You can easily download all types of PDF from our website for free.Only we share all types of updated PDF. If there is any problem to download our PDF file, you can easily contact us and solve it. So without delay download your desired PDF file immediately.
আরো দেখুন
- বাংলাদেশের ৬৪ জেলার রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২৪
- সেহরি ও ইফতারের দোয়া
- যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪
- ১ ভরি স্বর্ণের যাকাত কত টাকা ২০২৪
- ১ লাখ টাকার যাকাত কত টাকা ২০২৪
- ফিতরা কত টাকা ২০২৪
- জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার নিয়ম
- ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
- অনলাইনে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
- পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ
- পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
- পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
এইচএসসি (ভোকেশনাল) এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর /সমাধান ২য় পত্র পদার্থ বিজ্ঞান -২ (এসাইনমেন্ট ১)
সমাধানঃ
তাপ ও তাপগতিবিদ্যা
তাপ একপ্রকার শক্তি যা আমাদের শরীরে ঠান্ডা বা গরমের অনুভূতি জাগায় । তাপের আন্তর্জাতিক একক জুল । তাপমাত্রা হচ্ছে বস্তুর তাপীয় অবস্থা যা অন্য বস্তুর তাপীয় সংস্পর্শে আনলে বস্তুটি তাপ গ্রহণ করবে না বর্জন করবে তা নির্ধারণ করে । তাপ সাধারণত তিনটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সঞ্চালিত হয়ে থাকে । এগুলাে হলাে - পরিবহন , পরিচলন ও বিকিরণ । তাপ সঞ্চালনের জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়ােজন হয় । তাপ পরিমাপক যন্ত্রের নাম হলাে ক্যালরিমিটার ।
তাপগতিবিদ্যার মৌলিক সূত্র চারটি , মূলত পরীক্ষামূলক সত্য প্রকাশ করে এবং তাপীয় সাম্যাবস্থায় তাপগতীয় প্রক্রিয়া ও তাপগতীয় সিস্টেমকে বৈশিষ্ট্য প্রদানকারী তাপমাত্রা , তাপ , তাপগতীয় কাজ ও বিশৃঙ্খলা - মাত্রা ( এনট্রপি ) এসব ভৌত পরিমাণসমূহ সংজ্ঞায়িত করে । তাপগতিবিদ্যার পাশাপাশি পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নেও সূত্রগুলাের প্রয়ােগ লক্ষ্য করা যায় ।
ঐতিহ্যগতভাবে , তাপগতিবিদ্যার তিনটি সূত্র রয়েছে : প্রথম সূত্র , দ্বিতীয় সূত্র ও তৃতীয় সূত্র । আরাে মৌলিক একটি বক্তব্যকে পরবর্তীতে ' শূন্যতম সূত্র ' তকমা দেওয়া হয় ।
তাপগতিবিদ্যার শুন্যতম সূত্র তাপীয় সাম্যাবস্থাকে সংজ্ঞায়িত করে এবং তাপমাত্রাকে সংজ্ঞায়িত করার ভিত্তি তৈরী করে । এটি বলে , যদি দুটি সিস্টেমের উভয়েই তৃতীয় আরেকটি সিস্টেমের সাথে তাপীয় সাম্যাবস্থায় থাকে , তবে তারা প্রত্যেকেই পরস্পরের সাথে তাপীয় সাম্যাবস্থায় থাকবে ।
তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র বলে , যখন কোনাে সিস্টেমের ভেতর দিয়ে শক্তি ( তাপ , কাজ বা পদার্থ ) প্রবাহিত হয় তখন সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ শক্তি , শক্তির নিত্যতা সূত্র অনুযায়ী পরিবর্তিত হয় ।
তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র মূলত দুইভাবে বিবৃত করা যায় । সম্ভাব্য প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে , রুডলফ ক্লসিয়াস বলেছেন , “ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিম্ন তাপমাত্রা থেকে উচ্চ তাপমাত্রার স্থানে তাপের স্থানান্তর সম্ভব নয় । বিশৃঙ্খলা - মাত্রার হিসাবে , একটি স্বাভাবিক তাপগতীয় প্রক্রিয়ায় সিস্টেমগুলাের বিশৃঙ্খলা - মাত্রার যােগফল সর্বদাই বৃদ্ধি পায় ।
তাপগতিবিদ্যার তৃতীয় সূত্র বলে , কোনাে সিস্টেমের তাপমাত্রা পরম শূন্যের দিকে ধাবিত হলে বিশ্বখুলা - মাত্র একটি মানের দিকে ধাবিত হয় । অ - স্ফটিক সিস্টেমের পরম শূন্য তাপমাত্রায় সাধারণত শূন্যের কাছাকাছি হয় ।
সমচাপ রেখা
সমচাপ রেখা ( Isober Line ) :
কোনাে নির্দিষ্ট সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের বায়ুর চাপ নির্ধারণ করে যখন মানচিত্রে প্রকাশ করা হয় তাকে সমচাপ রেখা মানচিত্র এবং রেখাসমূহকে সমচাপ রেখা বলে । সাধারণত ৪ মিলিবার পরপর সমচাপ রেখা অঙ্কন করা হয় । যে স্থানে বায়ুর চাপ বেশি সেই স্থানে উচ্চচাপ এবং যে স্থানে বায়ুর চাপ কম সে স্থানে নিম্নচাপ অবস্থা প্রকাশ করা হয় । সমচাপ রেখার মাধ্যমে কোনাে স্থানের বায়ুর চাপের ও গতির পার্থক্য সম্পর্কে জানা যায় । সাধারণত সমুদ্রগামী জাহাজ , নদীবন্দরে অবস্থিত নৌযান চলাচলে কোনাে সতর্কবার্তা প্রেরণের ক্ষেত্রে এই সমচাপ রেখা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে । সমচাপ রেখার মাধ্যমেই বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এলাকাগুলাে সহজে চিহ্নিত করা যায় ।
সমচাপ রেখা অঙ্কন পদ্ধতি ও বিশ্লেষণ : সমচাপ রেখা সাধারণত বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপকে মানচিত্রে রৈখিক বিন্যাস দ্বারা প্রকাশ করে । সমচাপ রেখা দুটি পদ্ধতিতে অঙ্কন করা যায়
১. ঘূর্ণিবাত , নিম্নচাপ বা অবনমন এবং
২. প্রতীপ ঘূর্ণিবায়ু বা উচ্চচাপ ।
১. ঘূর্ণিবাত , নিম্নচাপ বা অবনমন ( Cyclone , Low Pressure or Depression ) : ঘূর্ণিবায়ুর কেন্দ্রে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় । বায়ু উত্তর গােলার্ধে বাম দিকে বেঁকে ( Anti - Clockwise ) এবং দক্ষিণ গােলার্ধে ডানদিকে বেঁকে ( Clockwise ) যায় । এভাবে ঘুরতে ঘুরতে বায়ু ঘূর্ণিবায়ুর কেন্দ্রেস্থলের দিকে বায়ু উর্ধ্বগামী হয় এবং উষ্ণ বায়ুর সাথে মিলিত হয়ে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে । এ সময় ঐ এলাকায় নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় ।
