এসএসসি/দাখিল বাংলা ১ম পত্র এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ (১ম সপ্তাহ) -সুভা গল্প অনুসরণে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের আবেগ অনুভূতি অনুধাবন এবং তাদের প্রতি পরিবার ও সমাজের ভূমিকা নির্ধারণ

আসছালামু আলাইকুম প্রিয় এস এস সি ও দাখিল শিক্ষার্থী বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন।আসা করি সবাই ভালো আছেন।আজকে আমরা তোমাদের এই পোস্টে এসএসএসসি ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীদের ১ম সপ্তাহের বাংলা ১ম পত্র এসাইনমেন্ট সমাধান শেয়ার করবো।আসা করি তোমাদের উপকারে আসবে । 

       
       
              

    এসএসসি/দাখিল ১ম সপ্তাহের বাংলা ১ম পত্র এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২

    এসএসসি/দাখিল ১ম সপ্তাহের বাংলা ১ম পত্র এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২


    সুভা গল্প অনুসরণে বিশেষ  চাহিদাসম্পন্ন মানুষের আবেগ অনুভূতি অনুধাবন এবং তাদের প্রতি পরিবার ও সমাজের ভূমিকা নির্ধারণ

    উত্তরঃ-বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের আবেগ অনুভূতি অনুধাবন এবং তাদের প্রতি পরিবারের ও সমাজের ভূমিকা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত আলােচনা করা হলাে । 

    ১. বাকপ্রতিবন্ধী সুভা তার পরিবার ও সমাজ থেকে যে আচরণ পেয়েছে তার বিবরণ : আমাদের দেশে প্রতিবন্ধীরা কোনাে - না - কোনােভাবে পরিবারের অবহেলার শিকার । তবে কোন পরিবারে বেশি , কোন পরিবারে কম । অবহেলার কারণে প্রতিবন্ধীতাকে অভিশাপ মেনে নিয়ে তারা অবহেলিত , বঞ্চিত জীবন যাপনে বাধ্য হয় । অনেক সময় তাদের অনাহারে - অর্ধাহারে থেকে দিন পার করতে হয় । অধিকাংশ পরিবারেই প্রতিবন্ধীদের বােঝা হিসেবে গণ্য করা হয় ।

     সুভা একজন বাকপ্রতিবন্ধী ছিল । বাকপ্রতিবন্ধী এই মেয়েকে নিজের মা পরিবারের বােঝা মনে করতেন । তার মা তাকে নিজের একটি ক্রটি স্বরূপ দেখতেন । কন্যার এই অসম্পূর্ণতা লজ্জার কারণ বলে মনে করতেন । তার মা তাকে নিজের গর্ভের কলঙ্ক মনে করতেন এবং তার প্রতি বিরক্ত হতেন পক্ষান্তরে , সুভার বাবা , বাণীকণ্ঠ সুভাকে তার অন্য মেয়েদের অপেক্ষা একটু বেশি ভালােবাসতেন । 

    সুভা বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় তার কোন বন্ধু - বান্ধব ছিলনা । তার সাথে কেউ মিশতাে না , কথা বলতে চাইতাে না । সুভার গ্রামের লােকজন তাকে নিন্দা করতে শুরু করেছে।

    ২. সুভার প্রতি পরিবার ও সমাজের প্রত্যাশিত ইতিবাচক আচরণ : প্রতিবন্ধীরা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ তাদেরকে অবহেলায় পিছনে ফেলে রেখে সমাজ এগিয়ে যাবে তা কখনােই সম্ভব নয় । সমাজের অংশ হিসেবে তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে । এ দায়িত্ব গুলাে সঠিকভাবে পালন করলে প্রতিবন্ধীরা সমাজের বােঝা নয় বরং সম্পদে পরিণত হবে ।

    সুভা বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রথমত তার পরিবারকে তার পাশে দাঁড়াতে হত । তার মনােবল বৃদ্ধির জন্য তার মায়ের মানসিকতার পরিবর্তন আনা উচিত ছিল । তিনি সুভার যত্ন নিতে পারতেন , ভালােবেসে আগলে রাখতে পারতেন । এছাড়াও সভার সমাজের অন্যান্য মানুষ সুভার প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে পারতেন । তারা তাদের সন্তানদের উদ্বুদ্ধ করতে পারতেন " " সুভাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করার জন্য ।

