আসছালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্ধ সবাই কেমন আছেন?আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। বন্ধুরা আজকে আমরা তোমাদের স্ত্রী সহবাসের নিয়ম -সহবাসের আগে ও পরে করণীয় - সহ*বাসের উত্তম সময় বিস্তারিত আলোচনা করবো।
বন্ধুরা প্রতিটি কাজের একটা নিয়ম ও সময় রয়েছে। সেই রকম সহ*বাসের নিয়ম, সহ*বাসের আগে ও পরে করনীয়, সহবাসের উত্তর সময় ও রয়েছে। যা আমাদের পুরুষ ও মহিলা সবার জানা প্রয়োজন।
স্ত্রী স*হবাসের নিয়ম
বন্ধুরা স্ত্রী সহ*বাসের অনেক নিয়ম রয়েছে আমরা শুধুমাত্র ইসলামে যে নিয়ম রয়েছে সেটি তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
- নিয়ত করা
- সহ*বাসের সময় আদর সোহাগ করা
- সহবাসের শুরুতে দোয়া করা
- ইসলামে সহ*বাসের পজিশন
- যেভাবে সহবাস করা হারাম
- সহ*বাসের নিষিদ্ধ সময়
نِسَآؤُکُمۡ حَرۡثٌ لَّکُمۡ ۪ فَاۡتُوۡا حَرۡثَکُمۡ اَنّٰی شِئۡتُمۡ ۫ وَ قَدِّمُوۡا لِاَنۡفُسِکُمۡ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّکُمۡ مُّلٰقُوۡہُ ؕ وَ بَشِّرِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ
অর্থ- তোমাদের স্ত্রী তোমাদের ফসলক্ষেত্র। সুতরাং তোমরা তোমাদের ফসলক্ষেত্রে গমন কর, যেভাবে চাও। আর তোমরা নিজদের কল্যাণে উত্তম কাজ সামনে পাঠাও। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় তোমরা তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করবে । আর মুমিনদেরকে সুসংবাদ দাও।(সূরা বাক্বারা-২২৩)
সহবাসের পদ্ধতি সম্পর্কে সরাসরি কোন বিধি নিষেধ নেই। দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে, কাত হয়ে, সামনে থেকে, পিছন থেকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে সহবাস করা যাবে। তবে শর্ত হচ্ছে তা যৌ*নিপথে করতে হবে।
কিছু বর্ণনায় স্বামী উপরে আর স্ত্রীকে নিচে থাকার কথা বলা হয়েছে। ইহা সুবিধাজনক ও প্রশান্তিদায়ক এবং উত্তম। তবে বাধ্যতামূলক নয়। আর স্ত্রী যদি উপরে থাকে আর স্বামী যদি নিচে থাকে এতে গুনাহের কিছু নেই। কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে এই পজিশনে বী*র্যপাত হলে বী*র্য আটকে কষ্টের কারণ হতে পারে।
- রোজা রাখা অবস্তায়
- স্ত্রী মাসিকের সময়
- ইত্তেকাফের সময়,
- হজ্জের ইহরাম বাঁধা অবস্থায়,
- স্ত্রীর গর্ভপাতের ৪০ দিন সময় পর্যন্ত
সহ*বাসের আগে ও পরে করণীয়
স্ত্রীর মিল*নের আগে স্বামীর কর্তব্য
স্ত্রীর মিল*নের আগে স্বামীর কিছু কর্তব্য থাকে যা আপনার সহবাসকে আরো তৃপ্তি দিতে পারে। সেরকমই বিষয় তুলে ধরা হলো-
১। পতির কর্তব্য হলো, পত্নীকে প্রিয়তমা জ্ঞানে বা সত্যিকারের ধর্মপত্নী জ্ঞানে নিজের তৃপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তারও দৈহিক ও মানসিক তৃপ্তি বিধান করা। নিজের কামনা পরিতৃপ্ত করাই সম্ভোগের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।
২। কোন প্রকার বল প্রয়োগ করা আদৌ বাঞ্ছনীয় নয়। একথা মনে রাখতে হবে।
৩। চুম্বন, আলিঙ্গন, নিপীড়ন ইত্যাদি নানাভাবে স্ত্রীর মনে পূর্ণ কামাব জাগিয়ে তারপর তার সঙ্গে স*হবাসে রত হওয়া প্রতিটি পুরুষের কর্তব্য।
৪। নারী ধীরে ধীরে আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত তার সঙ্গে কখনও সহবাসে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়।
