৬ষ্ট/ষষ্ঠ শ্রেণির ১৪তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর/সমাধান হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা (এসাইনমেন্ট-৩)
পক্ষ ১ : বিদ্যা মানুষের অমূল্য ধন । বিদ্যা অর্জনের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে এবং প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারে । এক্ষেত্রে বিদ্যার জ্ঞান অনেক উপকারে আসে যা আমাদের জীবনবেন্দর ও সুশৃঙ্খল করে । প্রকৃতপক্ষে আমরা যে পূজার্চনা করি তাতে আমাদের হৃদয় শুদ্ধ হলেও আমাদের নিজের প্রচেষ্টা না থাকলে বিদ্যা অর্জন সম্ভব নয় । অর্থাৎ বিদ্যা অর্জনের জন্য পূজার চেয়ে বেশি প্রয়ােজন আত্ম প্রচেষ্টা ।
বিপক্ষ ১ : পূজা আমাদের মনকে শান্ত ও বিকশিত করে । নিজের এবং ঈশ্বরের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে জ্ঞানের গণ্ডিকে বাড়িয়ে তুলে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার মাধ্যমে । প্রকৃতপক্ষে পক্ষদল যা বলেছেন তার বিপরীতে বলতে হয় পূজা যেহেতু মনকে পরিশুদ্ধ করে তাই প্রচেষ্টার চাইতেও পূজা আমাদেরকে প্রচেষ্টার আগে যে সুন্দর পরিস্থিতি তৈরি করে সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ।
পক্ষ ২ : বর্তমান পরিস্থিতি দেখা যায় মানুষ অধিক ধর্মপ্রাণ কিংবা ধর্মের প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য বা কুসংস্কারচ্ছন্ন হয়ে বিদ্যা অর্জনের পথে বাধার সৃষ্টি করে বা নিজেই বিদ্যার্জন থেকে অনেক দূরে সরে যায় অর্থাৎ প্রকৃত জ্ঞান অর্জন তার পক্ষে সম্ভব হয় না এক্ষেত্রে ধর্মও তার একটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে যদি সে নিজ প্রচেষ্টায় বিদ্যা অর্জন করে ধর্মকে বুঝতে না চেষ্টা করে তাহলে সে প্রকৃত বিদ্যা অর্জন করতে সক্ষম হবে না | এক কথায় বলা যায় বিদ্যা অর্জনের জন্য পূজার চেয়ে বেশি প্রয়ােজন নিজের প্রচেষ্টা কারণ পূজায় কেবল ঈশ্বরকে ডাকা হয় মনের প্রশান্তির জন্য কিন্তু শুধুমাত্র প্রশান্তি দিয়ে বিদ্যা অর্জন হয় না বরং মন শান্ত হলে হয়তাে জ্ঞান অর্জন সহজ হয় কিন্তু জ্ঞান অর্জনের মূল কাজটি হচ্ছে প্রচেষ্টা ।
বিপক্ষ ২ : পক্ষ দল হয়তাে ভুলে গেছে মনের উপর সবকিছুই নির্ভরশীল । এককথায় বলা যায় মানুষের মন আছে বলেই সে জ্ঞান অর্জনের পথে এগিয়ে যায় । আর এই পথকে আরাে সুগমকরে ঈশ্বরের প্রতি আরাধনা পূজা - অর্চনা যা আমাদের মনকে স্নিগ্ধ ও তদন আহরণের উপযােগী করে । কারণ আমরা জানি জ্ঞান আহরণ বা যেকোনাে পাত্রে পানি ঢালার ক্ষেত্রে যদি পাত্রটি ছিদ্র যুক্ত হয় তাহলে তাতে পানি ধারণ করে রাখা যায় না ঠিক জ্ঞান আহরণ ক্ষেত্র মনকে ছিদ্র মুক্ত করতে হয় পূজা - অর্চনা এর মাধ্যমে । তাই আমি বলবাে বিদ্যা অর্জন নিজ প্রচেষ্টায় চাইতেও পূজার্চনা বেশ গুরুত্ব রয়েছে ।
পক্ষ ৩ : একথা অস্বীকার করিনা যা বিপক্ষ দল বলেছে যে পূজা অর্চনা মনকে স্নিগ্ধ শান্ত করে কিন্তু শুধুমাত্র শান্ত মন দিয়ে জ্ঞান আহরণ করা যাবে এটার কোন নিশ্চয়তা নেই । একজন প্রচেষ্টা হীন ব্যক্তি কখনাে কোনাে কিছুতেই সফল হয় না | অর্থাৎ বিদ্যা অর্জনের জন্য পূজার চেয়ে একজন মানুষের নিচ প্রচেষ্টা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ।
বিপক্ষ ৩ : পক্ষ দলের কথায় আমি একমত যে নিস প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এই বিষয়ে আমি সম্পূর্ণ একমত নয় কারণ যার ধর্ম জ্ঞান নেই সে নীতিহীন ব্যক্তিত্বে পরিণত হয় তার ধর্ম জ্ঞান পারে একমাত্র তাকে সামনে এগিয়ে নিতে সমাজকে সুশৃংখলভাবে পরিচালিত করতে এবং জের জীবনকে সুশৃংখল করতে কারণ অতীতে ধর্মগ্রন্থই তৈরি হয়েছে মানুষের জীবনকে সুন্দর ও সাফল্যমন্ডিত কর । জ্ঞান অর্জনের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সমাজকে দেশকে সুচিন্তিত করার জন্য তাই আমি বলবাে বিদ্যা অর্জনের জন্য পূজার গুরুত্ব ত্ব অনেকাংশেই বেশি যা আমরা প্রাচীন মনিঋষিদের গুরুশালাই দেখতে পায়।
২০২১ সালের ৬ষ্ট/ষষ্ঠ শ্রেণির (১৪তম) সপ্তাহের হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর
Tag: ৬ষ্ট/ষষ্ঠ শ্রেণির ১৪তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর/সমাধান হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা (এসাইনমেন্ট-৩), ২০২১ সালের ৬ষ্ট/ষষ্ঠ শ্রেণির (১৪তম) সপ্তাহের হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর
Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)