ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সংগঠনের ধারণা বিশ্লেষণ | এইচএসসি বিএম ষষ্ঠ /৬ষ্ট সপ্তাহের ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২ এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর ২০২১ (এসাইনমেন্ট ৪) | এইচএসসি বিএম এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর/সমাধান ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২ (এসাইনমেন্ট ৪) ষষ্ঠ সপ্তাহ

 

ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সংগঠনের ধারণা বিশ্লেষণ |
       
       
                     

     এইচএসসি বিএম ষষ্ঠ /৬ষ্ট সপ্তাহের ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২ এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর ২০২১ (এসাইনমেন্ট ৪) 

    এইচএসসি বিএম এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর/সমাধান ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২ (এসাইনমেন্ট ৪) ষষ্ঠ সপ্তাহ 

    শিরোনাম

    ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সংগঠনের ধারণা বিশ্লেষণ

    ** সংগঠনের ধারনাঃ 

    সংগঠন:- ব্যবস্থাপকীয় কার্যাবলির মধ্যে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলাে সংগঠন । সংগঠনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মানবীয় ও অমানবীয় উপাদানসমূহের সংগ্রহ , শ্রেণিবদ্ধকরণ , কার্যবিভাজন , সমন্বয়সাধন ইত্যাদির মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন তথা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয় । 

    ব্যবস্থাপনা বিশারদগণ সংগঠন সম্পর্কে বিভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন । যেমন 

    ১. Koontz এবং O'Donnel- এর মতে , “ সংগঠন হলাে সম্পর্কের এমন একটি কাঠামাে , যার সাহায্যে একটি প্রতিষ্ঠানের শক্তিগুলাে একত্রিত হয় এবং যে কাঠামাের মধ্যে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা সমন্বিত হয় । ” 

    ২. অধ্যাপক ম্যাক ফারল্যান্ড বলেন , “ সংগঠন হলাে পরিচিত ব্যক্তিবর্গের এমন একটি দল , যারা লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিজেদের প্রচেষ্টা ব্যয় করে । " 

    উপরের আলােচনা হতে আমরা বলতে পারি , সংগঠন হলাে এমন একটি প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন বা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থাপকীয় এবং উৎপাদন ও বণ্টন সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পন্ন করা হয় ।

    ** কারবার সংগঠনের মূলনীতিঃ 

    দীর্ঘদিনের কার্যপ্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে এমন কিছু নিয়ম নীতি গড়ে ওঠে বা গৃহীত হয় যা সঠিকভাবে অনুসরণ করা হলে ঐ কাজ সুচারুরূপে সম্পাদন করা যায় । এ ধরনের নিয়ম বা দিক নির্দেশনাকেই নীতি বা নীতিমালা বলা হয় । কার্যকর সংগঠন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও এমন কিছু নীতিমালা লক্ষণীয় । নিম্নে সেগুলাে সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করা হলাে 

    ১. লক্ষ্যের নীতি: কার্যকর সংগঠন প্রতিষ্ঠায় একজন সংগঠককে প্রথমেই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য বিবেচনা করতে হয় । লক্ষ্য অনুযায়ী সংগঠনকে সেভাবেই গড়ে তােলা আবশ্যক । 

    ২. দক্ষতার নীতি : ব্যবস্থাপনা সংগঠন প্রতিষ্ঠায় দক্ষতার বিষয়টি সবসময়ই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হয় । Weihrich এবং Koontz এর মতে , কর্মশক্তি ও উপায় উপাত্ত ব্যয়ে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনই হলাে দক্ষতা । 

    ৩ , শ্রম বিভাজনের নীতি: ব্যবস্থাপনা সংগঠন প্রক্রিয়ার প্রথম ও প্রধান কাজ হলাে প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতি ও কাজের ধরন অনুযায়ী কাজগুলােকে সঠিকভাবে চিহ্নিত ও বিভাজন করা । 

    ৪. কার্য পরিসর নির্ণয়ের নীতি ; প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে নিযুক্ত প্রত্যেক নির্বাহী বা ব্যবস্থাপক প্রত্যক্ষভাবে কতজন অধঃস্তনের কাজ তত্ত্বাবধান করবেন তা সংগঠন কাঠামােতে নির্দিষ্ট করা হয় । 