২. প্রতীপ ঘূর্ণিবায়ু বা উচ্চচাপ ( Anti - Cyclone or High Pressure ) : প্রতীপ ঘূর্ণিবায়ুর কেন্দ্রে উচ্চচাপ সৃষ্টি হয় । অল্প পরিসর স্থানের বায়ু শীতল হয়ে উচ্চচাপ তৈরি হয় । প্রতীপ ঘূর্ণিবায়ু “ ডিম্বাকৃতি " আকারের রৈখিক বিন্যাসের দ্বারা অঙ্কিত হয় এবং তা বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকে ।
সমআয়তন প্রক্রিয়া
সমআয়তন প্রক্রিয়া, যাকে স্থির - আয়তন বা আইসােমেট্রিক প্রক্রিয়াও বলা হয় , হলাে এমন একটি তাপগতীয় প্রক্রিয়া , যাতে প্রক্রিয়াধীন বদ্ধ ব্যবস্থার আয়তন স্থির থাকে । একটি সমআয়তন প্রক্রিয়া , বদ্ধ ও অস্থিতিস্থাপক পাত্রে রাখা উপাদান উত্তপ্ত বা শীতলীকরণের মাধ্যমে দেখানাে হয় : তাপগতীয় প্রক্রিয়াটি হলাে তাপ সংযােজন বা অপসারণ ; পাত্রটির উপাদানের বিচ্ছিন্নতা বদ্ধ সিস্টেম তৈরী করে ; এবং বিকৃতি ঘটাতে পাত্রটির অক্ষমতা , স্থির আয়তন শর্তটি প্রতিষ্ঠিত করে । তবে এখানে তাপগতীয় প্রক্রিয়াটিকে ধীর গতির প্রক্রিয়া ( কোয়াসি স্ট্যাটিক ) হতে হবে ।
আদর্শ গ্যাসগুলির জন্য সমােষ্ণ প্রক্রিয়া বিশেষ ভাবে প্রযােজ্য । জুলের ২ য় সুত্রানুসারে নির্দিষ্ট পরিমান আদর্শ গ্যাসের অভ্যন্তরীণ শক্তি শুধুমাত্র তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে । সুতরাং সমােষ্ণ প্রক্রিয়ায় আদর্শ গ্যাসের অভ্যন্তরীণ শক্তি ধ্রুবক । ফলে আদর্শ গ্যাসে আন্তঃআণবিক শক্তি থাকে না । মনে রাখবেন , এটা শুধু আদর্শ গ্যাসের জন্য , তরল , কঠিন এনং বাস্তব গ্যাসের অভ্যন্তরীন শক্তি তাপ ও চাপের উপর নির্ভরশীল । একটি গ্যাসের সমােষ্ণ সংকোচনে যে কাজ হয় তাতে গ্যাসের আয়তন হ্রাস পায় এবং চাপ বাড়ে । ফলে অভ্যন্তরীণ শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং তাপমাত্রা বাড়ে । ধ্রুব তাপমাত্রা বজায় রাখতে সিস্টেমটিকে তাপ পরিবেশে ছেড়ে দিতে হবে । আদর্শ গ্যাসে অভ্যন্তরীণ শক্তি পরিবর্তন হয় না ফলে পরিবেশে প্রবেশ করা শক্তির পরিমাণ গ্যাসের কাজের সমান হবে । সমােষ্ণ প্রসারণে সিস্টেমে সরবরাহ করা শক্তি চারপাশে কাজ করে । উভয় ক্ষেত্রেই উপযুক্ত সংযােগের সহায়তায় গ্যাসের আয়তনের পরিবর্তন কার্যকর যান্ত্রিক কাজ সম্পাদন করতে পারে । বিস্তারিত হিসাবের জন্য , কাজের হিসাব দেখুন । কর দেয়াল জল ভরে রুদ্ধতাপীয় প্রক্রিয়ায় , ধারকের দেয়াল ভাল ভাবে অন্তরীত থাকার জন্য কোন তাপ বাহিরে যায় না বা ভিতরে আসে না , Q = 01 যদি কোনও কাজ না করা হয় , অর্থাৎ একটি মুক্ত সম্প্রসারণ , অভ্যন্তরীণ শক্তিতে কোনও পরিবর্তন হয় না । একটি আদর্শ গ্যাসের জন্য , এই অর্থে এই প্রক্রিয়াটিও সমােষ্ণ । এতদনুসারে , একটি প্রক্রিয়া সমােষ্ণ হলে তাকে একক প্রক্রিয়া বলা যায় না ।
২০২১ সালের এইচএসসি (ভোকেশনাল) পদার্থ বিজ্ঞান -২ এসাইনমেন্ট সমাধান ( ২য় পত্র)
Tag: এইচএসসি (ভোকেশনাল) এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর /সমাধান ২য় পত্র পদার্থ বিজ্ঞান -২ (এসাইনমেন্ট ১), ২০২১ সালের এইচএসসি (ভোকেশনাল) পদার্থ বিজ্ঞান -২ এসাইনমেন্ট সমাধান ( ২য় পত্র)