আলিম পরীক্ষার জন্য সাজেশন পড়ার কিছু সুবিধা রয়েছে, যেমন:
- পরীক্ষার প্রস্তুতি: গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো দ্রুত ও সহজভাবে রিভাইস করা যায়।
- সময় সাশ্রয়: পুরো সিলেবাসের পরিবর্তে নির্বাচিত কিছু টপিক পড়লে সময় কম লাগে।
- মতিভ্রষ্টতা এড়ানো: প্রাথমিক ও অপ্রয়োজনীয় টপিক এড়িয়ে মূল টপিকগুলোতে মনোনিবেশ করা সহজ হয়।
- বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া গেছে এমন অনুভূতি আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
তবে, শুধুমাত্র সাজেশন পড়া নির্ভরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান অর্জনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই, পুরো সিলেবাস থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
আলিম কুরআন মাজিদ সাজেশন ২০২৫
(ক) মূল প্রশ্ন (১৫×৬=৯০) – যেকোনো ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে
(খ) শানে নুযুল (১০x১ = ১০) – যেকোনো ১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে
(ক) মূল প্রশ্ন – সিলেবাস সাজানো (১৫×৬ = ৯০)
মোট ৮টি প্রশ্ন থাকবে, যেকোনো ৬টির উত্তর দিতে হবে।
🔶 গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা:
-
অধিক গুরুত্বপূর্ণ আয়াতগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে (
*চিহ্নে)। -
অনুবাদ লেখার সময় প্রশ্ন অনুযায়ী উত্তর দিন।
-
শুরুতে সময় বন্টন ঠিক করুন।
-
সুন্দর ও পরিষ্কার লেখা সর্বোচ্চ নম্বর পেতে সহায়ক।
১. সূরা আন-নিসা
-
আয়াত:
-
(৩-৪)
-
১১
-
(৩৪-৩৫)*
-
(৭৫-৭৬)*
-
(৭৭-৮০)
-
(১০৫-১০৯)
-
(১৫৩-১৫৪)
-
২. সূরা আল-মায়েদা
-
আয়াত:
-
(১-২)*
-
৩
-
৬*
-
(৮-১১)
-
৫১-৫৩
-
(৯০-৯২)*
-
(১১১-১১৫)*
-
৩. সূরা আল-আন’আম
-
আয়াত:
-
(১-৫)*
-
১১-১৪
-
(৫১-৫৩)*
-
৭৪-৭৯
-
৪. সূরা আল-আ’রাফ
-
আয়াত:
-
(১৯-২২)
-
২৬-২৮
-
(৫৪-৫৬)*
-
(১৮৭-১৮৮)
-
৫. সূরা আল-আনফাল
-
আয়াত:
-
(২৫-২৭)
-
(৪১-৪২)*
-
(৬৭-৬৯)*
-
৬. সূরা আত-তাওবা
-
আয়াত:
-
১-৪*
-
(২৫-২৭)*
-
৮১-৮৩
-
(১১৭-১১৮)*
-
(খ) শানে নুযুল (১০x১ = ১০)
২টি প্রশ্ন থাকবে, যেকোনো ১টির উত্তর দিতে হবে।
শানে নুযুল লেখার নিয়ম:
-
সংশ্লিষ্ট আয়াত উল্লেখ
-
নাজিলের কারণ
-
সুরার রুকু, নামকরণ, বৈশিষ্ট্য
-
সংশ্লিষ্ট ঘটনা থাকলে তা পয়েন্ট আকারে উল্লেখ
১. সূরা আন-নিসা – ১০০০% আসবে (অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ)
২. সূরা আ’রাফ
পরীক্ষার নির্দেশনা ও টিপস:
✅ সময়ের বণ্টন: প্রশ্ন নির্বাচন ও লেখার সময় আগে থেকেই ভাগ করে নিন।
✅ শুরুর সময় অনুবাদে ‘উপসংহার’ বা ‘সমাপনী’ না লিখলেও চলে।
✅ দ্রুত লেখার দক্ষতা থাকলে ভালো, তবে বেশি পৃষ্ঠা মানেই বেশি নম্বর নয়।
✅ তাহকিক বিষয়ে আয়ত্ত করুন: ছিগাহ, বহচ, বাব, মাজি, মাদ্দাহ, জিন্স, অর্থ ইত্যাদি।
✅ ‘খ’ অংশে সুরার শানে নুযুল লিখতে হবে এই কাঠামোয়:
-
আয়াত
-
রুকু
-
নামকরণ
-
বৈশিষ্ট্য
-
নাজিলের কারণ
-
ঘটনা (থাকলে)
কুরআন মাজিদ লেখার নিয়ম
একটি সুন্দর ও গোছালো হাতের লেখা সর্বাধিক নাম্বার পেতে সহয়তা করে। কুরআন লেখার শুরুতে সময় বন্টনটা আগে থেকেই ঠিক করে নিবেন। মনে রাখবেন একাধিক পৃষ্ঠা লিখলেই বেশি নাম্বার পাওয়া যায় না। কুরআনের অনুবাদ লেখার শুরুতে সমাপনী ও উপসংহার লিখে সময় নষ্ট করার প্রয়েজন নেই। যদি আপনি মনে করেন, আপনার লেখা দ্রুত তাহলে লিখতে পারেন, তবে এটির জন্য নাম্বার বেশি দিবে এমনটা না। প্রশ্ন লেখার শুরুতে প্রশ্নে কি চায় তা দিয়ে শুরু করবেন। শানে নুযুল হলে ওই আয়াতের আলোকে শানে নুযুল লেখবেন এবং শানেনূযুল লেখার সময় ওই আয়াত, কেনো নাজিল করা হয়েছে কারণ উল্লেখ করবেন। তাহকিক লেখতে যে নিয়মগুলা জানা দরকার তা আগে থেকেই আয়ত্ত করে নিবেন। যেমন: ছিগাহ, বহচ, বাব, মাজি, মাদ্দাহ, জিন্স, অর্থ। “খ” অংশে একটি সুরার শানে নুযুল লিখতে বলা হয়, এটি লেখতে অবশ্যই, এর নাজিলের কারণ, আয়াত, রুকু, নামকরণ, বৈশিষ্ট্য, কোনো ঘটনা থাকলে তা উল্লেখ করে পয়েন্ট আকারে লিখবেন।
© Collected
Tag:আলিম কুরআন মাজিদ সাজেশন ২০২৫ (💯কমন), Alim Quran Majid Suggesting 2025 PDF
Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)