You can easily download all types of PDF from our website for free.Only we share all types of updated PDF. If there is any problem to download our PDF file, you can easily contact us and solve it. So without delay download your desired PDF file immediately.
আরো দেখুন
- বাংলাদেশের ৬৪ জেলার রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২৪
- সেহরি ও ইফতারের দোয়া
- যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪
- ১ ভরি স্বর্ণের যাকাত কত টাকা ২০২৪
- ১ লাখ টাকার যাকাত কত টাকা ২০২৪
- ফিতরা কত টাকা ২০২৪
- জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার নিয়ম
- ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
- অনলাইনে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
- পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ
- পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
- পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
সার্বজনীন উৎসব হিসাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য তােমার পরিবার / এলাকায় কী ধরনের উৎসবের আয়ােজন করতে পারবে । তার একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন কর ।
সংকেত :
০১। বাংলা নববর্ষকে কেন সার্বজনীন উৎস বলতে পারি - ব্যাখ্যা কর । ০২। বাংলা নববর্ষ কীভাবে উদযাপন কর ? ০৩। তােমাদের এলাকায় বৈশাখী মেলা হয় কী ! হলে কী ধরনের পণ্য মেলায় বিক্রি হয় ?
৮ম শ্রেণির চারু ও কারুকলা ৮ম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১
বাংলা নববর্ষকে কেন সার্বজনীন উৎসব বলতে পারি তার ব্যাখ্যাঃ
শহরের কৃত্তিমতা আর গ্রামীণ ঐতিহ্য মিলিয়ে বর্তমানে যা বাংলাদেশের একমাত্র অসাম্প্রদায়িক ও সার্বজনীন উৎসব ৷ মােঘল আমল থেকেই বাঙ্গালি জাতি বাংলা বর্ষবরণের এই উৎসবটিকে নিজেদের মতাে উদযাপন করে একটা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে রূপদান করেছে । তা আজও পর্যন্ত বলবৎ রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না । তবে এও সত্য যে , ধর্মীয় কোন বিধি নিষেধ না থাকলেও সত্যিকারভাবে এই উৎসবটি উদ্যাপনে সকল ধর্ম - বর্ণের মানুষের সাড়ম্বর উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে কিছুটা সংকীর্ণতাও বেশ জোড়ালাে ভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে কিছুকাল ধরে । এদেশে বিভিন্ন ধর্ম বর্ণের উপস্থিতি সত্বেও নববর্ষ উদযাপনে মৌলবাদিতার যে বাধা রয়েছে তা বাঙ্গালি সংস্কৃতির উত্তোরণের পথে যে একটা বড় রকমের বাধা তা বলাই যেতে পারে । অতচ এই ধরনের অনুষ্ঠান উদযাপনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি দেশ তার নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বলা উচিত জাতীয় নিজস্বতা বিশ্ব দরবারে হাজির করে ।
দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ জনগােষ্ঠী হিন্দু সম্প্রদায় ; এই উপমহাদেশে যাদের আবির্ভাব মুসলমানেরও পূর্বে । তখন সকল কর্তৃত্ব - ক্ষমতা ও জমিদারিত্ব ছিল তাদের কাছেই । তাই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনের সাথে তাদের ধর্মীয় ভাবধারাও জড়িত হয়ে গেছে । তবে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই হােক বা জাতীয়তাবাদের চেতনা থেকেই হােকনা কেন , পহেলা বৈশাখকে কিন্তু তারা সাধ্যমত উদ্যাপন করেই হালখাতা পহেলা বৈশাখের অন্যতম প্রধান আয়ােজন । বাবা কিংবা বড় ভাইয়ের হাত ধরে গুটি গুটি পায়ে বাজারে নন্দনাল রায় এর দোকানের হালখাতার মিষ্টি না খেলে তাে বৈশাখ উদযাপন সার্থকতাই পায় না । হিন্দু ব্যবসায়ীদের কাছে ভােক্তা বা গ্রাহক দেবতাতুল্য । ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তারা দেবতা গণেশের যে ছবিটি রাখেন তা ভােক্তাদেরও সেই মর্যাদাই প্রদান করেন । তাই বছরের শুরুতেই দেবতাকে প্রসাদ দিয়েই তারা হিসাবের নতুন খাতা খুলেন । অনেকে আবার এভাবেও চিন্তা করেন যে সারা বছর যে বাকির লেনদেন হয়েছে তা মিটিয়ে নেবার জন্যই ব্যবসায়ীরা হালখাতার আযােজন করেন । তবে হালখাতা এখন আর হিন্দুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই । কিছু কিছু অন্যধর্মীয় ব্যবসায়ীরাও আজকাল হালখাতার আয়ােজন করে থাকেন ।
নববর্ষ উদযাপনে সকল শ্রেণি - পেশার মানুষ জাতি - ধর্ম - বর্ণ নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করে । এদিন বাঙালি মেয়েরা ঐতিহ্যবাহী পােশাক শাড়ী এবং পুরুষেরা পাজামা - পাঞ্জাবি পরিধান করে । প্রত্যেক ঘরে ঘরে থাকে বিশেষ খাবার বিশেষত পান্তা - ইলিশ , নানা রকম পিঠাপুলির ব্যবস্থা । সর্বোপরি সকল স্তরের বাঙালি নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী নতুন বছরের প্রথম দিনটিকে উদ্যাপন করে । এই জন্যই বাংলা নববর্ষকে কেন সার্বজনীন উৎসব বলতে পারি।
বাংলা নববর্ষ যেভাবে উৎযাপন করা হয়ঃ
নববর্ষের উৎসবের সাথে যদিও আবহমান গ্রামবাংলার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে , তবে বর্তমানে গ্রামের গন্ডি পেরিযে বর্ষবরণ উৎসবের আবেদন শহরগুলিতেও ছড়িয়ে পড়েছে । প্রতিবছর " এসাে হে বৈশাখ , এসাে , এসাে " গানের মাধ্যমে রাজধানীর বর্ষবরণ উৎসব শুরু হয় । উৎসবের মূল আযােজক ছায়ানট পহেলা বৈশাখ ভােরে । অনিবার্য অংশ মঙ্গল শােভাযাত্রা । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ সকালে শাভাযাত্রাটি চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ রুকলা ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হ্য । এ শােভাযাত্রায় চারুকলা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিকষক - শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি - পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে । ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম চারুকলা ইনস্টিটিউট আয়ােজিত আনন্দ শােভযাত্রাই পরবর্তীতে ১৯৯৫ সাল থেকে মঙ্গল শােভাযাত্রা নামে প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে । মঙ্গল শােভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ঐতিহ্যগুলােকে ফুটিয়ে তােলা হয় বাঙালি সংস্কৃতির পরিচযবাহী নানা প্রতীকী শিল্পকর্ম , রঙ - বেরঙের মুখােশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিলিপি বহনের মধ্য দিয়ে । এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যেমন- বাংলা একাডেমি , শিশু একাডেমি , বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি , বুলবুল ললিত কলা একাডেমি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান আযােজন করে ।
গ্রামীণজীবন ও নববর্ষ পরস্পর সম্পর্কিত । নববর্ষে গ্রামীণ জনপদ ও গ্রামের লােকজনের মধ্যে নতুন খাবার ও পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায় ৷ সাধ্যমতাে নতুন জামা - কাপড় পরে বন্ধু - বান্ধব , আত্মীয় - স্বজন , পাড়া - প্রতিবেশী সকলেই একে অপরের সাথে মিলিত হয় অনাবিল আনন্দে । ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও নতুন গতি যুক্ত হয় । টাকার বাইরের অন্যান্য শহরগুলােতে মহাধুমধামে স্থানীয় লােকজন নববর্ষ পালন করে থাকে । এতে বিভিন্ন ধরণের মেলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযােগিতার আয়ােজন করা হয় ।
