কোন নিয়ত নেই।
ইশরাক নামাজের সময়—
সালাতুল ইশরাকের সময় ফজর নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সূর্য উঠার পর এ নামাজ আদায় করতে হয়। কেউ কেউ বলেছেন সূর্য উঠার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর; আবার কেউ কেউ বলেছেন ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর এ নামাজ পড়তে হয়। আর সূর্য এক বর্শা পরিমাণ (দেড় মিটারের মতো) মধ্যাকাশের দিকে উঠা পর্যন্ত এ নামাজের ওয়াক্ত থাকে।
ইশরাকের নামাজ পড়ার ফজিলত
ইশরাকের নামাজের ফজিলত—
এ নফল নামাজের ফজিলত বর্ণনায় একাধিক হাদিসে এসেছে
—হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজর নামাজ জামাআতে আদায় করার পর সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত ওখানে বসে বসেই আল্লাহর জিকির করে। তারপর দুই রাকাআত নামাজ আদায় করে। তার জন্য পূর্ণাঙ্গ হজ ও ওমরার সমান সাওয়াব রয়েছে।’ (তিরমিজি, মিশকাত)
—হজরত আবু উমামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এক নামাজের পর (ধারাবাহিক) আর এক নামাজ; যার মাঝখানে কোনো গোনাহ হয়নি, তা ইল্লিয়্যুন (উচ্চ মর্যাদায়) লেখা হয়।’ (আবু দাউদ)।
—রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জামাআতের সঙ্গে ফজরের নামাজ পড়ল। অতপর সূর্য উঠা পর্যন্ত সেখানে বসে আল্লাহর জিকির করল; অতপর দাঁড়িয়ে দুই রাকাআত নামাজ পড়ল; সে একটি হজ ও ওমরাহ করার সাওয়াব নিয়ে ফিরে গেল।’ (তাবারানি, আত-তারগিব)।
—অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘সূর্য উঠার আগে আল্লাহর জিকির, তাকবির, তাহমিদ ও তাহলিল পাঠ করা আমার কাছে ইসমাঈল বংশের দুইজন গোলাম আজাদ করার চেয়েও অধিক প্রিয়।’ (মুসনাদে আহামদ)।
Tag: ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম, নিয়ত ও ফজিলত