    ৫. জোড়া - মই — শিকল নীতি : একটি মজবুত ব্যবস্থাপনা সংগঠনে জোড়া - মই - শিকল নীতি অনুসরণ করা হয় । অর্থাৎ উপর থেকে শুরু করে নিচ পর্যন্ত প্রত্যেক বিভাগ , উপবিভাগ ও ব্যক্তির কাজকে এমনভাবে একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেয়া হয় যাতে কেউই এর বাইরে না থাকে । এরূপ শিকল প্রতিষ্ঠার ফলে আদেশ দান ও এর বাস্তবায়ন সহজ হয় এবং দলীয় প্রচেষ্টা জোরদার হয় । 

    ৬. আদেশের ঐক্যের নীতি: প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি স্তরে আদেশের ঐক্য প্রতিষ্ঠা অর্থাৎ একজন অধঃস্তনের যাতে প্রত্যক্ষভাবে একজন মাত্র আদেশকর্তা থাকে , কার্যকর ব্যবস্থাপনা সংগঠন প্রতিষ্ঠায় সে বিষয়টি বিশেষভাবে নজর রাখতে হয় । 

    ৭. সারল্য ও সুস্পষ্ট নীতি: ব্যবস্থাপনা সংগঠন এমন হওয়া আবশ্যক যাতে তা সহজ - সরল এবং সকলের নিকট বােধগম্য হয় । এছাড়া প্রত্যেক ব্যক্তি , বিভাগ ও উপবিভাগের দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব সুস্পষ্ট হওয়া আবশ্যক ।

    কারবার সংগঠনের গুরুত্বঃ 

    সংজ্ঞা : ব্যবস্থাপকীয় কার্যাবলির মধ্যে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলাে সংগঠন । সংগঠনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মানবীয় ও অমানবীয় উপাদানসমূহের সংগ্রহ , শ্রেণিবদ্ধকরণ , কার্যবিভাজন , সমন্বয়সাধন ইত্যাদির মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন তথা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয় । সংগঠন কর্মীদের আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক ও যােগাযােগ নির্দেশ করে । বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা বিশারদ সংগঠন সম্পর্কে বিভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন । যেমন 

    ১. Koontz এবং Donnell- এর মতে , “ সংগঠন হলাে সম্পর্কের এমন একটি কাঠামাে , যার সাহায্যে একটি প্রতিষ্ঠানের শক্তিগুলাে একত্রিত হয় এবং কাঠামোর মধ্যে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা সমন্বিত হয় । ” 

    ২. অধ্যাপক ম্যাক ফারল্যান্ড বলেন , “ সংগঠন হলাে পরিচিত ব্যক্তিবর্গের এমন একটি দল , যারা লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিজেদের প্রচেষ্টা ব্যয় করে । ” উপরের আলােচনা হতে আমরা বলতে পারি যে , সংগঠন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন বা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থাপকীয় এবং উৎপাদন ও বন্টন সংক্রান্ত কার্যাবলী সম্পন্ন করা হয়।

    সংগঠনের গুরুত্ব / প্রয়ােজনীয়তা : যেকোন প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে ব্যবস্থাপনা সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলির মধ্যে সমন্বয় সাধন , কার্য বিভাগীয়করণ , দায়িত্ব ও কর্তব্য বন্টন সংক্রান্ত কার্যাবলি প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা সংগঠনের ভূমিকা অনস্বীকার্য । নিচে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ হতে ব্যবস্থাপনা সংগঠনের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলােচনা করা হলাে 

    ১. প্রশাসনিক কার্যাবলি সম্পাদনে সহায়তা : ব্যবস্থাপকীয় ও প্রশাসনিক কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু সংগঠন অপরিহার্য । যেকোন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বা প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন সুশৃঙ্খল ও সার্থক ব্যবস্থাপনা সংগঠনের উপর নির্ভরশীল । 

