আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ বন্ধুরা আপনাদের সবাইকে Educationblog24.Com এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা অনেক ভালো আছেন।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ বন্ধুরা আমাদের আজকের এই পোস্ট দ্বারা আপনারা জানতে পারবেন হোমিওপ্যাথি ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আশা করি হোমিওপ্যাথি ঔষধের কার্যকারীতা ও হোমিওপ্যাথি ঔষধের অন্যান্য তথ্য জেনে আপনাদের উপকার আসবে।
আপনারা অনেকেই অনেক রকম ভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে খোঁজাখুজি করছেন হোমিওপ্যাথি ঔষধের কাজ, খাওয়ার নিয়ম, এবং এর পাশ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য জানতে চান।
তাই শুধুমাত্র আপনাদের সুবিধার জন্য আজকে আপনাদের মাঝে এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করবো হোমিওপ্যাথি কি কাজ করে, হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার নিয়ম, হোমিওপ্যাথি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। আশা করি আমাদের পোস্টে দেওয়া এই হোমিওপ্যাথি ওষধ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে আপনাদের অনেক উপকার হবে।
হোমিওপ্যাথি কি কাজ করে
এ্যালাপ্যাথিক চিকিৎসায় সাইড এ্যাফেক্টের কারণ নির্ণয়ের গবেষণার মাধ্যমে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সূত্র আবিষ্কার হয়। পেরুভিয়ান কফি বা সিঙ্কোনা গাছের বাকল নিয়ে গবেষণা করতে করতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা উদ্ভব হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে ১৭৯০ সালে মানবদেহে পরীক্ষামূলক পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়।
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ স্নায়ুর মাধ্যমে কাজ করে। ওষুধ যাতে বেশিসংখ্যক স্নায়ুকে স্পর্শ করে ভালোভাবে কাজ করতে পারে, এ জন্য ওষুধের একটা অনুবটিকাকে জলে দ্রবীভূত করে প্রয়োগ করতে হবে। জিহ্বা, মুখ ও পাকস্থলির স্নায়ুগুলো সহজেই ওষুধের ক্রিয়া গ্রহণ করতে পারে। নাকে ও শ্বাসযন্ত্র দিয়ে ঘ্রাণ এবং মুখ দিয়ে আঘ্রাণ নিলেই সংশ্লিষ্ট আবরণীর ওপরের স্নায়ুও এ কাজে সাহায্য করতে পারে, বিশেষত একই ওষুধ যদি মর্দনের সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণভাবেও প্রয়োগ করা হয়।
হোমিওপ্যাথির এক গবেষণায় ৪০ জন মাথা ঘোরা রোগীর ওপর গবেষক ক্লোজেন, বার্গম্যান ও বাটিলি এ রোগীদের লক্ষণানুসারে ককুলাস, কোনিয়াম ও পেট্টোশিয়াম ওষুধ দিয়ে পরীক্ষা করে সফল হন।
হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার সময় বেশ সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারণ একটু নিয়ম এদিক ওদিক হলেই তা কাজ করবে না। তাই জেনে বুঝে নিয়ম মেনে ওষুধ খাওয়া উচিত।
আসুন আমরা হোমিওপ্যাথি ঔষধ খাওয়ার নিয়ম জেনে আসি।
★হোমিওপ্যাথি ওষুধের শিশি মুখে করে কিংবা কাগজের মধ্যে নিয়ে খাওয়া উচিত। হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার আগে ভালো করে মুখ ধুয়ে ও কুলকুচি করে নেবেন।
★হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার ১০ মিনিট আগে কিংবা পরে কোন কিছুই মুখে দেবেন না, এতে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যায়।
★হোমিওপ্যাথি ওষুধ কখনো হাতের তালুর মধ্যে নেবেন না কারণ এই জাতীয় ওষুধের মধ্যে এক প্রকার স্পিরিট থাকে, যা সাথে সাথে উড়ে যায়।
★অ্যালোপ্যাথি কিংবা আয়ুর্বেদিক ওষুধ খাওয়ার সাথে কখনোই হোমিওপ্যাথি ওষুধ নেবেন না, এতে এর কার্যকরিতা সঠিকভাবে হয় না।
★এই জাতীয় ওষুধ খেলে কখনোই টক জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়, কারণ হোমিওপ্যাথিক ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট করে। এমনকি চা কফিও এড়িয়ে চলা ভালো।
হোমিওপ্যাথি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
হোমিওপ্যাথিতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলে কিছু হয় না। হোমিওপ্যাথিক ঔষধের রোগ কখনো নতুন করে তৈরি হয়না। বরং দেহে রোগ থাকলে সারে আর না হয় সারে না, কিন্তু নতুন রোগ সৃষ্টি হয়না। হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি এত সূক্ষ্ম মাত্রায় প্রয়োগ করা হয় যার মধ্যে মেটেরিয়াল কোয়ানটিটি প্রায় থাকেই না। নিম্ন শক্তির ওষুধে মেটেরিয়াল থাকে সামান্য। আর উচ্চ শক্তির ওষুধে মেটেরিয়াল তো দূরের কথা, অনু-পরমাণু বলেও কিছু থাকে না। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ডাইনামিক মোডে ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ যৌগের অনু-পরমাণু ভেঙে যে শক্তি সৃষ্টি হয়, সেই শক্তিকে রোগ সারাতে ব্যবহার করা হয়। তাই আপনার শরীরে নতুন রোগ সৃষ্ট করার কোনো ক্ষমতা হোমিওপ্যাথিক ওষুধের নেই।
Tag: হোমিওপ্যাথি কি কাজ করে, হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার নিয়ম, হোমিওপ্যাথি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)