আসছালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক /পাঠিকা আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজকে আমরা ভিন্ন রকম একটা আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমরা তোমাদের নারীর সৌন্দর্য নিয়ে প্রশংসা,উক্তি নারীর সৌন্দর্য নিয়ে কবিতা - নারীর রূপের বর্ণনা এইসব নিয়ে এই পোস্টে আলোচনা করবো। আসা করি যারা নারীর সৌন্দর্য নিয়ে প্রশংসা, উক্তি,কবিতা এই বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ করে থাকেন তাহলে সঠিক জায়াগায় এসেছে।
সৌন্দর্য নিয়ে প্রশংসা করা কার না ভালো লাগে, সবারি নিজের প্রশংসা শুনতে ভালো লাগে আর যদি সেটা নারীদের নিয়ে হয় তাহলে তো আর বলার কিছু নেই প্রতিটি নারী নিজের প্রশংসা শুনতে ভালো বাসে। যারা নারীদের প্রশংসা করে তাদেরকে প্রতিটি মেয়েই প্রছন্দ করে। তাই সব সময় নারীদের প্রশংসা করবেন। নারীদের প্রশংসা অনেক ভাবে করা যায় আজকে আমরা নারীর সৌন্দর্য নিয়ে প্রশংসা, উক্তি,কবিতা কিছু শেয়ার করবো আসা করি তোমাদের ভালো লাগবে।
নারীর সৌন্দর্য নিয়ে প্রশংসা
নারী তুমিহীনা,
জগৎ সংসারে নর যে বড় অসহায়
জন্মের লগ্নে থেকে বেঁচে আছি তোমারী করূনায়
“জননী হইয়া গড়েছো জীবন, রমনী হইয়া সাঁজাও
দৃষ্টি চরাচরে, হৃদয় অগোচরে, জানিনা তুমি যে কি চাও”।
নারী তোমার
আকুল মায়া লুকিয়ে আছে মোর হৃদয় তলে
নারী তোমার মধু প্রেমেতে আমার রক্ত জ্বলে,
জানিনা, কিসের দহনে, কিসের বিরহে জ্বলে পুড়ে হই ছাই
স্বপ্নের রঙ্গে সাঁজিয়েছি বাসর, তুমি যে হেথায় নাই।
আমার ভবিষ্যত তুমি
যার স্বপ্নের সৌন্দর্যে আমি বিশ্বাসী।
কোনো দু’জন রুপবতী মেয়ের ভেতর তুলনা চলে না। একেক জনের সৌন্দর্য একেক রকম। কেউ নদীর মতো, কেউ অরন্যের মতো, আবার কেউ আকাশের মতো।
সবকিছু ভুলে যাই, কিন্তু তোমার ঠোঁটের ঐ হাসি কখনই ভুলে যেওযার না।
সত্যিকারের সৌন্দর্য মনের চোখ দিয়েই দেখা যায় । – জওবার্ট
চোখ দুটো টানা টানা ঠোঁট দুটো লাল,
লজ্জায় রাঙ্গা হয়ে থাকে তার গাল.
কখনো সাজে না, কাজলও পরে না,
তবু রূপেরই বাহার।
নারী তুমি
আমার হৃদপিন্ডের একটি মহাখন্ড
তুমিহীনা এই জীবন যেন মহাপ্রলয়ের লন্ড-ভন্ড
তুমি লজ্জাবতীর লাজ, ফুলশয্যার সাজ, তুমি ধ্রুবতারার আলো
কোটি নক্ষত্রের মাঝে তুমিই শুধু আমার হৃদয়ে সুখের প্রদীপ জ্বালো।
নারীর সৌন্দর্য নিয়ে কবিতা
১ নাম্ভার
♥তুমি পরম যতনে,
রাখলে গোলাপি জবা ঐ কানে,
অত্যন্ত অবাক হয়ে,
আমি দেখি চেয়ে!
ফেরাতে পারি না নয়ন আমার,
দেখে ঐ সৌন্দর্য তোমার,
ক্ষমা করো আমায় ওগো সুন্দরী,
একদৃষ্টে চেয়ে তোমায় যদি দোষ করি!
বললে হবে না একটুও ভুল,
এক ফুলে পায় শোভা আরেক ফুল!
২ নাম্ভার
♥সৌন্দর্যের পরিপূর্ণ সম্ভার বললেও হবে না ভুল,
যেমন সুন্দর তোমার মাথার ঘন কালো চুল,
তেমনই তোমার টিয়া পাখীর মত লাল ঠোঁট অনন্য,
একেবারে পাগল আমি তোমাকে পাবার জন্য!