৫। নারী কখনও নিজের যৌ*ন উত্তেজনাকে মুখে প্রকাশ করে না। তবে সেটা অনেকটা লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে হয়।
৬। নারীর কর্তৃব্য সর্বদা পতির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার ভাব ফুটিয়ে তোলা।
৭। পতিকে ঘৃণা করা, তাকে নানা কু-কথা ইত্যাদি বলা কখনই উচিত নয়। সহ*বাসের অনিচ্ছা থাকলে তা তাকে বুঝিয়ে বলা উচিত। ঘৃণা বা বিরক্তিসূচক তিরস্কার করা কখনও উচিত নয়। এতে পতির মনে দুঃখ ও বিরক্তি জাগতে পারে।
৮। নারীর কর্তৃব্য স্বামীর চুম্বন, দংশন ও আলিঙ্গনের প্রতিউত্তর দেওয়া।
৯। নারীর পূর্ণ কামভাব জাগলে পতিকে কৌশলে তা বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।
১০। নারীর উত্তে*জনা ধীরে ধীরে আসে-আবার তা ধীরে ধীরে তৃপ্ত হয়। পুরুষের উত্তেজনা আসে অকস্মাৎ আবার তা অকস্মাৎ শেষ হয়। তাই নারীর পূর্ণ কামভাব না জাগিয়ে সঙ্গমে মিলিত হলে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পেতে পারে না। এরকম করা রিধিবিরুদ্ধৃ। এতে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পায় না- এর জন্যে সে পর-পুরুষ পর্যন্ত গমন করতে পারে। দাম্পত্য জীবনে অনেক বিপর্যয় এর জন্যে আসতে পারে।
সহ*বাসের পরে যা করনীয়
সহ*বাসের উত্তম সময়
স্ত্রী সহ*বাসের উপযুক্ত সময়
স্ত্রী সহ*বাসের উপযুক্ত সময় শেষ রাত্রি । যেহেতু শেষ রাত্রে ভুক্ত খাদ্য ভাল রূপ হজম হওয়া পর শরীর যখন ঠিক হয়, তখন যদি অন্তঃকরণের সরলতা ও পবিত্রতা রক্ষা করিয়া একাগ্র মনে স্বামী -স্ত্রী মিলন হয়, তাহা হইলেই অধিকতর তৃপ্তি লাভ করিতে পারে।
সেই রাত্রের সহ*বাসে স্বাস্হ্যবান সন্তানের জম্ম হয়। প্রমান পাওয়া যায়, শেষ রাত্রের সহ*বাসের সন্তান ধার্মিক, সাধু ও আওলিয়া- দরবেশ হইয়াছে।
স্বামী-স্ত্রীর জন্য কখন, কোন সময়ে সহ*বাস করা উচিত সে বিষয়ে জানা থাকা দরকার। অবশ্য যৌ*নবিদদের কথায় অনেকেরই অমিল পাওয়া যায়।
কেউ বলেন রাতের শেষ ভাগে সহ*বাস আনন্দদায়ক। আবার কেউ বলেন, রাতের প্রথম ভাগে সহ*বাস করা তৃপ্তিদায়ক।
তবে এই কথা সকলের মনে রাখা উচিত যে, ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস করা ঠিক নয়। তাতে রোগ-ব্যাধির সম্ভাবনা থাকে।
খাওয়ার পরে অন্তর দুই ঘন্টার ভিতরে সহবাস করা ঠিক হবে না। স্ত্রীলোকের ঋতুস্রাব হতে পাক পবিত্র হওয়ার পরে ১৪/১৫ দিন পর্যন্ত সহ*বাসের প্রবল বাসনা থাকে। ঐ সময়ের সহবাসে গর্ভ সঞ্চার হয়ে থাকে।
বেশীরভাগ লোকের ধারণা, শেষ রাতে নারীদের কাম-বাসনা প্রবল থাকে এবং ঐ সময়ের সহ*বাসে স্বামী-স্ত্রী বেশী আনন্দ ও তৃপ্তি পেয়ে থাকে। দিনের বেলা সহ*বাস না করে রাতে সহ*বাস করা উচিত। যেহেতু রাতের অন্ধকারে মনের মতো সাধ মিটাতে পারা যায় এবং ঐ সময়ের সহ*বাসে প্রায়ই ছেলে সন্তান জম্মে থাকে।
স্ত্রীর স্তন মুখে নেওয়া যাবে কি?
উত্তরঃ-জায়েয, তবে স্ত্রীর স্তনে যদি দুধ থাকে তাহলে স্বামীকে সর্তক থাকতে হবে, যেন দুধ মুখে না আসে।
যদি দুধ মুখে আসার আশঙ্কা থাকে সে ক্ষেত্রে চোষন থেকে বিরত থাকা উচিত।
(মাহমূদিয়া কাদিম ১২/৩১০, শামী ১/৩১)
টাগঃস্ত্রী সহ*বাসের নিয়ম, সহ*বাসের আগে ও পরে করণীয়,সহ*বাসের উত্তম সময়
Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)