    ২.উৎপাদনের উপকরণসমূহের সর্বোচ্চ ব্যবহার : উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণ ; যথা- ভূমি , শ্রম , মূলধন প্রভৃতির কাম্য ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা সংগঠন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিকা শক্তি বৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ হ্রাস করে । এর দ্বারা উৎপাদনের উপকরণসমূহ ও প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলির মধ্যে সমন্বয়সাধন করা সম্ভব হয় । 

    ৩. উর্ধ্বতন নির্বাহীদের কার্যভার হ্রাস : উত্তম সংগঠন ব্যবস্থায় উর্ধ্বতন নির্বাহীগণ দায়িত্ব ও ক্ষমতা নিম্নস্তর বা মধ্যস্তরের নির্বাহীদের উপর অর্পণ করতে পারে । ফলে উর্ধ্বতন নির্বাহীদের কর্মভার হ্রাস পায় । 

    ৪. কারিগরি উন্নয়নের সর্বাধিক সদ্ব্যবহারের নিশ্চয়তা দান : বর্তমান মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে প্রতিষ্ঠানকে সাফল্যের সাথে টিকে থাকতে হলে আধুনিক যন্ত্রপাতি , উৎপাদন ও বণ্টন পদ্ধতির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হয় । একমাত্র আদর্শ সংগঠন ব্যবস্থায় এটি করা সম্ভব।

    ৫ , শৃঙ্খলা রক্ষাঃ সংগঠন ব্যবস্থায় প্রতিটি কাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সুনির্দিষ্ট থাকে । ফলে কোন কর্মী দায়িত্ব এড়াতে বা কাজে ফাকি দিতে পারে না । 

    ৬. কর্মীদের উদ্ভাবনী শক্তি বৃদ্ধি : আদর্শ ব্যবস্থাপনা সংগঠন কর্মীদের উদ্ভাবনী শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের নিজ নিজ কার্যক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযােগ থাকে বিধায় নিজস্ব চিন্তা - চেতনা বা সৃজনশীলতার বৃদ্ধি ঘটে এবং নতুন নীতি , পদ্ধতির উন্নয়ন ও ব্যবহার সম্ভব হয় । 

    ৭. কর্মীদের সন্তুষ্টি বিধান : উত্তম সংগঠন ব্যবস্থায় কর্মীদের সন্তুষ্টি বিধানের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের সুযােগ - সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা থাকে । যেমন- প্রয়ােজনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা , ভালাে কাজের জন্য পুরস্কৃত করা , পদোন্নতির ব্যবস্থা করা প্রভৃতি ।

     ৮. ব্যবসায় উন্নয়ন ও পরিবর্তন : প্রতিযােগিতামূলক ব্যবসায় জগতে টিকে থাকতে হলে প্রতিষ্ঠানকে প্রয়ােজনে সমপ্রসারণ , উন্নয়ন ও পরিবর্তন করতে হয় । এ সকল কার্য সাংগঠনিক কাঠামাের মধ্যেই সম্পন্ন করা হয় । 

    ৯. বিশেষায়নের সুবিধা : প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলিকে কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করে বিভিন্ন বিভাগ বা ব্যক্তিবর্গের উপর অর্পণ করা হয় । ফলে কর্মীবৃন্দ দক্ষতার সাথে কার্য সম্পাদনে সক্ষম হয় । অন্যদিকে বিশেষায়নের কারণে প্রাতিষ্ঠানিক খরচও হ্রাস পায় ।  

    ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সংগঠনের ধারণা বিশ্লেষণ | এইচএসসি বিএম ষষ্ঠ /৬ষ্ট সপ্তাহের ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২ এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর ২০২১ (এসাইনমেন্ট ৪) | এইচএসসি বিএম এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর/সমাধান ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২ (এসাইনমেন্ট ৪) ৭ম সপ্তাহ


    Tag:ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সংগঠনের ধারণা বিশ্লেষণ, এইচএসসি বিএম ষষ্ঠ /৬ষ্ট সপ্তাহের ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২ এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর ২০২১ (এসাইনমেন্ট ৪), এইচএসসি বিএম এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর/সমাধান ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২ (এসাইনমেন্ট ৪) ৭ম সপ্তাহ

                                   
    Previous Post Next Post


    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com

     



    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com

    (সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Telegram পেজ)