অপ্সরার রানি রম্ভার মত গায়ের রং তোমার,
তুলার মত নরম কোমল ত্বকে থাকবে স্পর্শ আমার,
এমনই সাধ জাগে মনের মাঝে,
সকাল দুপুর কিংবা সাঁঝে!
বিধাতার বিশেষ সৃষ্টি তুমি,
তোমার মন জয় করে ছাড়বই আমি!
৩ নাম্ভার
♥সুন্দর তোমার হাসি,
সুন্দর তোমার কাছেই ছুটে আসি,
নাছোড়বান্দা শিশুর মত,
যখন তখন, অবিরত!
মায়াবী তোমার চাহনি,
মায়াবী তোমার মন জানি,
তাইতো মনের অজান্তেই পড়েছি প্রেমে,
দুরন্ত মন আর না থামে!
অবাক করে তোমার মাধুর্য,
অবাক করে তোমার সৌন্দর্য,
পৃথিবীতে এমন সুন্দর কেউ থাকতে পারে,
ভাবি অবাক হয়ে বারে বারে!
তোমার স্থান কি স্বর্গে নয়?
স্বর্গের পরীরাই তো এমন সুন্দর হয়!
ছড়াও আলো আচার আচরণে,
অমায়িক ব্যবহারে সবখানে।
যাই যেথা আমি যখনি,
তোমার প্রশংসাই শুনি,
একটা কথা রাখো জেনে,
বেঁচে থাকা অসম্ভব তুমি বিহনে।
৪ নাম্ভার
♥সৌন্দর্যের প্রতিমা তুমি,
দেখি যত মুগ্ধ হই তত আমি,
কি অপূর্ব তোমার চুল,
যেন রাতের ঝরনা, হয় চোখের ভুল।
সোনালী আভার মায়া সর্বাঙ্গে,
যেন হয়েছে রাঙ্গানো গোধূলি রঙে,
অপরূপ চোখের চাহনিতে,
হই ঘায়েল আমি মুহূর্তে!
আমারও পরাণ যাহা চায়, তুমি তাই,
আমারও পরাণ যাহা চায়, তুমি তাই।
৫ নাম্ভার
♥একখানি সাদাসিধা মুখ, সাদাসিধা দুটি চোখ, এবং সাদাসিধা একটি শাড়ি। কিন্তু, সমস্তটি লইয়া কী যে মহিমা সে আমি বলিতে পারি না। যেমন-তেমন একখানি চৌকিতে বসিয়া, পিছনে একখানা ডোরা-দাগ-কাটা শতরঞ্চ ঝোলানো, পাশে একটা টিপাইয়ের উপরে ফলদানিতে ফলের তোড়া। আর, গালিচার উপরে শাড়ির বাঁকা পাড়টির নীচে দুখানি খালি পা। পটের ছবিটির উপর আমার মনের সোনার কাঠি লাগিতেই সে আমার জীবনের মধ্যে জাগিয়া উঠিল। সেই কালো দুটি চোখ আমার সমস্ত ভাবনার মাঝখানে কেমন করিয়া চাহিয়া রহিল। আর, সেই বাঁকা পাড়ের নিচেকার দুখানি খালি পা আমার হৃদয়কে আপন পদ্মাসন করিয়া লইল।
৬ নাম্ভার
💛মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী,
দেব খোঁপায় তারার ফুল ।
কর্ণে দোলাব তৃতীয়া তিথির,
চৈতী চাঁদের দুল ।
কন্ঠে তোমার পরাবো বালিকা,
হংস-সারির দুলানো মালিকা ।
বিজলী জরীণ ফিতায় বাঁধিব,
মেঘ রং এলো চুল ।
মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী,
দেব খোঁপায় তারার ফুল ।
জ্যোছনার সাথে চন্দন দিয়ে
মাখাব তোমার গায়,
রামধনু হতে লাল রং ছানি,
আলতা পরাব পায় ।
আমার গানের সাত-সুর দিয়া,
তোমার বাসর রচিব প্রিয়া ।
তোমারে ঘেরিয়া গাহিবে আমার,
কবিতার বুলবুল ।।
দেব খোঁপায় তারার ফুল ।
মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী,
দেব খোঁপায় তারার ফুল ।
৭ নাম্ভার
♥সেইখানে এক চাষীর মেয়ে নামটি তাহার সোনা,
সাজু বলেই ডাকে সবে, নাম নিতে যে গোনা।
লাল মোরগের পাখার মত ওড়ে তাহার শাড়ী,
ভোরের হাওয়া যায় যেন গো প্রভাতী মেঘ নাড়ি।
মুখখানি তার ঢলঢল ঢলেই যেত পড়ে,
রাঙা ঠোঁটের লাল বাঁধনে না রাখলে তায় ধরে।
ফুল-ঝর-ঝর জন্তি গাছে জড়িয়ে কেবা শাড়ী,
আদর করে রেখেছে আজ চাষীদের ওই বাড়ি।
যে ফুল ফোটে সোণের খেতে, ফোটে কদম গাছে,
সকল ফুলের ঝলমল গা-ভরি তার নাচে।
কচি কচি হাত পা সাজুর, সোনায় সোনার খেলা,
তুলসী-তলায় প্রদীপ যেন জ্বলছে সাঁঝের বেলা।
গাঁদাফুলের রঙ দেখেছি, আর যে চাঁপার কলি,
চাষী মেয়ের রূপ দেখে আজ তাই কেমনে বলি ?
