৮ম শ্রেণির ৩য় সাপ্তাহের কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১-Class 8 3rd Week Agriculture Assignment Answer 2021


       
       
             

    ৮ম শ্রেণির ৩য় সাপ্তাহের কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১

     ১. ধান , পাট , গম , আখ , চাষযােগ্য কৈ মাছ , মিষ্টি জাতের আম , মাল্টা ইত্যাদি উদ্ভাবনে কাদের নিরলস পরিশ্রম ও গবেষণায় অবদান রয়েছে ? 

    ১ নং উত্তর 

    ধান , পাট , গম , আখ , চাষযােগ্য কৈ মাছ , মিষ্টি জাতের আম , মাল্টা ইত্যাদি উদ্ভাবনে কৃষিবিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রম ও গবেষণায় অবদান রয়েছে । তাছাড়া বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ৮৮ টি ইনব্রিড ও ৬ টি উচ্চফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে । পরমাণু শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৮ টি গুরুত্বপূর্ণ ফসলের মােট ১০৮ টি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে এবং দেশের কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে অবদান রেখে চলছেন ।

     কোন কোন প্রতিষ্ঠান গবেষণার মাধ্যমে এসব নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন ?

    ২ নং উত্তর

     আমাদের দেশের বিভিন্ন গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে এসব নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন । কৃষিতে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে গবেষণার জন্য উন্নত দেশের মতাে আমাদের দেশেও বিভিন্ন গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে । এসব ইনস্টিটিউট ও প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞানীরা কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযােগ্য অবদান রেখে চলেছেন । বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান যা ১০৩ টিরও বেশি ফসলের কৃষি বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে । প্রতিষ্ঠানটি গাজীপুরের জয়দেবপুরে অবস্থিত । বর্তমানে বাংলাদেশের চারটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি পূর্ণাঙ্গ ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে । প্রায় সকল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি বিজ্ঞান পড়ানাের পাশাপাশি শিক্ষকগণ গবেষণা করে থাকেন । তাদের গবেষণায় প্রাপ্ত উন্নত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি সম্পর্কে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা কৃষকদেরকে অবহিত করেন ।

    ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান ( BRRI ) থেকে ধানে কোন কোন জাত উদ্ভাবন করেছেন ?

    ৩ নং উত্তর 

    বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে প্রতিকূল ও অপ্রতিকূল পরিবেশ উপযােগী উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন । বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এই পর্যন্ত ১০৬ টি ( ৯৯ টি ইনব্রিড ও ৭ টি হাইব্রিড ) উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে । তম্মধ্যে 

    • বন্যার শেষে ধান চাষের জন্য বিলম্ব জাত হিসেবে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ‘ কিরণ ও ‘ দিশারি ’ নামের দুইটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে । । 
    • সম্প্রতি বন্যাকবলিত এলাকার জন্য ব্রি ধান -৫১ ও ব্রি ধান -৫২ নামে আরাে দুইটি জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে । এই দুই জাতের ধান পানির নিচে ১০-১৫ দিন টিকে থাকতে পারে । 
    • বন্যা যেমন কৃষকদের একটি বড় সমস্যা তেমনি খরা ও লবণাক্ততা আরাে বড় সমস্যা । এজন্য বিজ্ঞানীরা ব্রি ধান -৫৬ , ব্রি ধান -৫৭ নামের খরা সহনশীল ধান উদ্ভাবন করেছেন । উপকূল অঞ্চলের লবণাক্ততার সমস্যা দূর করার জন্য ব্রি ধান -৫৪ ও ব্রি ধান -৪৭ উদ্ভাবন হয়েছে ।

    ৪. কৃষিবিজ্ঞানীরা ধানছাড়াও অন্যান্য কি কি জাত উদ্ভাবন করেছেন- যা কৃষকেরা  মাঠে চাষাবাদ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে  যাচ্ছেন ?

    নং উত্তর 

    কৃষিবিজ্ঞানীরা ধানছাড়াও অন্যান্য যে যে জাত উদ্ভাবন করেছেন- যা কৃষকেরা মাঠে চাষাবাদ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা নিচে বর্ণনা করা হল । ফুলের পরাগায়নের সময় পিতৃগাছের গুণাগুণ যুক্ত হওয়ার সুযােগ থাকে কিন্তু অঙ্গজ প্রজননে সে আশঙ্কা থাকে না । ফসলের বীজ ও নতুন নতুন জাত উন্নয়ন , বীজ সংরক্ষণ , রােগ - বালাইয়ের কারণ সনাক্তকরণ , ফসলের পুষ্টিমান বাড়ানাে- এ সকল কাজই কৃষিবিজ্ঞানীরা করে থাকেন । বিজ্ঞানীদের পরামর্শে কৃষকেরা কলা , আম , লিচু , কমলা , গােলাপ ইত্যাদির উৎপাদনে অঙ্গজ প্রজনন ব্যবহার করে থাকেন । কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলাে কৃষকরা গ্রহণ করেছেন বলেই উচ্চ ফলনশীল ধান , গম , ভুট্টা , যব এইসব শস্যের উৎপাদনশীলতা আগের তুলনায় অনেক গুন বেড়ে গিয়েছে ।   কৃষি বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের ফুল , ফল , শাকসবজি ও বৃক্ষ বিদেশ থেকে এনে এদেশের কৃষিতে সংযােজন করেছেন । এগুলাের সাথে সংকরায়ন করে দেশীয় পরিবেশ সহনীয় নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন , যেগুলাে এ দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ।

     ৫. এ সমস্ত কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে মানুষের কোন ধরণের কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে ? 

    কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয় । কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি । জীবন জীবিকার পাশাপাশি আমাদের সার্বিক উন্নয়নে কৃষি ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে আছে । তাই কৃষির উন্নয়ন মানে দেশের সার্বিক উন্নয়ন । বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ । এদেশে শতকরা ৭৫ ভাগ লােক গ্রামে বাস করে । বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় ৫৯.৮৪ % লােকের এবং শহর এলাকায় ১০.৮১ % লােকের কৃষিখামার রয়েছে । মােট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ১৯.১ % এবং কৃষিখাতের মাধ্যমে ৪৮.১ % মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে । ধান , পাট , তুলা , আখ , ফুল ও রেশমগুটির চাষসহ বাগান সম্প্রসারণ , মাছ চাষ , সবজি চাষাবাদ ও পােস্ট্রি , ডেইরী ও মৎস্য খামার করে মানুষ দিনকে দিনকে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে । দেশে পােল্টি একটি শিল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং বাজারে মাছের একটা বড় অংশ এখন আসছে চাষকৃত মাছ থেকে । দেশ আজ চালে উদ্বৃত্ত ; ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চত । নিবিড় চাষের মাধ্যমে বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে । আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত এবং বিশ্বে সপ্তম । দেশে ফল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে । আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম এবং পেয়ারায় অষ্টম । কৃষি উৎপাদনের এই অগ্রগতি গ্রামীণ মানুষের জীবনধারায় পরিবর্তন এনেছে । উৎপাদনে বৈচিত্র্য বেড়েছে , সেই সাথে প্রতিযােগীতা বেড়েছে । একই সাথে বেড়েছে পুঁজির ব্যবহার । মাছ , মুরগি ও ডিম উৎপাদন প্রায় শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । তাই বলা যায় , এ সমস্ত কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে বেকার মানুষের কৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে ।

    Tag:৮ম শ্রেণির ৩য় সাপ্তাহের কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১,Class 8 3rd Week Agriculture Assignment Answer 2021

                                   
    Previous Post Next Post


    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com



    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com

    (সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Telegram পেজ)