নববর্ষ উদযাপনে সকল শ্রেণি - পেশার মানুষ জাতি - ধর্ম - বর্ণ নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করে । এদিন বাঙালি মেয়েরা ঐতিহ্যবাহী পােশাক শাড়ী এবং পুরুষেরা পাজামা - পাঞ্জাবি পরিধান করে । প্রত্যেক ঘরে ঘরে থাকে বিশেষ খাবার বিশেষত পান্তা - ইলিশ , নানা রকম পিঠাপুলির ব্যবস্থা । সর্বোপরি সকল স্তরের বাঙালি নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী নতুন বছরের প্রথম দিনটিকে উদযাপন করে ।
বাংলা নববর্ষের অন্যতম আকর্ষণ বৈশাখী মেলা । শহরের তুলনায় গ্রামে এ মেলা অধিকতর জাকজমকপূর্ণ হয়ে থাকে । এ মেলার সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে , এটি কোনাে ধর্মীয় ঐতিহ্য নির্ভর নয় বরং এটি বাঙালির সর্ববৃহৎ সার্বজনীন উৎসব । মেলায় চিরায়ত বাঙালি ঐতিহ্য , রীতি - প্রথা ফুটে ওঠে । প্রাচীন বাংলার নানা সংস্কৃতি যেমন- যাত্রা , পুতুল নাচ , সার্কাস , বায়ােস্কোপ , নাগরদোলা ইত্যাদি মেলার প্রধান আকর্ষণ । বৈশাখী মেলাতে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রী , মাটির হাঁড়ি , বাসন - কোসন , পুতুল , বেত ও বাঁশের তৈরি তৈজসপত্র খেলনা , তালপাখা প্রভ খেলনা , তালপাখা প্রভৃতি পাওয়া যায় । এছাড়া চিড়াঁ , মুড়ি , থৈ , বাতাসাসহ নানারকম মিষ্টান্নের বৈচিত্র্যময় সমারােহ থাকে বৈশাখী মেলায় । বর্তমানে এ মেলা সর্ববৃহৎ লােকজ মেলায় পরিণত হয়েছে । এটি মূলত গ্রামীণ জীবনের অনন্য প্রতিফলন ।
আমার এলাকায় বৈশাখী মেলায় যেসকল জিনিস পাওয়া যায়
জি আমার এলাকায় বৈশাখী মেলা উৎযাপিত হয় । আমার এলাকায় বৈশাখী মেলায় যেসকল জিনিস পাওয়া যায় তার বর্ণনা দেওয়া হলাে।
বৈশাখী মেলা বা বৈশাখের মেলা হচ্ছে একটি বাঙালি উৎসব মেলা , যা বাংলাদেশ এবং বাংলা দেশের বাইরে আয়ােজিত হয় । এটি একটি সার্বজনীন উৎসব , যা বর্তমানে বাংলাদেশের বাই রেও যুক্তরাষ্ট্র , যুক্তরাজ্য এবং কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে বাংলাদেশি প্রবাসী কর্তৃক প্রচুর পরিমাণ বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণের সাথে আয়ােজন করা হয় ।
বাংলা নববর্ষের অন্যতম আকর্ষণ বৈশাখী মেলা । এটি খুবই আনন্দমুখর উৎসব । স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য , কারুপণ্য , লােকশিল্পজাত পণ্য , কুটির শিল্পজাত ইত্যাদি পণ্য এই মেলায় পাওয়া যায় । শিশু কিশােরদের খেলনা , মহিলাদের সাজ - সজ্জার সামগ্রীসহ এই মেলায় তাদের জন্য আরাে অনেক বিশেষ সামগ্রী পাওয়া যায় । এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য ও মিষ্টান্ন যেমন : চিড়া , মুড়ি , থৈ , বাতাসা ইত্যা দি এই মেলার বিশেষ আকর্ষণ ।
এ মেলায় বিনােদনের কোনাে অভাব থাকে না । বিনােদনের ক্ষেত্রে এ মেলায় বাঙালি সংস্কৃতি ফুটিয়ে তােলা হয় । এখানে বাঙালি লােকশিল্পীরা বিভিন্ন স্থান থেকে এসে যাত্রা , পালাগান , কবিগান , জারিগান , লােকসঙ্গীত , বাউল - মারফতি - মুর্শিদি - ভাটিয়ালি ইত্যাদি লােকগান এবং লাইলী মজনু , ইউসুফ - জুলেখা , রাধা - কৃষ্ণ ইত্যাদি আখ্যান পরিবেশন করেন । এছাড়া থাকে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ,নাটক , পুতুলনাচ , নাগরদোলা , সার্কাস ইত্যাদি মেলার বিশেষ আকর্ষণ । এছাড়া থাকে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী , নাটক , পুতুলনাচ , নাগরদোলা , সার্কাস , বায়ােস্কোপ ইত্যাদি ।
Tag: বাংলা নববর্ষকে কেন সার্বজনীন উৎস বলতে পারি - ব্যাখ্যা কর, বাংলা নববর্ষ কীভাবে উদযাপন কর ?,তােমাদের এলাকায় বৈশাখী মেলা হয় কী !, হলে কী ধরনের পণ্য মেলায় বিক্রি হয় ?, ৮ম শ্রেণির চারু ও কারুকলা ৮ম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১, এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর, বৈশাখী মেলা উদযাপন