রামধনুকে না দেখিলে কি-ই বা ছিল ক্ষোভ,
পাটের বনের বউ টুবাণী, নাইক দেখার লোভ।
দেখেছি এই চাষী মেয়ের সহজ গেঁয়ো রূপ,
তুলসী-ফুলের মঞ্জরী কি দেব-দেউলের ধূপ!
দু একখানা গয়না গায়ে, সোনার দেবালয়ে,
জ্বলছে সোনার পঞ্চ প্রদীপ কার বা পূজা বয়ে!
পড়শীরা কয়—মেয়ে ত নয়, হলদে পাখির ছা,
ডানা পেলেই পালিয়ে যেত ছেড়ে তাদের গাঁ।
৮ নাম্ভার
💛হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।
সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রং নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে— সব নদী— ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।
৯ নাম্ভার
♥নীলাম্বরী শাড়ি পরি নীল যমুনায়
কে যায় কে যায় কে যায়
যেন জলে চলে থল - কমলিনী
ভ্রমর নূপুর হয়ে বলে পায় পায়।
কলসে কঙ্কনে রিনিঝিনি ঝনকে
চমকায় উন্মন চম্পা বনকে
দলিত অঞ্জন নয়নে ঝলকে
পলকে খঞ্জন হরিণী লুকায়।
অঙ্গের ছন্দে পলাশ মাধবী অশোক ফোটে
নূপুর শুনি বনতুলসীর মঞ্জরী উলসিয়া ওঠে।
মেঘ বিজড়িত রাঙা গোধূলি
নামিয়া এল বুঝি পথ ভুলি
তাহারি অঙ্গ তরঙ্গ বিভঙ্গে
কুলে কুলে নদীজল উথলায়।।"
(কবি : কাজী নজরুল ইসলাম)
১০ নাম্ভার
শুধু তোমায় দেখে দেখে,
পারব কাটাতে আমি সকাল থেকে,
সন্ধ্যা, সত্যি বলছি; কি, বিশ্বাস হয় না?
তুমি যে মোর প্রাণ ময়না।
এত সুন্দর কেন তুমি? বল তো?
জানি অদ্ভুত ঠেকে আমার শিশুসুলভ প্রশ্ন যত,
আমার চোখ যে ঘুরে ফিরে,
যায় তোমার পাণে বারেবারে।
আমার প্রেমের ছোঁয়ায় সৌন্দর্য তোমার গেছে বেড়ে যেন,
তবে কেন নিজেকে এত গুটিয়ে রাখা? কেন এত লজ্জা? কেন?
