বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে চেনা / জানা কোনাে নারীর এগিয়ে চলার পথে প্রতিবন্ধকতাগুলাে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা ।
নারীর এগিয়ে চলার পথের প্রতিবন্ধকতাগুলােঃ
বর্তমানে নারীরা পুরুষদের সাথে পা মিলিয়ে এগিয়ে গিয়েও পিছিয়ে পরছে নানা প্রতিবন্ধকতায় । পরিবার ও সমাজের নানা বিধি নিষেধের কারণে ইচ্ছে থাকলেও উচ্চশিক্ষার গন্ডিতে রাখা হয়না অনেক নারীর । খর্ব করা হয় একজন নারীর বাইরে বেরিয়ে চাকরী করার অধিকার । দেয়া হয়না নিজের স্বপ্নের পথে নির্বিঘ্নে এগিয়ে চলার স্বাধীনতা । আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসেও উন্নত হয়নি আমাদের মন মানসিকতা । এমনকি নারীরা নিজেরাও সচেতন নয় নিজের অধিকার সম্পর্কে । নারীদের এগিয়ে চলা ও সমাজের প্রতিবন্ধকতাগুলাে নিন্মে আলােচনা করা হলঃ
নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ।
দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছে । তবে নারীরা দেশের অগ্রগতিতে আরাে বেশি অবদান রাখতে পারতাে যদি সর্বক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হতাে । শিশু থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী সকল নারীরাই শিকার হচ্ছে যৌন হয়রানির । স্কুল - কলেজে যাওয়ার পথে কিশােরীরা শিকার হচ্ছে ইভটিজিং এর । যার কবলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শত শত মেয়ের শিক্ষাজীবন । এমনকি শিক্ষাজীবন শেষে একজন নারী যখন কর্মক্ষেত্রে পা রাখে সেখানেও তাকে ভুগতে হয় অনিরাপত্তায় , অনিশ্চয়তায় । ঘরে - বাইরে নারীরা শিকার হচ্ছে ধর্ষণের । এমনকি শিশুরাও রেহায় পাচ্ছেনা এই ধর্ষণ থেকে । একজন নারীরও অধিকার আছে নিরাপত্তার সাথে চলাফেরা করার । সর্বক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে নারীদের দ্বারা দেশ আরাে এগিয়ে যাবে ।
নিজের অধিকার আদায়ে সচেতন হতে হবে
আমরা প্রায়ই বলে থাকি , পুরুষরা নারীদের সঠিক মূল্যায়ন করেনা । তেমনি নারীরা নিজেও অনেকক্ষেত্রে নিজেদের ঠিকঠাক মূল্য দেয়না।একজন মা নারী হয়েও তার মেয়ে শিশুটিকে ছেলে শিশুর থেকে আলাদা চোখে দেখে । দুজন শিশুর বেড়ে উঠায় করে হাজারাে পার্থক্য । শিক্ষাদীক্ষা , মতবিনিময় সব কিছুতেই প্রাধান্য পায় ছেলেরা । একটা মেয়ে যদি পড়াশােনা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানাের স্বপ্ন দেখে তাহলে তাকে সকল প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েই এগিয়ে যেতে হবে।রুখে দাঁড়াতে হবে সমস্ত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে । কিন্তু আমাদের সমাজের বেশিরভাগ নারীই দুর্বলচিত্তের অধিকারী । সমাজে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রত্যেক নারীকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে , অন্যকেও অধিকার আদায়ে অনুপ্রাণিত করতে হবে এবং নিজেকে মূল্য দিতে শিখতে হবে ।
অভাব নারীর স্বাভাবিক চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করে ও নারীকে তার কর্মক্ষেত্র থেকে পিছু হটতেও বাধ্য করে । সহযােগিতার মনােভাব নিয়ে নারীসমাজকে যদি যথাযথ শিক্ষায় শিক্ষিত করে দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তােলা যায় , তাহলে পুরুষের মতাে তারাও জাতি গঠনে উল্লেখযােগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে ।
যৌতুকপ্রথা বন্ধ করুন , নারীদের সম্মান করুন
অতীতে এমন এক সমাজও ছিলাে যেখানে কন্যা সন্তান জন্ম দেয়া ছিলাে একজন মায়ের জন্য অভিশাপস্বরুপ । বর্তমানে প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অবাধ বিচরণ থাকলেও নারী - পুরুষের অধিকারের মধ্যে পার্থক্য রয়েই গেছে । একবিংশ শতাব্দীতে এসেও চিরতরে নির্মূল হয়নি যৌতুকপ্রথা যা নিস্ব করে দেয় একটি অসহায় পরিবারকে । আবার , কখনাে কখনাে সরাসরি পাত্রপক্ষ যৌতুক দাবি না করলেও মেয়ের বাড়ি থেকে কিছু না দেয়া হলে হেয় করা মেয়েটিকে । বিয়ের পর নানানভাবে কথা শুনতে হয় বাড়ির বউকে । আবার , অনেক সময় মেয়েদের বিয়ের পরেও পড়াশােনা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বিয়ের পর শ্বশুড় বাড়ি ভিন্নরূপ ধারণ করে । অন্যদিকে , বিয়ের পর একজন শিক্ষিত নারী চাকরী করতে চাইলে নানা দায়িত্বের বেড়াজালে রুদ্ধ করা হয় তার পথ ।
Any business enquiry contact us
Email:-Educationblog24.com@gmail.com
(সবচেয়ে আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদেরGoogle News,FacebookএবংTelegram পেজ)