    ৩. আমার চেনা / জানা একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের বেড়ে ওঠার প্রতিবন্ধকতা সমূহ : আমাদের আশেপাশে এরকম অনেক শিশু দেখা যায় যারা স্বাভাবিক শিশুদের মত হয়না । তাদের আচার - আচরণ ও দৈহিক গঠন স্বাভাবিকের তুলনায় ধীর এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ , সমস্যাগ্রস্ত । এদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ভালােভাবে চোখে দেখতে পায় না । কারও কারও হাঁটাচলা করতে অসুবিধা ।

    প্রথমত , এদের প্রতিবন্ধকতার প্রধান কারণ হলাে পরিবার যেকোনাে মানুষের সামাজিক অবস্থান তৈরি হয় পরিবার থেকেই । কিন্তু এই পরিবারই অনেক সময় প্রতিকূলতার সৃষ্টি করে । সমাজে বিকশিত হওয়ার দ্বিতীয় প্রতিবন্ধকতা হলাে সমাজ । কারণ সামাজিক ধ্যান ধারণার উপর নির্ভর করে এইসব শিশুদের ভবিষ্যৎ । আর সমাজই যদি তাদের স্বাভাবিকভাবে গ্রহন না করে , তাহলে এ ধরনের মানুষের জীবনে আরাে হলে এ ধরনের মান বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে।

    সমবয়সীরা আরেকটা প্রতিবন্ধকতা । দেখা যায় , সমবয়সীরা তাদের সাথে মিশতে চায় না । এটিই তাদের বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে সবচে বড় প্রতিবন্ধকতা । বৈষম্য ও কুসংস্কার হলাে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজে বিকশিত হবার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা । সমাজের সর্বস্তরে এরূপ একটি বিশ্বাস আছে যে , প্রতিবন্ধীত্ব একটি অভিশাপ এবং এটি পাপ কাজের শাস্তি । এরূপ বিশ্বাস বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজে বিকশিত হতে বাধা সৃষ্টি করে। 

    ৪. একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষেরও সংবেদনশীল ও অনুভূতিপ্রবণ মন আছে । - মন্তব্যটি সুভা ও আমার চেনা / জানা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করা হলাে : সুভা বাকপ্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও সে চাইতাে তার কিছু বন্ধুবান্ধব থাকুক । যাদের সাথে সে ইশারায় গল্প করবে , মনের ভাব প্রকাশ করবে । সে চায় তার মা তাকে বােঝা না ভাবুক । ভালােবেসে যেনাে তাকে কাছে টেনে নেয় । কিন্তু যখন তার ভাগ্যে এসব জুটলাে না , তখন সখ্যতা গড়ে উঠলাে প্রকৃতির সাথে । প্রকৃতি যেনাে তার সকল অভাব পূরণ করে দিতাে , যেনাে তার সাথে কথা বলতাে ।

    নদীর কলধ্বনি , লােকের কোলাহল , মাঝির গান , পাখির ডাক , তরুর মর্মর - সমস্ত মিশে চারদিকের চলাফেরা - আন্দোলন - কম্পনের সাথে এক হয়ে সমুদ্রের তরঙ্গের ন্যায় সুভার চিরনিস্তব্ধ হৃদয় উপকূলের কাছে এসে ভেঙ্গে পড়তাে । তার বন্ধুত্ব ছিল প্রাণীদের সাথে । গােয়ালের দুটি গাভী , তাদের নাম সবশী ও পাঙ্গুলি । মানুষের সাথে তার ভাবের বিনিময় না হলেও , ভাষাহীন প্রাণী আর প্রকৃতির সাথে ঠিকই হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে সুভা ।

    তাই বলা যায় , একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষেরও সংবেদনশীল ও অনুভূতিপ্রবণ মন আছে- মন্তব্যটি সুভা ও আমার চেনা / জানা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের পরিপ্রেক্ষিতে যথার্থ ।

    Tag:সুভা গল্প অনুসরণে বিশেষ  চাহিদাসম্পন্ন মানুষের আবেগ অনুভূতি অনুধাবন এবং তাদের প্রতি পরিবার ও সমাজের ভূমিকা নির্ধারণ,এসএসসি/দাখিল বাংলা ১ম পত্র এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ (১ম সপ্তাহ)

                                   
    Previous Post Next Post


    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com



    Any business enquiry contact us

    Email:- Educationblog24.com@gmail.com

    (সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Telegram পেজ)