১১ নাম্ভার
কি সুন্দর তুমি! যেন এক স্নিগ্ধ সকাল,
শুভ্র মেঘের মত দু গাল,
লাল ঠোঁট দুটো গোলাপের দুই পাপড়ির বিছানা,
চুলে বহমান সদা আঁধার কালো ঝরনা।
শাড়িতে ঢাকা তোমার রহস্যময় বুক,
মাখনরঙা পেট মাঝে মাঝে দেখায় ঝলক,
যেন মেঘে ঢাকা সূর্য মেঘের ফাঁকে ছড়ায় আলো,
অক্ষি কোটরে তোমার আছে দুই হীরা বসানো কালো।
ঢেউ খেলানো শরীর যেন এক বেয়ে ওঠা কচি লতা,
উত্তর দক্ষিণ এবং পূর্ব ও পশ্চিমে চলে তোমার নিতম্বের কথকতা।
নারীর রূপের বর্ণনা
পদ্মকলি রজনী-গন্ধা নাকি ফুটন্ত গোলাপ
তুমি শুধু প্ররাণের পিপাসা মিটানো প্রেমের মিষ্টি আলাপ
বকুলের মালা বেলীর সৌরভ কৃষ্ণ চূড়ার লাল
সূর্যমুখীর চেয়ে থাকা, শিল্পীর ছবি আঁকা, স্বপ্নের মহাকাল।
নারী তুমি
আমোদ আসরে, মিলন বাসরে, পূজারীর প্রতিমা
দিবা-নিশি ঘিরে হৃদয় মন্দিরে, নিত্য নব শান্তির পরিসীমা
কালের গর্ভে থেমে থাকা জীবনে তোল সুরের ঝংকার
হৃদয়াকাশে সুখে তারা হয়ে বাড়াও সুখের হাহাকার।
নারী তুমি
মৌচাকের মধু, প্রেমের যাদু,অসম আশার সমীকরন
সহস্র-কোটি জনতার মঞ্চে তুমি পুষ্প শোভিত মাল্য বরণ
তুমি অনন্যা, তুমি পাহাড়ী ঝর্না, তুমি সমুদ্রের কল্লোল ধ্বনি
হৃদয় ভুবনে বয়ে চলো গোপনে যেন তুমি অন্তহীন প্রবাহিনী।
নারী তুমি
প্রকৃতির সবুজ বৃক্ষরাজির মিলন মেলার শ্যামলিমা ছায়াছবি
স্বাধীনতার আকাশে উদীয়মান এক রক্তিম লাল রবি
তুমি জয়ন্তীর জয়, তুমি চির অক্ষয়, তুমি বাংলার স্বাধীনতা
তুমি নও উদ্বাস্তু, তুমি লেখকের বিষয়-বস্তু তুমি প্রেমময়ী কবির কবিতার খাতা।
নারী তুমি
আমার হৃদপিন্ডের একটি মহাখন্ড
তুমিহীনা এই জীবন যেন মহাপ্রলয়ের লন্ড-ভন্ড
তুমি লজ্জাবতীর লাজ, ফুলশয্যার সাজ, তুমি ধ্রুবতারার আলো
কোটি নক্ষত্রের মাঝে তুমিই শুধু আমার হৃদয়ে সুখের প্রদীপ জ্বালো।
নারী তুমি
স্বয়ংবরা, প্রেমের জোড়া, সুখের চাবি-কাঠি
হ্নদয় মহলে বুকের অতলে শান্তির শীতল পাটি
তুমি গ্রাম বাংলা বধুর নকশী কাঁথার মাঠ
সুখ তারার দিশা তুমি, অনাবিল স্বপ্নের সাধ।
নারী তুমি
অন্ধের দৃষ্টি, বোবার ভাষা, বোধির শোনার অভিলাষ
প্রানের আকুতি, মনের মিনতী, সৃষ্টির মহা ইতিহাস
তুমি বেহুলার ভেলা,আনন্দ মেলা, তুমি স্বর্গের অপ্সরী
প্রিয়সী আমি, পিপাসার্থ মন, তোমার প্রতীক্ষায় মরি।
নারী তুমি
অবনীর বুকে যেন একটি গোলাপ ফুল
মোহনীয় সৌরভে মন মুগ্ধতায় আকুল
সমস্ত রূপের শ্রেষ্ঠ বাহার, নেই কোন ভূল
সত্যিই তুমি সদ্য ফোঁটা একটি গোলাপ ফুল।
নারী তোমার
ভুবন মোহিনী হাসিতে যেন মেঘেরাও থমকে তাকায়
হীরা-মুক্তা ঝরে পরে প্রতিটি হাসির কনায়
তোমার অভিসার অলৌকিত সিগ্ধতায় এই হৃদয় ছোঁয়ে যায়
অসহায় চিত্ত আমার স্বপ্নীন সন্ধানে বার বার তোমাতে হারায়।
