আরো দেখুন
- বাংলাদেশের ৬৪ জেলার রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২৪
- সেহরি ও ইফতারের দোয়া
- যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪
- ১ ভরি স্বর্ণের যাকাত কত টাকা ২০২৪
- ১ লাখ টাকার যাকাত কত টাকা ২০২৪
- ফিতরা কত টাকা ২০২৪
- জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার নিয়ম
- ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
- অনলাইনে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
- পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ
- পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
- পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
২০২১ সালের এসএসসি (ভোকেশনাল) উইভিং-১ (২য় পত্র) এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর (১ম সপ্তাহ)
কৃত্রিম আঁশের বৈশিষ্ট্য, ফিলামেন্ট তৈরির পদ্ধতি এবং গুণাবলি বর্ণনাকরণ
ওয়েট স্পিনিং ( Wet spinning ):
মানুষের তৈরি আঁশ অর্থাৎ কৃত্রিম আঁশ তৈরির ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে পদ্ধতি সাফল্যজনকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে , তাই ওয়েট স্পিনিং ( Wet spinning ) । এ পদ্ধতি সর্বপ্রথম রেয়ন ফাইবারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় । এ পদ্ধতি বর্তমানেও ব্যবহার হচ্ছে ।
প্রথমে কৃত্রিম ফাইবার তৈরির পলিমারকে গলিয়ে ঘন ভিসকোস আকারে নেওয়া হয় এবং পাম্পের সাহায্যে উচ্চ চাপে স্পিনারেটের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা হয় । স্পিনারেটের অসংখ্য ছিদ্রের মধ্য দিয়ে উক্ত পলিমারকে ফিলামেন্ট আকারে বের করার সাথে সাথে একটি কেমিক্যাল বাথে ফেলা হয় এবং ফিলামেন্টগুলাে উক্ত কেমিক্যাল বাথে কেমিক্যালের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে শক্ত হয়ে সুতার আকারে রূপ নেয় । কেমিক্যাল বাথকে কোগুলেটেড বাথও ( Coulugated bath ) বলা হয় । কোগুলেটিং বাথে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণ থাকে যার সংস্পর্শে নরম ফিলামেন্ট আসার সাথে সাথে শক্ত হয়ে যায় । পরবর্তীতে ধােয়া ও শুকানোর পর স্পুলে জড়ানাে হয় ।
ড্রাই স্পিনিং ( Dry spinning ):
এ পদ্ধতিতে প্রয়ােজনীয় তরল পলিমার / দ্রবণ স্পিনারেটের ছিদ্র দিয়ে অত্যধিক জোরে পাম্প করে বের করার পর ওয়েট স্পিনিং -এর মতাে কেমিক্যাল বাথের পরিবর্তে গরম এয়ার চেম্বারের মধ্য দিয়ে টানা হয় । ফলে স্পিনারেট থেকে বের হওয়া নরম ফিলামেন্টগুলাে গরম বাতাসের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে জলীয় বাষ্প বের করে দিয়ে শক্ত হয়ে যায় । পরে উক্ত ফিলামেন্টগুলাে টুইস্টিং ও ওয়াইন্ডিং করে সংগ্রহ করা হয় । স্ট্যাপল ফাইবারের ক্ষেত্রে প্রয়ােজনীয় দৈর্ঘ্য অনুযায়ী কেটে টুকরাে টুকরাে করে সংগ্রহ করা হয় ।
মেল্ট স্পিনিং ( Melt Spinning ):
সর্বশেষ ও তৃতীয় যে পদ্ধতিতে কৃত্রিম ফাইবার প্রস্তুত করা হয় তাই মেন্ট স্পিনিং । এ পদ্ধতিতে চিপস অথবা পলিমারকে গলিয়ে স্পিনারেটের ছিদ্র দিয়ে পাম্প করে বের করা হয় । এবং এয়ার চেম্বারের মধ্য দিয়ে ঠান্ডা জমাট বাঁধিয়ে শক্ত করে ফিলামেন্টগুলাে পূর্বের মতাে সংগ্রহ করা হয় । এ পদ্ধতি সরাসরি প্রক্রিয়া এবং সবচেয়ে কম খরচ । একে বাথ , কোনাে দ্রাবক বা ধােয়ার কোনাে প্রয়ােজন পড়ে না । উপরােক্ত স্পিনিং পদ্ধতি ছাড়াও আর কিছু স্পিনিং পদ্ধতি আধুনিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে । যেমন বাইকম্পােনেন্ট স্পিনিং , বাইকনস্টিটিয়েন্ট স্পিনিং , ফ্লিম স্পিনিং পদ্ধতি ইত্যাদি ।