নারী তুমি
নদী মাতৃক বাংলার পদ্মার মোহনা
তোমাতেই প্ররিলক্ষীত হয় স্বর্গ সুখের সূচনা
তুমি কক্স বাজারের সমুদ্র সৈকত, তুমি সুন্দরবনের মায়াবী হরিণী
কোহিনূর হীরার রূপ ভান্ডার তুমি, তুমি অনন্ত মায়ার অন্তহীন খনি।
শত ব্যস্ত তার মাঝে খানিক বিশ্রাম
বান্নান তাসের খেলায় তুমি, টেক্কা-কুড়ির-ট্রাম
যে জনমে ছিলেনা তুমি,সেতো জীবন নয় মরনেরই একাংশ-
তুমি মানব সৃষ্টির লগ্নে,আছো; তুমি সংযোজনে! তুমি থাকবে হয়ে অধাংশ।
নারী তুমি
তুমি মজনুনের পাগলামী, মাথিনের অপেক্ষা, দেবের হাতে মদের বোতল,
ফারহাদের সামনে বিশাল পাহাড়, হৃদয়ে তাহা কাটার কোলাহল
তুমি শাজাহানের গড়া তাজমহল, চন্ডির হাতে বরশির কাঠি
তুমি প্রেম নগরীর পরশ পাথর, তুমি কাশ্মীরের সোনা ঝরা মাটি।
নারী তুমি
অবনীর মাঝে শ্রেষ্ট অভিরাম মায়া
তোমাতে খুজে পাই যেন, ফুটন্ত গোলাপের ছায়া,
প্রেমের মিষ্টি গন্ধে সৌরভিত তুমি
তোমার রূপের রশ্মিতে, আলোকিত নরের হৃদয় ভুমি।
নারী তুমি
মেঘলা গগনে ভেসে উঠা নব পূনিমার চাঁদ
মৃদু প্রভঞ্জনে এক সোনালী প্রভাত,
মেদিনীর বুকে, তুমি যে মহা প্রেমের অর্ণব
নিশ্চয় নরের প্রাণ উতলা করো প্রীতি উৎসব।
নারী তুমি
নরের বুকে বয়ে চলা এক চঞ্ছলা নদী
পাল তোলা সুখের নাঁয়ের মোহনা অবধি,
সহস্র ক্লান্ত চিত্তে বিলাও শান্তির পরশ
মায়াবী আঁখির দৃষ্টি রেখায় কতো প্রাণ করেছো যে বশ।
নারী তুমি
কাংক্ষিত হৃদয়ের খোরাক, ব্যর্থ হৃদয়ের সফলতা
স্বপ্ন ভিবোর দিশাহারা জীবনে আনো হর্ষময় প্রফুল্লতা
ভীতু মনে সাহস যোগাও, দুর্বল মনে বল
তোমার অনুপ্রেরনায় বলীয়ান হচ্ছে সর্ব নরদল।
নারী তুমি
অন্ধকার আচ্ছাদিত ভূবনে ছড়াও উজ্বল আলোক রাশি
প্রিয়ার আকুলতায়, গভীর নিশিতে বাজানো তুমি বাঁশরীর হাতের বাঁশি,
তুমি প্রসব বেদনার মৃত্যু যন্ত্রনা শেষে, মায়ের বুকে জড়ানো শিশুর মায়া
হাশর প্রাঙ্গনে, দ্বাদশ রবির বহ্নি জ্বালায়, তুমি আরশের নিচে শান্তির ছায়া।
নারী তুমি
প্রবাসী যুবকের প্রিয়জনের নিকট লিখা প্রেম রোমাঞ্ছিত পত্রের শিরোনাম
প্রতিমার সম্মুক্ষে শির নত করে আবেগ মোহিত পূজারীর প্রনাম
তুমি মেশক্-আম্বরের সুভাস, তুমি নব বধূর যৌবনা অঙ্গ জুড়ে মোড়ানো লাল বেনারশী
তুমি রমজান শেষে পশ্চিমাকাশে উদিত ঈদের চাঁদের বাঁকা হাঁসি।
নারী তুমি
নিঃসঙ্গ আদমের বিপরীত মুখি সঙ্গী ও শান্তির গতিবেগ
তুমি লিও-নাদো-দ্যা বিঞ্ছির, দ্বি-খন্ডিত হৃদয়ের অতৃপ্ত আবেগ
তুমি পিতার আপন হস্তে, পুত্র ইসমাঈলের কোরবানীর উল্লাস
তুমি যুগ যুগ ধরে, মানবের জীবন তরে স্বর্নাক্ষরে লিখা প্রেমের ইতিহাস।
নারী তুমি
শান্ত যুবকের ক্লান্ত নয়নের অশ্রূ সিক্ত দুটি পাতা
তুমি চঞ্ছল যুবকের তন্দ্রায় ভরা-নিদ্রাহীন অজস্র নিষ্ঠুর রাত।
তুমি পরাজিত প্রেমিকের ঘুমের ঘরে কবরসম শূর্ণ্য শয্যা
তুমি ব্যর্থ যুবকের না পাওয়া বেদনায়, বিদ্রোহী চিত্তে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা।
নারী তুমি
নব বরের জন্য শ্বশুরালয়ের আপ্যায়নের উৎসব মুখরিত সুবিশাল আয়োজন
তুমি কাংখিত স্বামীর বুকে, ঝড় তোলা ভালবাসার অভাব পূরণে নিত্য প্রয়োজন
তুমি ইউছুপ-জুলেখার সূপ্ত হৃদয়ের রহস্যময় গুপ্ত প্রেম-ভালবাসা
তুমি ভাস্কো-দা গামার নব দ্বীপ সন্ধ্যানে উচ্ছাসিত বিপুল আশা।
নারী তুমি
নজরুলের পারুলী, রবির গীতাঞ্জলী, জীবনানন্দের বনলতা সেন
তুমি থার্টিফাষ্ট নাইটের উল্লাস, তুমি চৌদ্দ ফেব্রুয়ারীর যুবক-যুবতীর ফাঁটা-ফাঁটি প্রেম
তুমি মহাকাশচারীর মহা বিশ্ব ভ্রমন জয়ে নিত্য নব অভিযান
তুমি যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামীর ফের-স্ব-সন্মানে মুক্তির নিশানা।
নারী তুমি
শীতের সকালে অঙ্গজুড়ে প্রাণ জোড়ানো মিষ্টি রোদের খেলা
তুমি ফাল্গুন মাসে প্রকৃতির বুকে সান্নিধ্যময় বসন্তের মেলা
তুমি চৈত্রের প্রাণ হারা মাটিতে, প্রাণ ফিরানো বর্ষার জল
তুমি টর্ণেডোর ক্ষতিগ্রস্ত চাষীর মাঠ ভরা ফসল, তার বধূর শুকনো ঠোঁটের কোণে হাঁসি ঝলমল।
নারী তুমি
মহাগ্রন্থ প্রবিত্র আল-কোরানের লিপিবব্ধ সুরায়ে-নূর
তুমি ঐতিহাসিক রমনী রহিমার রূগ্ন স্বামীর সেবায় নিয়োজিত স্নেহ মধুর
তুমি মরিয়মের সত্বীত্ব, রাবেয়া বসরীর ত্যাগ তিতিক্ষাময় প্রভুর সনে প্রেম-প্রীতি
মাদার তেঁরেসার মহত্ব তুমি, তুমি প্রিন্সের ডায়নার সুনাম খ্যাতি।
নারী তোমার
রূপের নেশাতে মাতাল কতো বরেণ্য বীর
তোমার বিরহে মহাপ্রয়ান কেহ, কারো লোচনে নীর
কেউ হচ্ছে দেশ ত্যাগী, কারো জ্বলছে হৃদয়
তবুও তো সাঁজাও তুমি স্বর্গ সুখের নিলয়।
নারী তোমার
আকুল মায়া লুকিয়ে আছে মোর হৃদয় তলে
নারী তোমার মধু প্রেমেতে আমার রক্ত জ্বলে,
জানিনা, কিসের দহনে, কিসের বিরহে জ্বলে পুড়ে হই ছাই
স্বপ্নের রঙ্গে সাঁজিয়েছি বাসর, তুমি যে হেথায় নাই।
নারী তোমার
আগুন লাগা যৌবন উৎসবে হোকনা আমার অবগাহন
বল, তুমি বিহনে এই যৌবন জলতরঙ্গ, রুখিবে কোন জন,
তৃষ্ণা মিটাতে নয়, তৃপ্তি পেতেই শুধু, তোমাকে কাছে পাওয়া
জানি হাজার জনমেও হবে না পূরণ, এই কাংখিত চাওয়া।
নারী তুমিহীনা,
জগৎ সংসারে নর যে বড় অসহায়
জন্মের লগ্নে থেকে বেঁচে আছি তোমারী করূনায়
“জননী হইয়া গড়েছো জীবন, রমনী হইয়া সাঁজাও
দৃষ্টি চরাচরে, হৃদয় অগোচরে, জানিনা তুমি যে কি চাও”।
Tag:নারীর সৌন্দর্য নিয়ে প্রশংসা, নারীর সৌন্দর্য নিয়ে কবিতা, নারীর রূপের বর্ণনা ( ৫০+)
Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)